সিনা ভান ১৩ বছর বয়সে ভিয়েতনাম থেকে ক্যাম্বোডিয়াতে ছুটি কাটাতে এসেছিল। কিন্তু তাকে যৌন কর্মী হিসেবে বিক্রি করে দেয়া হয় আর পরবর্তী দুই বছর সে একটি পতিতালয়ে কাটায়। সে মুক্তি পায় যখন দাসত্ব বিরোধী কর্মী আর সোমালি ম্যাম ফাউন্ডেশনের প্রধান সোমালি ম্যাম, ভানের পতিতালয়ে পুলিশ রেইডের ব্যবস্থা করে। আজকে ভান সোমালি ম্যাম ফাউন্ডেশনের একজন কর্মী [1], এবং সেই সব লোকদের সাহায্য করছেন যারা দাসত্ব থেকে বেরিয়ে এসেছে বা যারা এখনো পতিতালয়ে আছে।
ভানের কাজের জন্য, তাকে ফ্রেড্রিক ডগ্লাস পুরস্কার [2] দিয়ে সম্মানিত করা হয়। ফ্রেড্রিক ডগ্লাস পুরষ্কার ‘মানুষের মানসিকতার প্রচণ্ড স্থিতিস্থাপকতার সম্মান করে আর এই বিশ্বাস রাখে যে আধুনিক দিনে দাসত্ব থেকে মুক্তি পাওয়া অনেকেই অন্যদের স্বাধীন করতে নিজেদের নিয়োজিত করে।‘
ভানের আরো কাহিনী নিচের এই ভিডিওতে জানা যাবে:
সম্প্রতি জাতিসংঘ ক্যাম্বোডিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি আলোচনা করতে ম্যান্ডেট এক বছর বাড়িয়েছে [6]। দ্যা মিরর [7] অনুসারে, জাতিসংঘের বিশেষ রাপোর্টিয়ার মানবাধিকার কাউন্সিলে রিপোর্ট করেছেন যে তিনি:
ক্যাম্বোডিয়ার পরিস্থিতিতে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তার রিপোর্ট অনুসারে, ক্যাম্বোডিয়াতে আইনের শাসন দুর্বল… তিনি ক্যাম্বোডিয়ার সব থেকে বড় বিরোধী দল স্যাম রেন্সি দলের এক সাংসদের ঘটনাও বলেছেন- জনাবা মো সোচুয়া- যাকে আদালত শাস্তি দিয়েছে। এই আদালত ক্যাম্বোডিয়ার পিপলস পার্টির সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। তিনি অন্যায় ভাবে তার মামলা হেরে গেছেন, কারণ তিনি সাহস দেখিয়েছিলেন ক্যাম্বোডিয়ার ক্ষমতাশালীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার।
অন্যরা বিশেষ রাপোর্টিয়ারকে অনুরোধ করেছেন [8] সেইসব নারী আর শিশুদের ভুলে না যেতে যারা ক্যাম্বোডিয়াতে যৌন দাসত্বের মধ্যে থাকে, আর এটা একটা মানবাধিকার এর মূল বিষয় হওয়া উচিত এবং অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘন যেমন প্রকাশের স্বাধীনতার সাথেই মূল্যায়ন করা উচিৎ।