মিশর: সেরা দশ প্রভাবশালী ব্যক্তি

ব্লগার আহমেদ শুকির অনলাইনে একটি জরিপ পরিচালনা করেছেন। জরিপের বিষয়বস্তু মিশরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দশ জন ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা। তিনি এই উদ্যোগ তখন গ্রহণ করেন যখন তিনি বিস্ময়করভাবে আবিষ্কার করেন যে টাইম নামক পত্রিকায় চূড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত ২০০৯ সালের সেরা একশ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে মিশরের রাষ্ট্রপতি হোসনি মুবারকের ছেলে গামাল মুবারকের নামও রয়েছে।

শুকির লিখেছেন:

المفاجأة الحقيقة كانت في إسم الشخصية العربية التالية والتي تظهر في القائمة أيضا للمرة الأولى وتحتل المركز الثامن عشر بفارق بسيط عن الشيخ أحمد وتحصل على ثمانمائة وثلاثون ألف صوت بمتوسط 31 نقطة وهو جمال مبارك متقدماً على أسماء مثل بريتني سبيرز التي حلت في المركز الثلاثون وباراك أوباما في المركز السابع والثلاثون
এই তালিকায় সত্যিকারের বিস্ময়টি ছিল আরবদের মধ্যে দ্বিতীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিটিকে ঘিরে। এই তালিকায় আরবদের মধ্যে তিনি আবুধাবী ইনভেস্টমেন্ট নামক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বা ব্যবস্থাপনা প্রধান শেখ আহমেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের পরের স্থানটি দখল করেছেন। ৮৩৯ হাজার ভোট পেয়ে বর্তমানে সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় নাহিয়ান ১৩ নাম্বারে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে এই প্রথমবারের মত টাইমের চোখে সেরা ব্যক্তিদের তালিকায় উঠে এলেন গামাল মুবারক। তিনি ৮৩২.৫৯৩ ভোট পেয়ে এই তালিকায় আরবদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছেন। সামান্য ভোটের ব্যবধানে তিনি মূল তালিকার ১৮তম অবস্থানে রয়েছেন। গামাল মুবারক এই তালিকায় ব্রিটনি স্পিয়ার্স (৩০ তম) ও বারাক ওবামার (৩৭ তম) উপরে অবস্থান করছেন।

শুকির পরিচালিত জরীপে যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবশালী মিশরীয় ব্যক্তিদের নাম উঠে এসেছে, জেইনোবিয়া আমাদের সেই কথা জানাচ্ছেন:

প্রথমত, মিশরে এভাবে নিয়মিত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করা হয় না। দ্বিতীয়ত: আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে এ ধরনের জরীপ কেবল মিশরীয় ব্লগে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই জরীপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা মিশরীয় সমাজের অতি ক্ষুদ্র অংশ বলে বিবেচিত হয়, “শুকিরের ব্লগে ১২০ জনের বেশি এবং ফেসবুকে ৩০০ জনের বেশি ব্যক্তি এই জরীপে অংশ নেয়” এবং অনেক এটাকে সঠিক প্রতিনিধিদের নামের তালিকা বলে বিবেচনা করেছে না। তবে তারপরেও জরিপের উত্তরদাতারা যে সমস্ত নাম উল্লেখ করেছেন, বেশিরভাগ মিশরীয়দের দৃষ্টিতে তারাই মিশরের প্রতিনিধিত্ব করে বলে বিবেচিত হয়েছে, যা আমিও দেখতে পাচ্ছি।

সেরাদের তালিকার ক্ষেত্রে জেইনোবিয়া সেরা নয়জনের কথা আমাদের জানাচ্ছে:

১৬৮ নাম্বার পেয়ে তালিকার দশম স্থানে অবস্থান করছেন মিশরের জাতীয় ফুটবল দলের প্রশিক্ষক হাসান শাহাতা
১৮১ নাম্বার পেয়ে তালিকার নবম স্থানে রয়েছে ব্যবসায়ী নাগিব সাউরিস
২৬ ভোটে পেয়ে ২০০ নাম্বার অর্জন করা রাষ্ট্রপতি হোসনি মুবারক তালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছে
৪৬ ভোট পেয়ে ২০০ নাম্বার অর্জন করে সাংবাদিক ইব্রাহিম এইসা তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছেন
২০২ নাম্বার পেয়ে ব্যবসায়ী আহমেদ এজাজ তালিকার ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন
২১৫ নাম্বার পেয়ে বিজ্ঞানী আহমেদ জোয়াইল তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছেন
২৬২ নাম্বার পেয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছেন টিভি উপস্থাপিকা মোনা-এল-শাজেলি
৩২৫ নাম্বার পেয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ফুটবল খেলোয়াড় মোহাম্মেদ আবু তারিকা
৩৬৪ নাম্বার পেয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন গামাল মুবারক

এরাই মিশরের সবচেয়ে প্রভাবশালী গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র,

এখন আমার বিস্মিত হবার পালা

৪৯৬ নাম্বার পেয়ে তালিকায় সবার উপরে অবস্থান করছেন ইসলামিক টিভির উপস্থাপক আমর খালিদ।
কোন সন্দেহ নেই আহমেদ জোয়াইল ব্যতিত উপরের তালিকার সবাই ২০০৯ সালে আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী কিছু ভূমিকা রেখেছে, কিন্তু আমর খালিদ!!??

জেইনোবিয়া এ সম্বন্ধে সচেতন:

এই জরীপ পরিচালনা করা হয়েছে এক বিশেষ সময়। রমজান মাসে অনুষ্ঠিত রমজান টিভি শোর কারণে খালিদ জনপ্রিয়তার চূড়ান্ত শিখরে উঠেছিলেন। এই জরিপ তার পরপরই অনুষ্ঠিত হয়। এই ফলাফল আমাদের জানাচ্ছে জীবনে ধর্মীয় ভূমিকার বাইরেও ধর্ম বিশেষ কিছু উপাদান যোগ করে।

কিন্তু ব্লগার ভদ্রমহিলা এখনো বিস্মিত এই কারণে যে আমর খালিদ কি তালিকার এক নাম্বারে আসার মত যোগ্য ব্যক্তি।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .