অক্টোবরের শুরুতে, ক্যাম্বোডিয়া আর বাইরে থেকে প্রযুক্তি আগ্রহীরা ক্যাম্বোডিয়ার নম পেনের পান্নাশাস্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে একত্র হয়েছিলেন তাদের বাৎসরিক বারক্যাম্পের জন্য।
বারক্যাম্পে, বক্তাদের কোন তালিকা ছিল না, কোন মুখ্য বক্তা নেই। প্রত্যেকে যারা বারক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেছেন কথা বলতে পেরেছেন।
বিশ্বের অন্যান্য জায়গার মতো দক্ষিণ –পূর্ব এশিয়াতেও বারক্যাম্প ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে। মানুষ এমন একটা অনুষ্ঠানে আকৃষ্ট হন যেখানে কোন ভেদাভেদ নেই, আর সবাই আমন্ত্রিত জ্ঞান বিতরনের জন্য।
উপরে ভিডিওতে খেমার ভাষায় সেশন চলছে।
ক্যাম্বোডিয়ার ব্লগার আর প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যারা কাজ করেন তারা ব্যস্ত ছিলেন ইন্টারনেটের মাধ্যমে বন্ধু বানাতে। ক্যাম্বোডিয়ার তরুণ ইংরেজীতে ভালো আর সাধারণত ইংরেজীতে লেখেন, তাই তারা দেশের বাইরের বেশী লোকের সংস্পর্শে আসতে পারেন।
ক্যাম্বোডিয়াতে বেশ কিছু বেসরকারী সংস্থা আছে যারা উন্নয়ন আর স্বাস্থ্য সেবাতে আইটির ব্যবহার পরখ করে দেখছেন। ক্যাম্বোডিয়ার বারক্যাম্প তাদের কাজ দেখার একটা সুযোগ করে দেয়।
ক্যাম্বোডিয়ার প্রযুক্তি অনুষ্ঠানের একটা বিশেষ দিক হল নারী অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা। তারা কেবলমাত্র অংশগ্রহণ করছেন না বরং সেশন উপস্থাপনা আর সমন্বয়ে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেছেন।
জার্মান পডকাস্টার আর ব্লগার থমাস মাইন্ডম্যাপিং নিয়ে কথা বলেছেন। সেশন গুলো কেবলমাত্র প্রযুক্তি নিয়েই ছিল না। মানুষ স্বেচ্ছা সেবা, সামাজিক মিডিয়া, শিক্ষা আর খেলা নিয়ে অনেকে কথা বলেছেন।
উপরের ভিডিওতে ভিয়েতনামের অংশগ্রহণকারী হাং ভিয়েতনামের সামাজিক নেটওয়ার্ক নিয়ে কথা বলছেন।
ক্যাম্বোডিয়ার পক্ষে কিভাবে সম্ভব হয়েছে আশেপাশের দেশ থেকে এত জনকে আকর্ষণ করার? ক্যাম্বোডিয়ার তরুণদের যোগাযোগ আর প্রচার-প্রসার ক্ষমতা ছাড়া, আর একটা ব্যাপার হল বাজেট এয়ারলাইন্সের সংখ্যা বৃদ্ধি যা যাত্রা সহজতর করেছে। ক্যাম্বোডিয়াতে অনেক সস্তা থাকার জায়গা আছে। বারক্যাম্পে সবাই তাদের আসা যাওয়া আর থাকার খরচ নিজে দেন, তাই অর্থনৈতিক বাছ বিচারের অধিকার আরো মানুষকে আসতে উৎসাহিত করেছে।
আপনারা উপরের ছবিতে যেমন দেখতে পাচ্ছেন, আয়োজকদের বেশীরভাগ তরুণ ক্যাম্বোডিয়ান প্রযুক্তি উৎসাহী। ক্যাম্বোডিয়ার তরুণরা সেখানে আইটি বিপ্লব ঘটাচ্ছেন আর তারা ফেসবুক, টুইটার আর ব্লগ টুলস ব্যবহারে বেশ তৎপর।
উপরের ভিডিওতে (ক্যাম্বোডিয়ার) পাগনা কথা বলছেন (থাই) এস কে এর সাথে কেন ক্যাম্বোডিয়ার তরুণ থাইদের থেকে ইংরেজীতে বেশি স্বচ্ছন্দ এই বিষয় নিয়ে। থাইল্যান্ডে কম্পিউটিং রিসোর্স তারা অনেকদিন ধরে তাদের নিজেদের ভাষাতে পাচ্ছেন। বেশীরভাগ ক্যাম্বোডিয়ান কম্পিউটার শেখা শুরু করেন ইংরেজী ভাষা, টুলস আর পদ্ধতি দিয়ে।
থাইল্যান্ড আর ক্যাম্বোডিয়া একটি মন্দিরের মালিকানা নিয়ে কিছু বিভেদের মধ্যে আছে। ভালো লেগেছে দেখতে যে এই দুই দেশের নাগরিক এক সাথে বসে একে অপরের কাছ থেকে শিখছেন।
থাই অংশগ্রহণকারীরা আর একটি আঞ্চলিক ক্যাম্প, মেকং আইসিটি ক্যাম্প এর কথাও বলেছেন আর ধারণা দিয়েছেন এই ব্যাপারে।
আরো দেখুন: বারক্যাম্প নম পেন ২০০৯ নিয়ে থারুম বানের বর্ণনা