ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র: তার ও ধাতুর টুকরা চুরি

ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের কিছু সংবাদপত্র সম্প্রতি যে সব শিরোনাম করেছে তা পড়ুন, “ডুয়ার্টে সেতু থেকে কিছু তার চুরি হয়ে গেছে”, “পেনা গোমেজ স্মৃতিসৌধ টুকরো টুকরো করা হয়েছে” এবং “লা সালে স্কুল বিদ্যুৎ ছাড়া অন্ধকারে সময় কাটাচ্ছে”। এই সকল শিরোনাম একই বিষয়ের সাথে যুক্ত, যে বিষয়টি অনেক লোককে জটিল অবস্থায় ফেলে দিয়েছে: বিষয়টি হল রাজধানী সান্তো ডোমিঙ্গো ও অন্য শহরে তার ও ধাতুর টুকরা চুরির হিড়িক পড়ে গেছে। এই সমস্ত উপাদান চুরির পর বেশ চড়া মূল্যে বিক্রি হয়। এই কারণে এটি বেশ ভালো ব্যবসা।

কার: আমি প্রতিজ্ঞা করে বলছি সকালে এখানে একটা ব্রিজ ছিল। ট্রাক এই ব্রিজটাকে ধাতু কেনার লোকদের কাছে নিয়ে গেছে। এল ন্যাশিওনাল পত্রিকার জন্য এই কার্টুনটি একেছেন ক্রিস্টিয়ান হার্নানদেজ। কার্টুনিস্টের অনুমতিক্রমে তা ছাপানো হয়েছে

কার: আমি প্রতিজ্ঞা করে বলছি সকালে এখানে একটা ব্রিজ ছিল। ট্রাক এই ব্রিজটাকে ধাতু কেনার লোকদের কাছে নিয়ে গেছে। এল ন্যাশিওনাল পত্রিকার জন্য এই কার্টুনটি এঁকেছেন ক্রিস্টিয়ান হার্নানদেজ। কার্টুনিস্টের অনুমতিক্রমে তা এখানে ছাপানো হয়েছে

চোর খুব সূক্ষ্ম ভাবে তার কাজ শুরু করে, দেখা যায় কোন ম্যানহোলের ঢাকনা উধাও এবং ধাতুর টুকরা যা শহরে স্থাপিত মূর্তির সৌন্দর্য বর্ধনের কাজে লাগানো হয়, তা নাই হয়ে গেছে এবং এরপর দেখা যায় সেই মূর্তিটি উধাও। শহরের বিভিন্ন স্থানে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রথম অনেকে বিষয়টির দিকে তেমন মনোযোগ দেয় নি, কারণ এলাকাটি জনসাধারণের চলাচলের স্থান। কিন্তু কিছুদিন পরেই ধাতুর টুকরো খুলে নেবার ফলে, গর্ত গুলো সব চোখে পড়তে শুরু করে এবং শহর জুড়ে বেশ কিছু ধাতব মূর্তি তছনছ হবার ঘটনা ঘটে, এবং শীঘ্রই সবার চোখে পড়ে যে কিছু একটা ঘটছে। এল রিঙ্কন ডেল মেগা [স্প্যানিশ ভাষায়], ব্লগের মেগামাঞ্চি, যে সমস্ত এলাকায় চুরি হয়েছে, সেই সমস্ত এলাকা নিয়ে লিখেছেন। যেমন জ্যাকব মাজুলতা এভিনিউ এলাকার আশেপাশে পঞ্চাশটি ল্যাম্প পোস্ট উধাও হয়ে গেছে। এই সমস্ত ল্যাম্প পোস্ট হাপিস করার জন্য ক্রেইন এবং ভারী যন্ত্রপাতি দরকার:

Ahora se estan robando los rieles de los trenes que funcionaron una vez en el país y en los ingenios. Ahora yo me pregunto ¿Es tan difícil dar con estos ladrones de metales, que lo usan para fundirlos? NO Simplemente no hay voluntad para acabarlos. Pues cuantas compañías en el país tienen la capacidad para fundir estos metales. Lo que hay es vigilarlas.
Si los representantes de guinness world records visitaran el país de seguro que le adicionarían varias páginas a la próxima impresión del libro donde los dominicanos estaríamos bailando.

এখন তারা রেললাইনের রেল বা লোহা চুরি করছে। এক সময় এই সমস্ত রেল সারা দেশে চলেছে এবং চিনির কল থেকে চিনি সরবরাহ করেছে। এখন আমি নিজেকে প্রশ্ন করছি? এই সমস্ত ধাতু চোরদের থামানো কি খুব কঠিন কাজ? এই সমস্ত চোর, যারা ধাতুর টুকরোকে গলিয়ে ফেলে, তারা কি ধরা ছোঁয়ার বাইরে? এর উত্তর হচ্ছে না, তবে তারা চুরি করেই যাচ্ছে, কারণ তাদের থামানোর ইচ্ছে নেই। সারা দেশে কত গুলো প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা রয়েছে ধাতুর টুকরোকে গলিয়ে ফেলার? তাদের উপর নজর রাখা দরকার।

যদি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের প্রতিনিধিরা আমাদের দেশে আসে, তা হলে নিশ্চিত ভাবে বলা যায়, তারা তাদের গিনেস বুকের পরবর্তী সংস্করণে বেশ কয়েকটি বাড়তি পাতা যোগ করবে। আর এ কারণে ডোমেনিকানরা উল্লাসে নৃত্য করবে (বিশ্বের সব চেয়ে বেশি ধাতুর টুকরা চুরি হওয়ার বিশ্ব রেকর্ড অর্জনের জন্য)।

পরবর্তীতে তার চুরির সংবাদ আসতে থাকে, এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের তার, এবং যথারীতি ফাইবার অপটিকস-এর তার, এই চুরি থেকে সিদ্ধান্ত টানা যায় যে, চোরেরা তারের মধ্যে যে তামা রয়েছে এ কারণেই তার চুরি করে। চোরেরা এই তামার তার চীনে রপ্তানী করে, সেখানে এর প্রচুর চাহিদাডিওরিয়া ডিজিটাল আরডি [স্প্যানিশ ভাষায়] ব্লগের হেক্টর মিনাইয়া রপ্তানী পরিস্থিতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিচ্ছেন এবং বলছেন, কিভাবে সরকার এই ঘটনায় চোখ বন্ধ করে থাকে

Para detener el saqueo de cables, tapas, placas y monumentos de cobre que comenzó el año último alentado por el alto precio del metal, es necesario que se prohiba la exportación de cobre y otros metales, los cuales no son de producción nacional. De aquellos metales que se extraen en el país, se presume que el Gobierno, a través de la Dirección General de Aduanas y otras instituciones, tiene algún control y hay un registro para los exportadores. Se ha publicado que semanalmente viene un barco, al parecer ante la indiferencia de las autoridades, para llevarse material producto del saqueo de estos metales.

গত বছর থেকে শুরু হওয়া তার, ঢাকনা, ধাতব টুকরা, এবং তামার স্মৃতি স্তম্ভ চুরি হওয়ার কারণ, ধাতুর উচ্চ মূল্য। এই চুরি ঠেকানোর জন্য তামা ও অন্যান্য ধাতু রপ্তানি নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। কারণ এসব পণ্য দেশে উৎপাদন হয় না। যেহেতু এইসব ধাতু দেশ থেকে বাইরে পাচার হচ্ছে, এ কারণে সরকারকে শুল্ক ও অন্য বিভাগের মাধ্যমে এর উপর নিয়ন্ত্রণ করা উচিত ও রপ্তানির পরিমাণের এক তালিকা রাখা উচিত। জানা গেছে প্রতি সপ্তাহে এক নৌকা বন্দরে আসে, কর্তৃপক্ষ এই নৌকাকে দেখেও না দেখার ভান করে, যে সমস্ত তার ও ধাতু লুট করা হয়েছে, সেগুলো নৌকায় ভরা হয়। এরপর নৌকা এলাকা ছেড়ে চলে যায়।

সান্তো ডোমিঙ্গো ও দেশের অসংখ্য রাস্তা, এভিনিউ, ব্রীজ এবং সড়ক অন্ধকারে ডুবে থাকে, এর জন্য চোরদের ধন্যবাদ। চোরেরা দেশের বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে প্রতিযোগিতায় নেমেছে, কে কতক্ষণ দেশটিকে অন্ধকারে রাখতে পারে, দশকের পর দশক ধরে দেশটি অন্ধকারে ডুবে থাকার কোন সমাধান বিদ্যুৎ বিভাগ করতে পারে নি। যখন দেশটির রাস্তাঘাট ও এভিনিউ অন্ধকারে ডুবে থাকে, তখন ট্রাফিক লাইট কোন কাজে আসে না। এর ফলে রাস্তায় এক যানজটের সৃষ্টি হয়।

দেশের টেলিফোন কোম্পানীর কি অবস্থা? ডুয়ার্টে ১০১ ব্লগের জোয়ান গুয়েরেরো লিখেছেন, দেশটির টেলিযোগাযোগ খাত এখন বাড়তে থাকা চুরি শিল্পের শিকার। চোরেরা তার এবং অন্য যন্ত্রপাতি চুরি করে নিয়ে যায়। যার প্রভাব সরাসরি এর গ্রাহকদের উপর পড়ে। এইসব কোম্পানী হিসেব করে দেখেছে, কেবল এ বছরেই এ ধরনের চুরির ফলে তারা সরাসরি ৫৩ মিলিয়ন পেসোর সম পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে (১.৫ মিলিয়ন ডলার)। যখন কোম্পানীগুলো, ভোক্তাদের অভিযোগ এর সাথে যোগ করে, তখন তা এক ভয়ানক সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, যার সমাধান করা অতি জরুরী। গুয়েরেরো আরো জানাচ্ছেন দেশটির টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানী ট্রাইকম, চোরদের চেহারা দেখানোর জন্য ইউটিউব ভিডিওর সহায়তা নিয়েছে। ইউটিউব ভিডিওতে কিছু চোরের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে এবং এই চোরদের সম্বন্ধে কোন তথ্য দিতে পারলে তার জন্য পুরস্কার রয়েছে, যাতে তাদের গ্রেফতার করা যায়।

সরকার এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে সত্যিকারের ভাঙ্গা ধাতুর টুকরা এবং ভুয়া টুকরা আলাদা ভাবে চিহ্নিত করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। ডিয়ারিও ২৭-এফ বর্ণনা করেছে, কোনটা সত্যি আর কোনটা চুরির মাল তা আলাদা করা অসম্ভব। এই ব্যাপারে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং দুইজন লোককে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তারপরেও চুরি চলছে, যেমন সান্তিয়াগোর, লা সালে স্কুলে এই সপ্তাহের শুরুতে যে চুরির ঘটনা ঘটে, এরপর স্কুলটি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .