মিশর: খারাপ লোকেরা যারা নিজস্ব ব্লগে পাঠকের মন্তব্যকে সংযত করেন না

মিশরে ব্লগিং করা যে একটা গুরুতর অপরাধ এটা জানার পরে আর কারো জন্য কথা বললে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হতে পারে। দেশের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এখন সেই সব ব্লগারদের গ্রেপ্তার করছেন যারা তাদের ব্লগ পোস্টে পাঠকের মন্তব্যগুলোকে সংযত করছেন না বা মুছে ফেলছেন না!

এল বাদেল সংবাদপত্রের প্রধান সম্পাদক খালেদ এল বালশি সম্প্রতি তলব পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা থেকে আর তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর অভিযোগ করা হয়েছে কারণ তিনি তার ২০০৭ সালের একটি পোস্টে পাঠকের করা একটি ‘খারাপ’ মন্তব্য মুছে ফেলেন নি।

ব্লগারদের কণ্ঠ রোধের বিরুদ্ধে ড: মোস্তাফা এল নাগার সোচ্চার হয়েছেন:

ومع تنامي عدد المدونين في مصر ونشطاء الانترنت ، استحدث النظام قسم مكافحة جرائم الانترنت الذي من المفترض ان يبحث عن الجرائم المستخدم فيها الانترنت كوسيلة تقنية ، ولكن يبدوا ان النظام اراده لاغراض أخري ، اهمها ملاحقة المدونين ونشطاء الانترنت واختراق حساباتهم الشخصية واستغلال ما يكتبون كدليل ادانة ضدهم
ব্লগার আর ইন্টারনেট কর্মীরা লক্ষনীয়ভাবে সংখ্যায় আর কাজে বেড়ে চলেছে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে; তাই সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটা আলাদা শাখা স্থাপিত হয়েছে। এই শাখা চেষ্টা করবে অনলাইন অপরাধের তদন্ত করার যা তাদের লাগাতার ব্লগার আর নাগরিক সাংবাদিকদের তাড়া করার কার্যের বিপরীত। এদের কাজ হবে ব্লগারদের ব্যক্তিগত ওয়েবস্পেসে হস্তক্ষেপ করা, তাদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট কুক্ষিগত করা, আর তাদের ব্লগ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা।

ড: এল নেগার তার সব থেকে ভয়ঙ্কর দু:স্বপ্নের কথা বলেছেন:

ولكن تمثل هذه الخطوة التي تمت مع الصحفي خالد البلشي ، جرس انذار وناقوس خطر لما سيأتي بعد ذلك ، فسياسة التخويف والارهاب الفكري باستخدام شكل قانوني مفتعل قد يتم التوسع فيها ، وعلي ذلك يمكن اعتقال اغلب المدونين المعارضين لما تحتويه مدوناتهم من تعليقات تخص من علقوا ، بل الاصعب من ذلك يمكن مساءلة المدونين قانونيا بحجة سخيفة قد يفتعلونها كعدم الحصول علي الترخيص للنشر في المدونة وهي وسيلة نشر عامة ينطبق عليها قانون الصحافة الذي يحظر انشاء الصحف دون الحصول علي ترخيص مسبق من النظام
قد يري البعض تشاؤما فيما اكتب ، ولكن أحب أن أؤكد ان حالة الافلاس التي يتم بها مواجهة وسائل الاعلام الجديد قد تجعل هؤلاء يبتكرون ويتوصلون الي وسائل وحجج اسخف من كل هذا لتقييد حرية الرأي
ভবিষ্যৎের কথা ভাবলে খালেদ এল বালশির বিরুদ্ধে অভিযোগ একটা চিন্তার বিষয়। আইন প্রয়োগকারীরা এমন নীতির খারাপ ব্যবহার সহজে করবেন যার মাধ্যমে ব্লগারদের অসুবিধা করা যাবে; আর তাই বিরোধী দলকে সমর্থন করেন এমন ব্লগাররা গ্রেপ্তার হবেন তাদের পোস্টের কারণে আর তাদের পোস্টে রাখা মন্তব্যের কারণে। আর একটা ভয়ঙ্কর চিন্তা হচ্ছে যে ব্লগারদেরকে আইনগত ভাবে দায়ী করা যাবে লাইসেন্স ছাড়া ব্লগিং এর জন্য। আপনাদের মনে হতে পারে যে আমি অনেক খারাপ কথা ভাবছি কিন্তু আইটির সাথে সংশ্লিষ্টদের মতামত আর সরকারী নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন প্রচেষ্টা দেখলে এটা খুব দূরের চিন্তা বলে মনে হয় না!

ওমর আল হাদি এই ঘটনা নিয়ে ব্লগে লিখেছেন খালেদ আল বালশির উদ্ধৃতি দিয়ে:

وقال البلشي إنه دُعي لحضور تحقيق غير رسمي بعدما تلقى مكتب مكافحة جرائم الانترنت بلاغاً من مسئول بإحدى شركات القطاع العام حول اتهاماتِ بالفساد وإساءات شخصية كتبها مجهول تعليقاً على تحقيق صحفي نشره البلشي في صحيفة الدستور و أعاد نشره على مدونته الشخصية قبل أكثر من عامين
ونفى رئيس تحرير البديل مسئوليته عن محتوى التعليقات مؤكداً أنه لم يكن يفرض رقابة مسبقة على التعليقات في مدونته و لم يقرأ التعليقات محل الشكوى من قبل، وقام بحذفها بعد علمه؛ لأنه يرفض نشر اتهامات مرسلة دون
এল বালশি বলেছেন যে তাকে সাক্ষাৎকারে ডাকা হয় তার ব্লগে অজ্ঞাত একটা আপত্তিকর মন্তব্যের কারনে। আল বালশির পোস্টে মন্তব্য কারী ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন পোস্টে উল্লেখিত কোম্পানিতে কাজ করা একজনের বিরুদ্ধে। কয়েক বছর পরে সেই কর্মী সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ শাখার শরণাপন্ন হয়েছেন আর তারা আল বালশিকে ডেকে পাঠান। বালশি তার ব্লগে রাখা মন্তব্যের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে বলেন যে তিনি মন্তব্য নিয়ন্ত্রণ করেন না আর তিনি তা মুছে ফেলবেন যেহেতু আক্রমণটি ব্যক্তিগত আর অযৌক্তিক ছিল।

তিনি আরো বলেছেন যে এই ঘটনা প্রথম না:

سبق أن تعرض المدون عمرو غربية صاحب مدونة حوليات صاحب الأشجار للتحقيق أمام النيابة بعد بلاغ من القاضي عبد الفتاح مراد بسبب تعليقات على مدونته.وهذا رابط يشرح تفاصيل تلك الواقعة؛ وبذلك يكون البلاغ المقدم ضد الأستاذ خالد البلشي هو ثاني مرة تستخدم فيها التعليقات لملاحقة صاحب مدونة.
২০০৭ এ কর্মী আর ব্লগার আমর ঘার্বিয়া তলব পান যখন বিচারক আব্দেল ফাতাহ মোরাদ আমর এর ব্লগে আপত্তিকর মন্তব্য পান। ঘটনার বিস্তারিত এখানে পাওয়া যাবে। খালেদ আল বালশির ঘটনাটা দ্বিতীয়বার যখন একজন ব্লগারকে তার ব্লগের অসংযত মন্তব্যের জন্য ধরা হয়।

আজ্জা মোঘাজি এই বাস্তবতা বোঝেন যে প্রিন্ট মিডিয়া সংস্থার সম্পাদক আর লেখকরা তাদের লেখা নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করেন আর পাঠকদের মন্তব্যকে সংযত করেন আইনি দায়িত্ব এড়ানোর জন্য কিন্তু তিনি প্রিন্ট মিডিয়ার আইন সাইবার স্পেসে আরোপে রাজি না:

لا منطق يقول انى كصاحبة منزل محاسبة على الاعلانات التى يلصقها المارة عليه
لا منطق يقول انى مسئولة عن اراء الاخرين المنشورة على مدونتى فانا لم اتقدم بطلب فتح المدونة الى المجلس الاعلى للصحافة ولا انا ارتضيت ان اديرها وفقا للقواعد والقوانين الخاصة بالنشر التى يجب احترامها على الارض المصرية ما دمت قد ارتضيت ذلك منذ البداية
شروط الاستخدام التى التزم بها هى الواردة فى العقد الذى وقعته مع بلوجر بالموافقة على شروط استخدامه وايها لا يتضمن ان امارس الرقابة قسرا على تعليقات المارين بمدونتى بل تركت لى شروط الاستخدام حرية ان افعل ذلك او لا افعله
আমার নিজস্ব ব্লগে রাখা মন্তব্যের জন্যে দায়ী থাকা কোন মানের মধ্যে পড়ে না; যেভাবে বাড়ির মালিক তার বাড়ির দেয়ালে লাগানো পোস্টার বা স্টিকারের জন্য দায়ী হতে পারেন না। আমি প্রেসের সুপ্রিম কাউন্সিলের কাছে অনুমতি চাইনি ব্লগ শুরুর জন্য। আর তাই, একজন ব্লগার হিসাবে, তাদের আইন আমার মানা উচিত না। যে সকল আইন আর শর্ত আমি মেনেছি তা ব্লগার প্লাটফর্মের আর এখানে কোথাও বলা নেই যে আমার ব্লগে রাখা মন্তব্য আমাকে নিয়ন্ত্রন করতেই হবে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .