- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

ভেনিজুয়েলা: আর একটি মিস ইউনিভার্স মুকুট

বিষয়বস্তু: ল্যাটিন আমেরিকা, ভেনেজুয়েলা, লিঙ্গ ও নারী, শিল্প ও সংস্কৃতি

দ্বিতীয় বারের মতো মিস ভেনিজুয়েলাকে যখন মিস ইউনিভার্স সুন্দরী প্রতিযোগিতায় [1] বিজয়ী ঘোষণা করা হয় ভেনিজুয়েলার ব্লগ জগৎ আনন্দ আর গর্বে ফেটে পড়েছিল। আর একবার, এই দেশ বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে ভেনিজুয়েলার নারীদের সৌন্দর্য নিয়ে, যখন স্টেফানিয়া ফার্নান্দেজকে মুকুট পরানো হয়। এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে স্টেফানিয়া ভেনিজুয়েলার ষষ্ঠ বিজয়িনী।

তারপরেও, যেমন সকল গর্ব নিয়ে যে ধরনের কঠিন পরিশ্রম প্রত্যেকটি মেয়েকে করতে হয় যারা এই ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন, কিছু ভেনেজুয়েলার ব্লগার প্রশ্ন করেছেন একটা প্রতিষ্ঠানের পিছনের আসল গর্বকে যা ভেনেজুয়েলার সংস্কৃতিতে এমন প্রভাব ফেলেছে। ভেনেজুয়েলার নতুন একজন মিস ইউনিভার্স মুকুটধারীর ব্যাপারে বেশীরভাগ অনলাইন পোস্ট আর লেখার পাশাপাশি আর একটা আলোচনা হচ্ছে যা সাংস্কৃতিক ইচ্ছা, সৌন্দর্যের ধারণা, কঠোর পরিশ্রম আর সৌন্দর্যের আসল গর্ব নিয়ে প্রশ্ন করেছে।

গ্রেটস তার ব্লগে আরো বিষয় ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন [2] (স্প্যানিশ ভাষায়):

..no es que yo les esté mostrando una realidad alternativa, sólo que ustedes se empeñan en vivir en un logro ficticio, por una corona que no importa más que 9.000 niños muriendo de hambre en una noche tan linda como esta; un certamen que no sólo se hunde en el mal gusto sino que da pena que un país en sus tristes condiciones esté celebrando ante los ojos del mundo su desgracia.

এমন না যে আমি অন্য ধরনের বাস্তবতা দেখাতে চাচ্ছি, এটা কেবল এমন যে আপনারা সবাই জোর দিচ্ছেন একটা কাল্পনিক প্রাপ্তি নিয়ে থাকতে একটা মুকুটের উপরে নির্ভর করে যা ৯০০০ শিশু ক্ষুধায় মারা যাওয়া বা আজকের মতো সুন্দর রাত্রের থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ না। এটা একটা প্রতিযোগিতা যা কেবল খারাপ রুচিতে ডুবেই যায় নি, বরং এটা লজ্জা জনকও, এটা একটা খারাপ অবস্থায় থাকা দেশ হিসেবে, যারা বিশ্বে সামনে তাদের দূর্ভাগ্যকে উদযাপন করছে।

ভয়াজ ব্লগের লুইস ম্যানুয়েল সেই গল্প বলেছেন [3] যে প্যারিসে কিভাবে তিনি তার মত পাল্টেছেন যেটাকে তিনি তার দেশের গর্ব বলে মনে করতেন সেই ব্যাপারে:

Antes, andaba yo orgullosisimo de vivir en el pais de las Miss Universos y de las Miss Mundos, el pais con las mujeres mas lindas del mundo.

Y fue un simpre crepero,(…) quien se encargó de estropear mi orgullo ridículo. “Ahhh tu eres de Venezuela?” me preguntaba mientras reía, “es verdad que ustedes tienen una escuela para formar misses? que gracioso!” “es verdad que desde pequeños tienen concursos en las escuelas para elegir a la niña mas bonita?. Que cultura!”.” Es verdad que es uno de los paises en donde se hacen mas cirugias plasticas? y gastan dinero en eso?, que superficiales!”. “Es verdad que es el pais del mundo que gasta mas cosméticos per cápita?, y teniendo gente que muere de hambre?. Qué contraste!”

Eso me hizo reflexionar, en verdad de lo estupidos que somos en esta sociedad!: tenemos el mismo sistema organizado de captar, formar y desarrollar talentos del mundo desarrollado, pero en vez de cientificos o deportistas, formamos misses!. Es verdad que las mujeres aqui son especialmente bellas, pero de que nos sirve tener tantas Miss Universo?,

আগে আমি খুব গর্বিত ছিলাম মিস ইউনিভার্সের দেশে বাস করা নিয়ে…যে দেশে বিশ্বের সব থেকে বেশী সুন্দরী আছে ।

কিন্তু সাধারণ একজন ক্রেপস (একধরণের পিঠার মত খাবার) বিক্রেতা আমার বোকার মতো গর্বকে ভেঙ্গে দিয়েছে। ‘ওহ! তুমি ভেনেজুয়েলা থেকে?” আমাকে জিজ্ঞাসা করে সে হেসেছিল। “এটা কি সত্যি যে তোমাদের ওখানে সৌন্দর্যের রানীদের প্রশিক্ষণের স্কুল আছে? এটা কেমন অদ্ভুত ব্যাপার! এটা কি সত্যি যে মেয়েরা যখন খুব ছোট থাকে তখন প্রতিযোগিতা হয় সব থেকে সুন্দর জনকে বের করার জন্য? কেমন সংস্কৃতি! এটা কি সত্যি যে তোমার দেশের মানুষ সব থেকে বেশী প্লাস্টিক সার্জারি করায়? আর এর উপরে অর্থ খরচ করে? কেমন মেকি! এটা কি সত্যি যে এই দেশ সব থেকে বেশী গড়ে প্রসাধনের উপরে অর্থ ব্যয় করে? আর মানুষ ক্ষুদায় মারা যায়? কেমন বৈপরীত্য!”

এর ফলে আমি চিন্তা শুরু করি , আসলেই এই সমাজে আমরা কত বোকা! আমাদের একই সংঘবদ্ধ নিয়ম আছে মনোযোগ, আকার ধরে রেখে প্রতিভা গড়ে তোলা উন্নত বিশ্বের তুলনায়, কিন্তু বিজ্ঞানী বা খেলোয়াড় তৈরির পরিবর্তে আমরা মিসদের তৈরি করি! এটা সত্যি যে এখানের নারীরা খুবই সুন্দর, কিন্তু এত কয় জন মিস ইউনিভার্স থাকায় আমাদের লাভ কি?

এরই সাথে ইউটিউব চ্যানেলে অনেকে ভিডিও করেছে [4] আর উত্তেজক সেই মুহূর্তে ছবি সংগ্রহ করেছেন যখন ভেনেজুয়েলার সুন্দরীরা মিস ইউনিভার্স আর মিস ওয়ার্ল্ডের মতো শিরোপা জিতেছেন। তবে এবিসি অস্ট্রেলিয়া একটা প্রতিবেদন তৈরি করেছিল (ভিডিও এখানে দেখা যাবে [4]) ভেনেজুয়েলাবাসীদের সৌন্দর্যের প্রতি আসক্তি নিয়ে, আর এই ধারণা কিভাবে এই প্রসিদ্ধ অনুষ্ঠানের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ আয়োজক ওস্মেল সুসা [5] ধারণ করেন তা তুলে ধরেছে।

এটা প্রথম বার না যে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতাকে মেকি বা বিনোদনের অংশ হিসেবে দেখা হয়েছে। তারপরেও মিস ভেনেজুয়েলার প্রভাব মিডিয়া আর মানুষের মধ্যে লক্ষ্য করলে, এটা বোঝা যায় যে এটা দেখার একটা ধরন বা সংস্কৃতির চলমান প্রশ্ন যে বিশ্বের কাছে তারা নিজেদেরকে কিভাবে তুলে ধরেন। এইসব টুইটে [6] এমন আলোচনা আরও দেখা যাবে।