- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

আফঘানিস্তান: কাবুলে যত গণ্ডগোল

বিষয়বস্তু: মধ্য এশিয়া-ককেশাস, আফগানিস্তান, যুদ্ধ এবং সংঘর্ষ

আফঘানিস্তানে একজন নিরাপত্তা কন্ট্রাক্টর টিম লিঞ্চ কাবুলে আমেরিকান দুতাবাসে নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি বলেছেন [1]:

বর্তমান গার্ড বাহিনীর সমস্যা হচ্ছে তারা একটি বাজে চুক্তির আওতায় কাজ করেছে। কাগজে লেখা টাকার অংকগুলো আমলে না নেয়াই ভাল কারণ পাঁচ বছর ঠিক মত কাজ করলে তা পাওয়া যাবে। উত্তর আমেরিকার আর্মর গ্রুপ এই কাজে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এবং আরও কিছু টাকা তাদের খোয়া যাবে। ২০০৬ সালে বেশ কিছু কোম্পানি দর পত্র দেয়ার জন্যে আমার পরামর্শ চেয়েছিল এবং আমি বলেছিলাম এগুলোতে যাবেন না। কারণ দর পত্র জেতা মানে ক্ষতি নিশ্চিত এবং নিজের টাকার শ্রাদ্ধ করা। এই চুক্তিতে এমন কিছু শর্ত আছে যা কোন দিনই পুরণ হবার নয়।

যদিও দুতাবাসের পশ্চিমা চুক্তিগুলো এরকম ভয়ানক, কাবুলে সব কিছুই বেশী অতিরন্জিত মনে হয়। হামিশা তার প্রতিষ্ঠানের একটি বাড়ি ভাড়া করার অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখছেন। বাড়ি খোজা হচ্ছিল শহরের অভিজাত এলাকার বাইরে এবং বেশ কিছু অদ্ভুত ভাল বাড়ি পাওয়া গেছে [2]:

একটি বাড়িতে ছিল বুজকাশি এবং পারস্যের হাতের কাজের সজ্জা এবং নুরিস্তানি কাঠের কাজের নকশা। কিন্তু বাড়ির মালিকের একে অফিস হিসেবে ভাড়া দিতে আপত্তি ছিল। তিনি চাচ্ছিলেন এটি কোন রাষ্ট্রদুতের বাড়ি হিসেবে ভাড়া দিতে। এই সব বাড়িতে সাধারণত থাকে ঘাসে ঢাকা লন, গোলাপ এবং অন্যান্য ফুলে ছাওয়া বাগান, কাবুলের শীত থেকে রক্ষা পাবার জন্যে দৈত কাঁচের প্যানেলের জানালা, সব রুমে ল্যান সংযোগ এবং ইন্টারনেট সুবিধা, অনেক গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা এবং দেয়ালের উপর কাঁটাতারের বেড়া। একটিতে সয়ংক্রিয় অগ্নিনিরোধক এলার্ম এবং পানি ছড়ানোর সিস্টেম। কিছু বাড়িতে রয়েছে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত শীততাপ যন্ত্র।

কাবুলের অবস্থার অধ:পতন দেশের অন্যান্য এলাকায় ঘটা বিষয়গুলো থেকে বৈসাদৃশ্য এনে দিয়েছে। কাবুল পার্সপেক্টিভস জানিয়েছে যে আফঘানিস্তানের দক্ষিণে মাদক বিরোধী অভিযান বিফলে যাচ্ছে [3]

অনেক পপি গাছ চাষ করা হয় দক্ষিণের পাঁচটি সন্ত্রাস কবলিত প্রদেশে যেখানে তালিবানরা আফঘান সরকারের কর্তৃত্বকে খর্ব করতে চাচ্ছে। তারা আমেরিকান সৈন্যদের হাতে মার খেয়ে এখন প্রতিশোধ নিতে উন্মুখ। তালিবানদের শক্ত ঘাঁটি হেলমান্দ প্রদেশেই প্রায় অর্ধেক পপি গাছের চাষ করা হয়।

ডেন্জার রুম ব্লগ জানাচ্ছে যে [4] কান্দাহার প্রদেশে একটি মাদক বিরোধী অভিযান শুধুমাত্র কিছু মাদক বা গুটিকয়েক চোরাকারবারীর চেয়ে অনেক বেশী কিছু পেয়েছে:

এই অভিযান গত ১৮ই জুলাই কান্দাহার প্রদেশের আর্জেস্তান জেলায় সংঘটিত হয়। এতে সীমান্তরক্ষী পুলিশ কমান্ডার শার শাহীনকেও গ্রেফতার করা হয়। শাহীনকে কান্দাহার বিমানবন্দরে প্রলোভন দেখিয়ে এনে অভিযানটির সূচনা করা হয়। এতে তার পাঁচ দেহরক্ষী সহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও আফঘানিস্তানের মাদক বিরোধী কর্তৃপক্ষের এই যৌথ মিশনটির পরবর্তী লক্ষ্য মাদক মজুত করার একটি গুদাম উদ্ঘাটন।

কান্দাহারে এখনও পরিস্থিতি নাজুক। কান্দাহারে অবস্থানরত লেখক আলেক্স স্ট্রিক ভান লিনশোটেন তার টুইটার ফিডে [5] লিখছেন যে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার কয়েক সপ্তাহ পরেও পশ্চিমা বাহিনী আর স্থানীয় জঙ্গীদের মধ্যে গোলাগুলি চলছে। তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন:

ঝামেলা শুধু দেশটির দক্ষিণেই সীমাবদ্ধ নয়। কাবুলের ঠিক পূর্বে লাঘমান প্রদেশে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোয়েন্দা কর্মকর্তা ড: আবদুল্লাহ এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় মারা যান। টিম লিঞ্চ ঘটনার পরবর্তী পরিস্থিতির কিছু ছবি পোস্ট করেছেন [6]