পুয়ের্টো রিকো: জাতীয় ধর্মঘটের জন্য তৈরি

পুয়ের্টো রিকো ১৫ই অক্টোবর বৃহষ্পতিবার তাদের জাতীয় ধর্মঘটের জন্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। গভর্ণর লুইস ফরচুনো প্রায় ১৭০০০ সরকারী চাকুরেকে চাকুরিচ্যুত করার পরে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে, ট্রেড ইউনিয়নের কর্মী আর সদস্য, নারী, পরিবেশবিদ, ছাত্র, অধ্যাপক এবং অন্যান্য -অর্থাৎ সর্বপ্রকার জনগণ প্রচণ্ড ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। অগুনতি প্রতিবাদ আর জনগণের অসহযোগ আন্দোলন প্রদর্শিত হয়েছে নতুন চাপানো অর্থনৈতিক নীতির প্রতিবাদ করতে। সরকার বলছেন যে এসব পদক্ষেপ অর্থনৈতিক মন্দার কারনে নেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এই বছরে, সদ্য নির্বাচিত সরকার প্রায় ২৫০০০ সরকারী চাকুরি বিলুপ্ত করেছেন।

গত কয়েক মাসে সরকার আর বিভিন্ন সুধী সমাজ দলের মধ্যে তিক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে: সামাজিক আর অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল এলাকায় উচ্ছেদের নির্দেশ, পুলিশের অত্যাচার, আর বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ (যেমন ফিদেইকোমিসো দেল কানো মার্টিন পেনা) শেষ করে ফেলা তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে। সরকারী কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু মন্তব্য এসেছে যা অপমানজনক আর অবিবেচক মনে করা হয়েছে। যেমন এখন দু:খজনকভাবে জনপ্রিয় ‘জীবন এমনি’ আর আরো সম্প্রতি, গভর্ণরের মনোনীত চীফ অফ স্টাফ মার্কোস রড্রিগ এমা বিক্ষোভকারীদের সন্ত্রাসীদের সাথে তুলনা করেছেন। এ সবই ১৫ই অক্টোবরের ধমর্ঘটের সূত্র। রড্রিগ এমার এই মন্তব্যের উত্তরে, টিটো ওতেরো এমন একটা ভিডিও পোস্ট করেছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে যে কংগ্রেসের সামনে একটা ছেলে বেহালা বাজাচ্ছে। আমরা ছেলেটাকে বলতে শুনছি: “আমি সন্ত্রাসী না। আমি আমার দেশের জন্য ন্যায় বিচারে বিশ্বাস করি।“

ব্লগার আর টুইটারকারীরা এই ধর্মঘটের জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন যাতে দেশটাকে একদিনের জন্য বন্ধ করে দেয়া যায়। কার্গাস আর দেস্কারগাস ব্লগে এডুইন ভাস্কুয়েজ ব্লগার আর নাগরিকদের অনুরোধ করেছেন ফেসবুক আর টুইটার ব্যবহার করতে জাতীয় ধমর্ঘটের দিনে তথ্য দেয়ার জন্যে। এরই মধ্যে @কারিবনিউজ অনুসারীদের হ্যাশট্যাগ ঠিক করতে পরামর্শ চেয়েছেন, আর এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে #টুইটারিকানস হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .