- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

উরুগুয়ে: নির্বাচনের মৌসুম ঘনিয়ে আসছে

বিষয়বস্তু: ল্যাটিন আমেরিকা, উরুগুয়ে, নির্বাচন, রাজনীতি

উরুগুয়ের সেই অভিজ্ঞতা অর্জন করার দিন আবার ঘনিয়ে আসছে, যা সে প্রতি পাঁচ বছরে একবার অর্জন করে, এক নির্বাচনী অভিজ্ঞতা, যা এ বছরের অক্টোবরের ২৫ তারিখ রোববারে [1]অনুষ্ঠিত হবে। যদি কোন একক প্রার্থী কাঙ্ক্ষিত সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট না পায়, তা হলে নভেম্বর মাসের শেষ রবিবারে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উরুগুয়ের নির্বাচনী দিন পঞ্জিকার ব্যস্ততম ১২টি মাস হবে এই সময়টি, আভ্যন্তরীণ নির্বাচন অথবা দলীয় নির্বাচন জুনের শেষে অনুষ্ঠিত হবে। এর পরেই অনুষ্ঠিত হবে রাষ্ট্রপতি এবং পৌরসভার নির্বাচন, যা ২০১০ সালে মে মাসে অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনী বিতর্কে অংশ নিচ্ছে অনেক দল, কিন্তু নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার তালিকাতে রাজনৈতিক দলের পরিমাণ কমে এসেছে। দেখা হচ্ছে অনেক দলের নির্বাচনে জেতার যোগ্যতা রয়েছে কিনা। নির্বাচনে এই বিষয়টি বিচার করা হয়। নির্বাচনে অন্তত একটি সংসদীয় আসন জেতার মত দলের ক্ষমতা রয়েছে কিনা তা বিচার করা হয়। এই সব দলের মধ্যে ন্যাশনাল পার্টিকে [2](হোয়াইট পার্টিকে) বিবেচনা করা হয় অন্যতম ঐতিহ্যগত দল হিসেবে। এই দলের প্রধান বিরোধী দল বর্তমানে সরকারে রয়েছে। এর বাইরে আরো রয়েছে ব্রড ফ্রন্ট [3], যারা বর্তমান সরকারের একটি অংশ এবং তাদেরও বিবেচনায় করা হয় বাম ধারার এবং একই সাথে দেশটির এক ঐতিহ্যবাহী দল হিসেবে। যদিও তারা এক তরুণ দল।

উরুগুয়ের কলোনিয়া ডে সাক্রামেন্তেতে চলানো এক প্রচারণা ছবি, ছবিটি তুলেছেন মারিসালি এবং ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স এর অধীনে ব্যবহার করা হয়েছে,

উরুগুয়ের কলোনিয়া ডে সাক্রামেন্তেতে চলানো এক প্রচারণা ছবি, ছবিটি তুলেছেন মারিসালি এবং ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স এর অধীনে ব্যবহার করা হয়েছে,

রাষ্ট্রপতি পদের জন্য যাদের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী বলে মনে করা হচ্ছে, তারা দুজন ব্রড ফ্রন্ট ও ন্যাশনাল পার্টির প্রার্থী। অন্যতম প্রধান এক প্রার্থী উরুগুয়ের খুবই পরিচিত মুখ। তার নাম ড: লুইস এ লাকালে [4], তিনি ন্যাশনাল পার্টির প্রার্থী এবং ১৯৯৯-২০০৪ সাল পর্যন্ত উরুগুয়ের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। বিবেচনা করা হচ্ছে তিনি ব্রড ফ্রন্টের প্রার্থীর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন।

অন্যদিকে বলা যায় ফ্রন্টের প্রার্থী বেশ বর্ণ ময় চরিত্রের অধিকারি, যাকে প্রায়শঃ রাজনৈতিক চুক্তি ও অনুষ্ঠান দেখা যায়। জোশে “এল পেপে” মুজিকার [5] সাথে দেশটির স্বাধীনতা আন্দোলন টুপামারাসের [6] এক ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে, যা ১৯৬০ এর দশকে ঘটেছিল। সে সময় তিনি এক গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং চারবার গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং দুইবার পুনটা কাররেটাস জেলখানা থেকে পালিয়েছিলেন। এর বাইরেও তিনি ১৫ বছর জেলে কাটিয়েছেন। তার শেষবার জেল যাত্রা ঘটেছিল ১৯৭২ -১৯৮৫ সাল পর্যন্ত। যখন সামরিক শাসনের অবসান ঘটে এবং গণতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়, মুজিকা তার কৌশল বদলে ফেলে। সে সময় তিনি একজন প্রতিনিধি ও সিনেটর নির্বাচিত হন। বর্তমান সরকারের তিনি গবাদিপশু ও কৃষি সম্পদ মন্ত্রী।

ব্লগার জর্জ ওহিয়ানডার এক নজর চোখ বুলিয়েছেন কি ভাবে বিভিন্ন প্রার্থী তাদের প্রচারণা চালানোর জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে [স্প্যানিশ ভাষায়] [7]। তিনি জানাচ্ছেন বেশীরভাগ দল ও প্রার্থীর নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা ওয়েব ২.০ এবং সোশাল নেটওয়ার্ক সাইটের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে সক্ষম হয়নি।

যখন মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে, আলোচনার জন্য কিছু বিষয় রয়েছে। সম্প্রতি বেশ কয়েক বছর অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় জন নিরাপত্তা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, একই সাথে কর বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে বর্তমান প্রচারণা ইতোমধ্যে অনেক অলংঙ্কারপূর্ণ বাক্য দিয়ে পূর্ণ [8], যেমনটা ব্লগ ইউই ইলেকসিওনশ [স্প্যানিশ ভাষায়] বর্ণনা করছে:

Si un marciano encayara en Uruguay (podría ser en otros muchos países) y lee los programas de gobierno de los (o escucha a los) diferentes partidos políticos se encontraría con una grata sorpresa: a todos ahora les importa la justicia social (planes para ayudar a los más desfavorecidos, educación y salud más equitativas, etc.), alguna que otra cosa del medio ambiente, los beneficios para los pasivos (y si, hay que nombrarlos que cada vez son más), la transparencia (a esta altura ésta podría ser ya una política de Estado, todos la apoyan (que bueno, no?)).
Y así estamos; esas “semejanzas” condimentadas con la publicidad medio-masiva moderna electoral crean como una nube gris, en la cual es comprensible caer en la de “son todo lo mismo”.

যদি মঙ্গলের কোন অধিবাসী উরুগুয়েতে অবতরণ করে (অথবা পৃথিবীর অন্য কোন দেশে) এবং দেশটির সরকার পরিচালনার জন্য বিভিন্ন দলের তৈরি প্রস্তাবনা পড়ে (অথবা শোনে), তা হলে সে এক বিস্ময় আবিষ্কার করবে, এখন সবাই সামাজিক ন্যায়বিচারের কথা বলছে ( সমাজের সবচেয়ে দুর্ভাগাদের জন্য উপযুক্ত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা, ইত্যাদি প্রদানের কথা বলছে), এর সাথে রয়েছে পরিবেশ উন্নয়নের কথা, যারা অবসর জীবন কাটাচ্ছেন তাদের নানাবিধ সুবিধা প্রদান, (এবং অবশ্যই তাদের নাম নেওয়া হচ্ছে প্রতিদিনের চেয়ে বেশি), স্বচ্ছতা (এই বিষয়ে বলা যায়, এটা রাষ্ট্রের নীতি, সকলেই একে সমর্থন করে, বিষয়টি ভালো, নয় কি?) এসব আমাদের রয়েছে; সবার এই একই সুরে বলা, আধুনিক প্রচারণার সৃষ্টি, যা এক ধুসর মেঘ সৃষ্টি করে। এর ফলে এই বিষয়টি সবার মনে একই চিন্তা এনে দেয় যে, “তারা সকলেই আসলে এক রকম”।