- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

ইরানের প্রতিবাদ বিক্ষোভের শহীদদের অনলাইনে স্মরণ করা

বিষয়বস্তু: মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., ইরান, ডিজিটাল অ্যাক্টিভিজম, প্রতিবাদ, মানবাধিকার, সরকার

1এ বছরের জুনে অনুষ্ঠিত ইরানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফলকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্কের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ইরানে প্রায় ডজন ডজন প্রতিবাদকারী নিহত হয়েছে। নেভারফরগেট.আস [1] একটি নতুন মাল্টিমিডিয়া ওয়েবসাইট, যেখানে এই প্রতিবাদ বিক্ষোভে নিহত প্রায় ৭০ জনেরও বেশি ব্যক্তির ছবি এবং সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ করা হয়েছে।

এই ঘটনার অন্যতম শিকার নেদা আঘা সোলতানি [2], যে চোখ খোলা অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে। সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিরা তার মৃত্যু দৃশ্য ভিডিও করে এবং তা ইন্টারনেটে [3] তুলে দেয়। তার এই শেষ মুহূর্তের দৃশ্য সিটিজেন মিডিয়া থেকে মূল ধারার প্রচার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, এভাবে তা লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে যায়।

ইরানের নাগরিকরা ক্রমাগত ভাবে এই প্রতিবাদ আন্দোলনে (যা গ্রীণ মুভমেন্ট নামেও পরিচিত) অংশগ্রহণ করেছে, যারা শহীদ হয়েছে, তাদের অমর করার জন্য তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। বিরোধীরা দাবি করেছে [4] যে, এই প্রতিবাদ বিক্ষোভে মারা যাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা ৭০ এর বেশি। গ্রেফতারের পর অত্যাচারের কারণে অনেকে মারা গেছে [5], অন্যরা রাস্তায় প্রতিবাদের সময় গুলিতে নিহত হয়েছে।

সরকারের গোপনীয়তা সত্ত্বেও, নিহত অনেকের নাম এবং ছবি প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছে।

নেভারফরগেট.আস [1]-এ রকম একজনের জীবনী।
2

তুফানপোর, আমির হোসেন (ছবি উপরে) জন্ম ১৯৭৭- মৃত্যু ২০০৯

আমিরহোসেন, সাত বছর বয়স্ক এক কন্যার পিতা, জুনের ১৫ তারিখে তিনি নিখোঁজ হন। তেহরানের প্রায় সকল হাসপাতালে বৃথা অনুসন্ধানের পর তার উদ্বিগ্ন পরিবার পৌরসভায় টাঙ্গানো একগাদা মৃতদেহের ছবির মাঝে তার ছবি খুঁজে পায়। তার দেহে অনেক ক্ষত ছিল, যার মধ্য ছিল মাথায এক গভীর আঘাতের চিহ্ন, তার একটা বাহু ভাঙ্গা ছিল এবং এই বাহুতেই বন্দুকের গুলির দ্বারা সৃষ্ট এক ক্ষত ছিল। কিন্তু তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যায় নি।

গ্রীণ মারটিয়ার্স ওয়েবসাইটও এই বিক্ষোভ প্রতিবাদে শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের সম্বন্ধে তথ্য সরবরাহ করেছে [6] [ফার্সী ভাষায়] ( এই সাইট প্রকাশের সময় ক্ষণস্থায়ী কিছু মুহূর্ত অফলাইনে বা ইন্টারনেটের বাইরে চলে গিয়েছিল)।

এই ভিডিওতে বিক্ষোভ প্রতিবাদে নিহত শহীদদের ছবি এবং তাদের মায়েদের যন্ত্রণার কথা তুলে ধরা হয়েছে:

যখন আমরা এই সকল ছবি আর চলচ্চিত্র দেখছি, তখন ইরানের কারাগারে শত শত রাজনৈতিক বন্দি রয়েছে, যেমন মোহাম্মদ আলি আবতাহি [7], একজন ব্লগার এবং সংস্কারপন্থী রাজনীতিবিদ, যিনি ইরানের কারাগারে অজানা এক ভবিষ্যৎ-এর অপেক্ষায় রয়েছেন।