ভেনেজুয়েলা: চিত্রশিল্পী জেসাস সোতোর কাজের সাথে মিথস্ক্রিয়া

ভেনেজুয়েলার চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর জেসাস সোতো (১৯২৩-২০০৫) এর শিল্পকর্ম ল্যাটিন আমেরিকার আধুনিক শিল্পের প্রতিনিধিত্ব কারীদের উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম, যার বেশীরভাগ তার গতিময় (কাইনেটিক) কাজের জন্য পরিচিত। সোতো জন্মগ্রহণ করেন ভেনেজুয়েলার চিউদাদ বলিভার শহরে যেখানে তিনি চলচ্চিত্রের পোস্টার আঁকার শিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি শিক্ষা গ্রহণ করেন কারাকাস আর মারাকাইবোতে, কিন্তু প্যারিসে তার কর্ম জীবন শক্তিশালী মোড় নেয়। তার সব থেকে বিখ্যাত কাজ হল ‘পেনিট্রেবল’ যেটা পরস্পর মিথষ্ক্রিয়া করা এক মূর্তি যার মধ্যে বেশ কিছু চারকোনা, পাতলা, ঝোলানো প্লাস্টিকের রঙ্গিন, চকমকে টিউব আছে যার মধ্য দিয়ে জনগণ হেঁটে যেতে পারেন।

ছেলে

সোতোর একটি চিত্রকর্মে একটি ছেলের ছবি। ফ্লিকার ব্যবহারকারী আলের সৌজন্যে এবং ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত

শিল্প বিশেষজ্ঞদের মতে, সোতোর শিল্প কর্ম দর্শকদের অবিচ্ছেদ্য অংশ, যারা শিল্পীর কাজের একটা সক্রিয় অংশ হয়ে যান। মায়া আর অনুভব পূর্ণতা পায় মনের ধারণা দ্বারা যা অর্জন করা সম্ভব শিল্পকর্মকে দেখা, ছোঁয়া আর তার অংশ হিসেবে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার মাধ্যমে। ভেনেজুয়েলার ব্লগার আর অনলাইন কমিউনিটি তার শিল্পকর্মকে উদযাপন করছেন বিভিন্ন লেখা, চিত্রসমালোচনা, আর যাদুঘরে তার কাজের তোলা ছবি ও ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে। তারা তাদের সংস্কৃতি, প্রকৃতি আর দৈনন্দিন জীবনে সোতোর কাজের মানে ব্যাখ্যা করেছেন।

এডুয়ার্দো কাসানোভা তার ব্লগ লিটেরানোভাতে, সোতোর জীবনের আর একটু ভিতরে প্রবেশ করেছেন আর তিনি যে শহরে জন্মগ্রহণ করেছেন তার ইতিহাস তুলে ধরেছেন:

Jesús Rafael Soto nació en Venezuela, en 1923, en una población cargada de historia: Ciudad Bolívar, donde se instituyó la prensa escrita y se fraguó la creación de la llamada Gran Colombia (…) Era una población aislada, sin museos ni actividades del arte. El mismo ha dicho que aprendió solo el arte de la pintura. Deja su ciudad natal y viaja a Maracaibo, en el occidente del país, para encargarse de la dirección de una escuela de artes plásticas. En 1950 se va a París y allí comienza su carrera de artista creador de nuevas formas.

জেসাস ১৯২৩ সালে ইতিহাসে ভরপুর একটা শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন: চিউদাদ বলিভার, যেখানে দেশের প্রথম সংবাদপত্র অবমুক্ত করা হয় আর বৃহত্তর কলম্বিয়া সৃষ্টির ধারণা জন্মলাভ করে। এটা একটা নিভৃত জনগোষ্ঠী ছিল, কোন জাদুঘর বা শিল্প সংক্রান্ত কাজ ছিল না। তিনি বলতেন যে তিনি নিজে আঁকা শিখেছিলেন। তিনি জন্মস্থান ছেড়ে মারাকাইবোতে যান, দেশের পশ্চিমাঞ্চলে আর্ট স্কুলের পরিচালক হতে। ১৯৫০ সালে সোতো প্যারিসে যান আর সেখানে তিনি নতুন ধরণের কাজ (শিল্প) তৈরি করা শুরু করেন।
কারাকাসে সোতোস্ফিয়ারের ছবি, গুইলামো রামোস ফ্ল্যামারিশের সৌজন্যে জিএনইউ লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত

কারাকাসে সোতোস্ফিয়ারের ছবি, গুইলামো রামোস ফ্ল্যামারিশের সৌজন্যে জিএনইউ লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত

ভেনেজুয়েলাতুইয়ার ইউটিউব চ্যানেল চিউদাদ বলিভারের জেসাস সোতো জাদুঘরে তার একটা প্রদর্শিত শিল্পকর্মের ভিতর দিয়ে হাঁটার অভিজ্ঞতা উদাহরণ স্বরূপ প্রকাশ করেছে:

ব্লগ তালেন্তো ভেনেজোলানো এই শিল্পী আর তার সব থেকে বিখ্যাত সৃষ্টি নিয়ে কথা বলেছে:

En 1967 creó la primera obra de la serie Penetrables, la cual consiste en instalaciones de tubos de plástico a través de los cuales el espectador se siente en un espacio mágico. Ambas obras que pudieron admirarse en el Museo de Arte Moderno, en el Grand Palais y el Centro Pompidou de París.

১৯৬৭ সালে (সোতো) তার প্রথম ‘পেনেট্রেবেলস’ তৈরি করেন, যেটা প্লাস্টিকের টিউব যার ভিতর দিয়ে দর্শক নিজেকে একটা ইন্দ্রজালপূর্ণ স্থানে পাবেন। দুটো শিল্পই আধুনিক চিত্রকলার জাদুঘরে প্রদর্শিত হয়, প্যারিসের গ্রান্ড প্লাস আর পম্পেইদো সেন্টারে।

ইউটিউব একটা মাধ্যম হিসেবে দেখা দিয়েছে সোতোর কাজ সম্পর্কে মানুষের মতামত আর অনুভূতি ভাগাভাগি করা যায়। বিশেষ করে বাচ্চারা, শিল্পীর কাজের ভিতরে বিশেষ ধরনের শৈল্পিক সত্তা খুঁজে পেয়েছে, যা ভিডিওর মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে:

ইউটিউব ব্যবহারকারী এলিজাউল:

আর ইউটিউব ব্যবহারকারী স্কারাকাস:

শিল্পীর ওয়েব পেজে আরো শিল্পকর্ম এবং তথ্য আছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .