- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

মরোক্কো: সেন্সরশীপ থেকে বাজেয়াপ্ত করা পর্যন্ত

বিষয়বস্তু: মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., মরোক্কো, আইন, প্রচার মাধ্যম ও সাংবাদিকতা, প্রতিবাদ, প্রযুক্তি, বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার, সরকার

এই কার্টুন ব্লগে ব্লগে প্রকাশিত হচ্ছে [1]

এই কার্টুন ব্লগে ব্লগে প্রকাশিত হচ্ছে

মরোক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা আরবী ভাষার দৈনিক আকবর আল ইউমের বিরুদ্ধে মামলা করবে একটি কার্টুন ছাপানোর জন্য যেখানে সদ্য বিবাহিত রাজকুমার মুলাই ইসমাইলকে তীব্র ভাবে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। এক বাণীতে মন্ত্রণালয় বলেছে যে এই কার্টুন ‘রাজ পরিবারের সদস্যের প্রতি খোলাখুলি অসম্মান দেখানো।‘ বাণীতে কার্টুনে ইহুদীদের তারার [2] বিশেষ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে ‘যা এর পিছনের মানুষদের নিয়ে অনেক প্রশ্ন তুলেছে আর ইহুদী বিদ্বেষী বক্তব্য তুলে ধরেছে’।

ব্লগার আনালিতিকিস মনে করেন [3] মরোক্কো তার কৌতুক বোঝার ক্ষমতা হারিয়েছে, তবে সেই সাংবাদিকদেরও জিজ্ঞাসা করেছেন, যিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে এই তারা মরোক্কোর পতাকার পাঁচ মুখী তারা। এই ব্লগার বলেছেন:

এই পুরো ঘটনা অবশ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য সুবর্ণ সুযোগ ছিল দেশের অল্প কয়েকটি স্বাধীন সংবাদপত্রকে নিষিদ্ধ করার…আমি যদিও সাংবাদিকদের প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি তারপরেও আমি তার সাম্প্রতিক ব্যাখ্যা যে তারাটাকে ইহুদী তারা হিসেবে ভুল বোঝা হয়েছে যখন ওটা মরোক্কোর তারা ছিল এটাকে প্রশ্ন করেছি। আমি তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই স্বল্প ফটোশপ বিদ্যা দিয়ে ব্যাখ্যার সততা যাচাই এর…আপনারা বিচারক হন।

এর পরে ব্লগার একটা পাঁচ মুখী তারা তৈরির চেষ্টা করে দেখিয়েছেন যে এটা সম্ভব…

ব্লগার আনালিতিকাস তারার আসল অবয়ব দেখিয়েছেন [4]

ব্লগার আনালিতিকাস তারার আসল অবয়ব দেখিয়েছেন

… আর পরিশেষে বলেছেন: ” আমি ভাবছি রাজকুমারের স্ত্রীর জার্মান বংশের সাথে এর কোন সম্পর্ক আছে কিনা…|”

আ মরোক্কান আবাউট দ্যা ওয়ার্ল্ড এরাউন্ড হিম ব্লগ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বলেছেন [5]:

মরোক্কোর সরকার সেখানের স্বাধীন মিডিয়া নিয়ে ক্রমেই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন যখন তারা নিষিদ্ধ বিষয় নিয়ে ক্রমাগত কথা বলছে। স্বাধীন সাংবাদিক আর শিল্পীর বিরুদ্ধে তাদের আইনগত আর রাজনৈতিক শোরগোল বজায় রয়েছে আর তারা যে সংবাদপত্র আর ম্যাগাজিনের জন্য কাজ করে তারা প্রেসের আর বাক স্বাধীনতা রক্ষার ক্ষেত্রে তাদের অঙ্গীকার সম্পর্কে মিথ্যা বলে। কিছু পর্যবেক্ষক বলেছেন যে সরকার পিছনে দাঁড়িয়ে খুঁচিয়ে দেয় আজকের সময়ে স্বাধীন মিডিয়াতে যে অশান্তি বিরাজ করছে সেটাকে।

অন্ত্রে নু মারোকিয়ান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে দুইটা ভিডিও সহ বিস্তারিত লিখেছেন তার পোস্টে [6] (ফরাসী ভাষায়)। এই ব্লগার পরিশেষে বলেছেন:

Durant deux mois, la censure de Telquel, Nichane, Le Monde et les interrogatoires de plusieurs journalistes (Al Ayam, Al Michaal, Al Jarida Al Oula) mais le meilleur pour la fin, la fin d’une époque de censure et d’interrogatoires, et le début d’une époque de saisie de biens. La caricature n’a pas suscitée tout l’intérêt qu’elle suscitera dans les prochains jours. Est-ce que par cette saisie, le ministère empêchera la publication de caricatures, articles sur le Roi ou sur les princes et princesses ?! Ni les censures, ni les interdictions, ni les gros montants de dommages et intérêts n’ont empêchés la publication de tels articles ! Il faut bien penser à une solution qui arrange LES DEUX PARTIES, pas seulement UNE ou AUCUNE comme le cas d’Akhbar Al Youm.

দুই মাস ধরে, তেল্কুয়েল, নিশেইন, লো মন্দ পত্রিকার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আর বেশ কয়েক সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদ (আল আয়াম, আল মিশাল আজারিদা আল ঊলা) চলছে। কিন্তু থামেন, সব থেকে ভালটা এখনো বলা হয় নি: নিষেধাজ্ঞা আর জিজ্ঞাসাবাদের এক যুগের সমাপ্তি আর জিনিষপত্র বাজেয়াপ্ত করার যুগের শুরু হয়েছে। আগামীতে এ নিয়ে যে পরিমাণ উৎসাহ দেখা যাবে সেটা এখনো এই কার্টুন তৈরি করেনি। ম্যাগাজিন বাজেয়াপ্ত করার মধ্য দিয়ে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি রাজা, রাজকুমার আর রাজকুমারীদের ব্যাপারে কার্টুন আর লেখা বন্ধ করতে চাইছেন? নিষেধাজ্ঞা বা সেন্সরশীপ, বা বড় ক্ষতি করা কিছুই এইসব লেখা ছাপানো রোধ করতে পারে নি! দুই পক্ষের জন্য গ্রহণযোগ্য কোন সমাধান আমাদেরকে খুঁজতে হবে, যেন আকবার আল উমের মতো আর কিছু না হয়।