দক্ষিণ ককেশাসের ধর্মীয় মনোভাবাপন্ন রাষ্ট্রগুলোতে অর্থডক্স চার্চের পুরোহিতরা বা গোঁড়া যাজকতন্ত্র এমনকি জন্মহার বৃদ্ধির জন্য উৎসাহ প্রদান করতে পারে। এখানে যাজকতন্ত্রের সমালোচনা করা নিষিদ্ধ এক বিষয়। তাদের পরিহাস করা এমনকি সমালোচনার চেয়ে খারাপ ও বিপজ্জনক কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেমনটা দিস ইজ তিবলিসি কলিং ব্লগ জানাচ্ছে:
জর্জিয়ার পুলিশ বলছে, যারা দেশটির অর্থডক্স চার্চের প্রধানকে ইঙ্গিত করে “অশ্লীল ও অপমানকর” ব্যাঙ্গাত্বক ভিডিও তৈরি করেছিল তাদের চিহ্নিত করা গেছে। এই ঘটনা ধর্মীয় মনোভাবাপন্ন দেশে এক কেলেঙ্কারির জন্ম দেয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র অপরাধীদের শনাক্ত করেছেন। তিনি জানাচ্ছেন, অপরাধীরা স্কুল ছাত্র।[…]
এভুলুটসিযা বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে বিষয়টি যাচাই করে দেখছেন, যা কিনা দেশটির চার্চের ক্ষমতা ও বাক স্বাধীনতার সাথে যুক্ত। নতুন চালু করা ইংরেজী ভাষায় প্রকাশিত সংবাদ ব্লগের মন্তব্যের পাতায় ইনজে স্নিপ সতর্ক ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছেন।
বাক স্বাধীনতা এখানে অন্যতম এক মৌলিক অধিকারের বিষয়, আমি বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। বাক স্বাধীনতা জানায়, যে কোন বিষয় হউক না কেন-একটি দেশের সকল নাগরিকের নিজস্ব মতামত প্রদানের অধিকার রয়েছে, যা সকলেই শোনার অধিকার রাখে। এছাড়া বলা যায় সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সমাজ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পরিহাস করার অধিকার প্রদান করে। এবং তা করতে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সমাজের পরিপূর্ণতা প্রকাশ পায়।
[…]
উপসংহারে বলা যায় এই বিষয়ে তদন্ত করার কোন ভিত্তি নেই, এবং তার কোন প্রয়োজন ছিল না; তবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঠিক তার বিপরীত কাজটাই করেছে, কারণ জনতার দাবি তাই ছিল। আইনের ছাত্র হিসেবে বলতে পারি, এটা অদ্ভুত এক বিচার বিভাগীয় তদন্ত, যা আমি এর আগে কখনো শুনিনি।