(ছবি এ্যালুকার্ড১৮৭-র সৌজন্যে)
গতকাল (২১ সেপ্টেম্বর) ওমানে ঈদ উল ফিতর উদযাপিত হল, প্রতিবেশী উপসাগরীয় দেশগুলোর একদিন পরে। এই উৎসব ঘোষণা করে রমজান মাস শেষ হয়েছে। পবিত্র মাস রমজান পানাহার বন্ধ রাখার মাস। ঈদ কবে অনুষ্ঠিত হবে তা নির্ভর করে নতুন চাঁদ দেখার উপর, যার ফলে বিশ্বের সকল দেশ এবং সম্প্রদায় একই দিনে ঈদ পালন করে না।
সুলতান শাসিত এই রাজ্যে সোয়াইন ফ্লুর প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে, যা ঈদকে অনেকখানি বিবর্ণ করে ফেলেছে। সরকার পরিচালিত টিভি ও সংবাদপত্রে জনগণকে প্রাক-সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেবার আহ্বান জানিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে- যেন এই ঈদে কিছু প্রথা বাদ দেওয়া হয়, যেমন কাউকে আলিঙ্গন, চুম্বন অথবা করমর্দন করা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় দেশটির মফস্বল শহরের মেয়র বা পৌরপিতাকে নির্দেশ দিয়েছে, ঈদ উপলক্ষে যেন জনতার সাথে সাক্ষাৎমূলক কোন অনুষ্ঠান না করে। এবার ঈদের প্রথম দিন, অন্য সব ঈদের মত ওমান টিভি সুলতান কাবুস বিন সাইদ এর ঈদ মুনাজাতে অংশগ্রহণের দৃশ্য উপস্থাপন করেনি।
তবে সোয়াইন ফ্লুর ভয় মানুষকে ঈদের প্রথম দিনে আনন্দ উদযাপন করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। গণ জামায়েতের বদলে কিছু এলাকায় ঈদের জমাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সেসব মসজিদে নিয়মিত নামাজ অনুষ্ঠিত হয় সে সব জায়গায়, খোলা ময়দানে যত লোক ধরে তারচেয়ে সংখ্যায় কম লোক উপস্থিত হয়।
ওমানী টুইপস ঈদের প্রথম দিনের সব সংবাদ তাজা রেখেছে। ওমানাইজার_মাসকাট টুইট করেছে যে যদিও ওমানী টিভি এই সমস্ত সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান প্রচার করছে, এই ঈদে তিনি আগের যে কোন ঈদের চেয়ে বেশি চুম্বন উপহার পেয়েছেন!
ঈদের দিনে বেশিরভাগ লোক মনে হচ্ছে কোন ভয়ভীতি ছাড়াই বাহির হয়েছে এবং সবার সাথে মিশেছে, যেমনটা এ্যালুকার্ড ১৮৭ টু্ইট করেছে, ঈদের প্রথম দিনে মাসকটের সকল রেস্তরাঁর সকল টেবিল মানুষে পূর্ণ ছিল। আদারওমানও টুইট করেছে, ঐতিহ্যবাহী সোউক মাথ্রায় মনে হচ্ছিল হাজার লোকের ভীড়ে এর খাড়ির পাড়ের একপাশ ঝুলে যাবে।
মাকরানি ঈদে যে সমস্ত মজার কথা শুনেছে সেগুলো আমাদের তুলে দিচ্ছে। ফাতমানুর ঐতিহ্যবাহী ওমানী খাদ্য “শিওয়ার”-ছবি আমাদের দেখাচ্ছেন। এই ছবি ঘরে তৈরি “শিওয়া”-এর ছবি। এই খাবার মাংস দিয়ে তৈরি হয়। এদিকে এ্যালুকার্ড১৮৭ এক প্রকৃতি জিনিসের ছবি প্রদর্শন করছেন যা মাটি থেকে তুলে আনা হয়েছে এবং মোড়ানো ছাড়াই উঠিয়ে আনা হয়, এবং তারপর তাকে খাবার উপযোগী করা হয়েছে। একটি পুরো গ্রাম শিওয়া রান্নায় অংশ গ্রহণ করে। এই প্রক্রিয়ায়, মাটি খুঁড়ে বানানো বিশেষ এক চুলায় আস্ত একটা গুরু বা ছাগল তিন দিন ধরে ঝলসানো হয়।
রমজানের শেষে ওমানে তিন দিন ধরে ঈদ উল ফিতর উদযাপন করা হয়।