- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

কাজাখস্তান: লেনিন, যখন জীবিত ছিলেন এখন তারচেয়েও জীবন্ত

বিষয়বস্তু: পূর্ব ও মধ্য ইউরোপ, রাশিয়া, ইতিহাস, কৌতুক, ছবি তোলা

কাজাখস্তানের বিরোধী দলীয় অবস্থান থেকে দেশটির ব্লগস্ফেয়ারে দু'টি একই রকম বার্তা এসেছে। তারা উভয়ে অতীতের এক প্রতীকের পুনরুত্থানের বিষয়ে কথা বলেছে: মাথা থেকে কাঁধ পর্যন্ত লেনিনের এক মূর্তির কথা। কি কারণে লোকজন এই আন্তর্জাতিক সর্বহারা নেতার ছবি আবার ফিরিয়ে আনছে? স্মৃতিচারণ? হয়তো। কাজাখস্তানের এক এলাকায় ভ্রমণের সময় টোরমোজ এক দৃশ্যের উন্মোচন করেন, সে সময় তিনি আরালস্ক শহরে ভ্রমণ করছিলেন, বিশেষ করে গাড়িতে তেল নেবার এক এলাকা বা গ্যাস স্টেশনে, এবং সেখানে…..

“এবং এই সেই ভ্লাদিমির ইলিচ, শেকলের তৈরি এক ফাঁসে ঝুলছে!
1
জানা গেল তেল নেবার এলাকা বা গ্যাস স্টেশনের মালিকেরা এই আবক্ষ মূর্তি টিকে স্থানীয় সাংস্কৃতিক ভবনের পেছনে পড়ে থাকা অবস্থায় আবিষ্কার করেন। তারা তখন ১০০০ ট্যাঞ্জ (কাজাখস্তানের মুদ্রা) দিয়ে এই মূর্তিটি কিনে নেন এবং সিদ্ধান্ত নেন, এটিকে তাদের গ্যাস স্টেশনের সামনে রাখবেন। যে সময় তারা এটিকে গ্যাস স্টেশনে রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, সে সময় আমি সেখানে উপস্থিত হই।

2
বয়স্ক মহিলাটি এই পবিত্র ভাস্কর্যকে গরম পানি দিয়ে এমন ভাবে একে ধুয়ে দিচ্ছিল যাতে এর ক্ষতি না হয়। যখন আমরা এই এলাকাটি ছেড়ে আসছিলাম, তখন আমি ধারণা করলাম যে, এর জন্য তারা একটা প্রতীকী নাম অর্জন করল, “ভি. আই লেলিন স্মৃতি লাল পতাকা গ্যাস স্টেশন”।

3

পরের দিন, ফেরার পথে আবার সেই গ্যাস স্টেশনটি পড়ল। আবক্ষ মূর্তিটির উপর এক ভাস্কর কাজ করা শুরু করে দিয়েছিল। সে নাকের আকারকে নতুন চেহারা দিচ্ছিল।

এই পোস্টের শিরোনাম পিওয়াইসিএম [1], এটি এক সময়কার বিখ্যাত সোভিয়েত প্রবচন যা কারাগান্ডার এলাকা থেকে এসেছে, যাকে অবশ্যই গভীর গর্ব এবং শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারণ করা হত, যার মানে: “আমি লেনিনকে দেখেছি”! [রুশ ভাষায়]:

অতীতে ধূসর ছুঁচাল বেড়ার পেছনে এক প্রশাসনিক দপ্তর ছিল। অদূর ভবিষ্যৎে এখানে নতুন পাইকারী এক গাড়ি বিক্রির এক দোকান খোলা হবে। ব্যবসায়ীক উদ্যোক্তারা আরো বেশি স্থানীয় ব্যবসায়ী দের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছে। এখন এই ভবনে একটি চা ও হালকা খাবারের দোকান বা ক্যাফে এবং একটি মুদিখানা বা স্টোর রয়েছে। ছোট্ট এক ঝর্ণার পাশে এক স্তম্ভের উপর ইলিচকে রাখা হয়েছে, যার চারপাশ ফুলে ঘেরা রয়েছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই ভবনের মালিকের নাম ভলোদয়া (ভ্লাদিমিরের ক্ষুদ্র রুপ)।

4

এছাড়া লেখাটি নিউইউরেশিয়ায় [2] পোস্ট করা হয়েছে।