ব্রাজিল: কালো মানুষ কি দামী গাড়ী চালাতে পারে?

আগস্টের শেষে বর্ণবাদ ও সংস্কার নিয়ে এক এক তীব্র বির্তক ব্রাজিলের সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। এক অপমানজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে সারা দেশ জুড়ে এই উত্তেজনা দেখা দেয়। জানুয়ারিও আলভেজ দে সান্তানা ত্রিশোর্ধ এক নিগ্রো ব্যক্তি। তাকে একদল নিরাপত্তা প্রহরী প্রহার করে যখন তিনি তার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের জন্য ব্রাজিলের অন্যতম এক বৃহৎ আন্তর্জাতিক বিপনী বিতানের সামনে গাড়ি পার্কিং করার স্থানে অপেক্ষা করছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল সে তার নিজের গাড়ী চুরি করার চেষ্টা করছিল [পর্তুগীজ ভাষায়]। তাকে আক্রমণ করা প্রহরীরা এমনটা ভেবেছিল কারণ, সে এক কালো মানুষ, তাই তার ফোর্ড ইকোস্পোর্টস ( এমন এক গাড়ী যা ব্রাজিলে অত্যন্ত দামী বলে বিবেচিত হয়) গাড়ী কেনার মত সমর্থ নেই।

ছবি জুয়ারেজ সিলভা জুনিয়র এর সৌজন্যে

ছবি জুয়ারেজ সিলভা জুনিয়র এর সৌজন্যে

এ্যাডভেঞ্চার অফ এ গ্রিংগা ব্লগের র‌্যাচেল গ্লিকহাউস আগস্টের ৭ তারিখে ঘটা এই ঘটনা, যে ভাবে জানুয়ারিও বলেছে সেভাবে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন:

গাড়িটির বাইরে দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় তিনি খেয়াল করেন, কিছু সন্দেহজনক চরিত্র তার দিকে তাকাচ্ছে। তাদের মধ্যে একজন, যে আসলে এক নিরাপত্তা কর্মী তার দিকে তাকিয়ে একটা পিস্তল বার করে। জানুয়ারিওর পরিচয় না জিজ্ঞেস করেই তাকে আক্রমণ করে। জানুয়ারিও তখন বুঝতে পারে নি সে আসলে গুণ্ডা নাকি পুলিশ। যখন তারা দুই জনে ধস্তাধস্তি করছিল, পথিকেরা সাহায্যের জন্য ডাকাডাকি করতে শুরু করে, জানুয়ারিও তখন ভাবল এ যাত্রায় সে রক্ষা পেল। কারফুর থেকে বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মী তখন বের হয়ে আসে। জানুয়ারিও সে সময় ব্যাখ্যা করেন, এটা অনেকটা ভুল বোঝাবুঝির ব্যাপার – সে আসলে সেখানে রাখা কোন মোটরসাইকেল চুরি করতে আসে নি। নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে পাকড়াও করে ভেতরে একটা ছোট ঘরে ঢোকায়। এখানে ঢোকানোর উদ্দেশ্য, তারা বের করতে চায় আসলে কি ঘটেছিল। তারা বলল, তুই ব্যাটা একটা একটা ইকোস্পোর্টস চুরি করেছিস, এরপর আবার মোটর সাইকেল চুরি করতে চাস?

এরপর পাঁচজন নিরাপত্তা কর্মী জানুয়ারিওকে মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেলে। যাকে আসলে বলা হয় “শাস্তি দেবার সময় কাল” সে সময় তাকে আঘাত করা, ঘুষি মরা, মাথা ঠুকে দেওয়া ও পিস্তল দিয়ে মারা হয়। তার দাঁতে ঘুসি মারা হয় এবং তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়। জানুয়ারিও তাদের বোঝানোর চেষ্টা করে যে এই গাড়ীটি তার নিজের এবং গাড়ীর ভিতরে তার শিশুকন্যাটি রয়েছে। তার পরিবার কেনাকাটা করতে গেছে। যারা মারছিল তারা এই কথাগুলো উপেক্ষা করে। “থাম, নি***, ব্যাটা তুই যদি না থামিস, তা হলে তোর শরীরে প্রত্যেকটা হাড্ডি ভেঙ্গে ফেলা হবে”, তাদের একজন গর্জন করে উঠে। যখন সে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছিল তখন তারা হেসে ওঠে। পুলিশ আসার আগে পর্যন্ত এই মারধর চলে, প্রায় ২০ মিনিট ধরে ।

ভদ্রমহিলা এর সাথে আরো যোগ করেন, “অত্যাচার তখনও শেষ হয়নি” এমনকি পুলিশ আসার পরও তা বজায় ছিল।

মিলিটারী পুলিশের একজনের নাম পিনা। সে জানুয়ারিওর গল্প বিশ্বাস করেনি। “তোকে দেখে মনে হচ্ছে তুই কয়েক বার জেলে ছিলি। মেনে নে, স্বীকার কর, তা হলে সব ঠিক হয়ে যাবে” পুলিশ কর্মকর্তা বলেন। আরেক পুলিশ কর্মকর্তা বিশ্বাস করেনি যে সেও এক নিরাপত্তা কর্মী। পুলিশ কর্মকর্তাটি তাকে নিরাপত্তা নীতি নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন করে। অবশেষে পুলিশ জানুয়ারিওর গাড়ির কাছে যায় এবং তারা নিশ্চিত হয় যে, এটি তার ও তার স্ত্রীর গাড়ী। সে সময় তার পরিবার সেখানে ছিল। তারা জানুয়ারিওকে দেখে ধাক্কা খায় এবং তার মেয়েটি তখনও গাড়ীর ভেতরে ঘুমাচ্ছিল।

তাকে কোন ধরনের সাহায্য করা বা কোন এম্বুলেন্স পাঠানো ছাড়াই পুলিশ সেখান থেকে চলে যায়। তাকে তার পরিবার হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মানসিক ধাক্কা ও তীব্র ব্যথার চিৎকিসা দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর সে শরীরের আট কিলো ওজন হারিয়েছে। সে এখন অনিদ্রা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। সে তার কাজে যোগ দিতে পারছে না। গত বৃহস্পতিবার তার মাথার খুলির যে হাড় ফেটে গিয়েছিল, তার অপারেশন করা হয়। স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে পরিবারটি এই ঘটনার উপর এক অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু পুলিশের ভাষ্যমতে তার এই মারের চিহ্ন এক “বিরক্তি” ও “কিছু ক্রেতাদের মারামারির” ফল। কারফুর এই ভুল বোঝাবুঝির ঘটনার উপর এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে এবং তারা বলছে যে এই ঘটনার তদন্তে তারা পূর্ণ সমর্থন দেবে [পর্তুগীজ ভাষায়]।

ইতোমধ্যে জানুয়ারিও সেই বিক্রেতা দোকান ও সাও পাওলো প্রশাসনকে আদালতে নিয়ে যাবার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। একই সাথে সে তার গাড়ীটি বিক্রি করার পরিকল্পনাও করে ফেলেছে। এই গাড়ীটির জন্য এখনো তাকে প্রায় ব্রাজিলীয়ান মুদ্রায় ৭৮৯ রিয়াল [ প্রায় ৪১৯ ডলার ] দিয়ে যেতে হচ্ছে। মোট ৭২ কিস্তি তাকে প্রদান করতে হবে।

এই ঘটনা সারা দেশে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। দেশের বেশির ভাগ লোক জানুয়ারিওর প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু এরকম ঘটনা এবারই প্রথম নয়। যেমনটা সেনসুয়ার্দো [সেনসরড, পর্তুগীজ ভাষায়] নির্দেশ করেছেন, একই রিটেল বা চেইন দোকানের নিরাপত্তা রক্ষীরা কালো লোকদের প্রতি এর আগেও এ ধরনের একই বর্ণবাদ মূলক কাজ করেছে। ব্লগার ঘটনাক্রমে পাঠকদের জিজ্ঞেস করছেন:

Queria um conselho dos meus leitores. Se um dia eu precisar comprar, sei lá, um shampoo no Carrefour, devo levar um amigo branco junto comigo?

আমি আমার পাঠকদের কাছে কিছু উপদেশ চাই, যদি আমার কিছু কিনতে হয় , যেমন কিছু শ্যাম্পু এবং সেটা কারফুর থেকে, তা হলে কি সাথে আমি আমার সাদা বন্ধুকে নিয়ে যাব?

মারিয়া ফ্রো [পর্তুগীজ ভাষায়] মূল সংবাদ পুন:প্রকাশ করেছে। মূল সংবাদটি আফ্রো প্রেসে [পর্তুগীজ ভাষায়] লেখা হয়েছিল। মারিয়া সংবাদটিতে এক ভিন্ন শিরোনাম যোগ করেছে। সে ব্রাজিলের অন্যতম সেরা বিক্রি হওয়া বই, সাংবাদিক আলি কামেল এর “নোয়া সমোস রেসিস্তা” [ আমরা বর্ণবাদী নই] থেকে কিছু অংশ নিয়েছে। মারিয়ার ব্লগ পোস্টের শিরোনাম:

É, segundo Kamel, não somos racistas. Só quase assassinos.

কামেলের মতে “আমরা বর্ণবাদী নই। আমরা খুনীর সম পর্যায়ের”।

দি পাও ই রোসাস [পর্তুগীজ ভাষায়] ব্লগ প্রচণ্ড আবেগের সাথে ঘটনার নিন্দা করেছেন। এটা একই যৌক্তিক রেখাকে অনুসরণ করে, যা ব্রাজিলীয় সাংস্কৃতিক মিশ্রনের মিথ বা রূপকে নষ্ট করে। এই রূপকথা এক বর্ণগত গণতন্ত্রের এক ঐক্যতান রচনা করে।

Enquanto os discursos de intelectuais, políticos burgueses e dos meios de comunicação afirmam veemente “Não somos racistas”, vem à tona um caso escandaloso de como o racismo se reproduz nas formas mais violentas e repugnantes. Todo a falácia da democracia racial cai por terra frente a casos como este – e poderíamos listar tantos outros que ganharam repercussão e depois foram esquecidos, na maioria das vezes marcados pela impunidade.

যখন বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চাকারী ব্যক্তি, বুর্জোয়া রাজনীতিক এবং গণ মাধ্যম এই বাণী প্রচার করছে যে, “আমরা বর্ণবাদী নই”, সে সময় এ ধরনের কেলেঙ্কারি প্রকাশ করছে কত তীব্র এবং ঘৃণার সাথে এদেশে বর্ণবাদ প্রকাশ পাচ্ছে। বহুবর্ণের এই গণতন্ত্র একটা ভ্রান্তিপূর্ণ ধারণা, যা এ ধরনের ঘটনায় ভেঙ্গে পড়ে এবং আমরা এ ধরনের অনেক ঘটনার তালিকা তৈরি করতে পারি, এক এক সময় এক জঘন্য ঘটনা তৈরি হয়, যা মানুষকে প্রচণ্ড ভাবে আঘাত করে, কিন্তু আমরা শ্রীঘই তা ভুলে যাই, বেশিরভাগ সময় এসব ঘটনার কোন বিচার হয় না।

ব্লগ ডো জুয়ারেজ [পর্তুগীজ] এর জুয়ারেজ সিলভা জুনিয়র বিস্মিত হবেন, যদি বিষয়টি সত্য হয় যে, ব্রাজিলে কালো মানুষদের প্রতি বৈষম্য বর্ণবাদী নয়, সামাজিক সমস্যা:

quando o negro sai do seu “esteriótipo e ‘lugar’ social ” ele “paga o preço”, afinal se ele não tivesse um carro bacana, talvez nada disso tivesse acontecido não é mesmo ???? , cansado de ter problemas por sua situação social não condizer com o “esperado” pela sociedade, a vítima já pensa em vender o “carro problemático” […]
Deus me livre de por as rodas do meu vistoso Adventure no estacionamento dessa rede…, BOICOTE JÁ.

যখন কালো মানুষের নির্দিষ্ট বাঁধাধরা ও সামাজিক এলাকার জন্য খাপ খায় না, তখন এর জন্য তাদের মূল্য প্রদান করতে হয়- যদি [ ওই ব্যক্তিটির] তার একটা দামি গাড়ী না থাকত, তা হলে হয়তো এই ঘটনাটি ঘটত না, নয়কি????? সে এই ঝামেলার মধ্যে পড়েছে, কারণ তার সামাজিক মর্যাদা। সমাজ যে ভাবে তাকে আশা করে, সেই অবস্থায় তার এই অর্জন খাপ খায় না। এখন ঘটনার শিকার ব্যক্তিটি ইতোমধ্যে তার “সমস্যাযুক্ত গাড়ী” বিক্রি করে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে […] ।
ঈশ্বর আমাদের ক্ষমা করুক, এই কারণে যে আমি আমার গাড়ীকে সেই চেইন শপ বা দোকানের পার্কিং এলাকায় রাখার মতো সাহস করেছি….. চল তাদের বয়কট করি।

বর্ণবাদী কারফুর” বর্ণবাদের বিরুদ্ধে এক প্রর্দশনী। কারফুর এর গাড়ী পার্কিং এর জায়গায় গাড়ীরগুলোর সামনে লেখাটি রয়েছে। ছবি টুইটপিকের @র্বের্লিটজ-এর

বর্ণবাদী কারফুর” বর্ণবাদের বিরুদ্ধে এক প্রর্দশনী। কারফুর এর গাড়ী পার্কিং এর জায়গায় গাড়ীরগুলোর সামনে লেখাটি রয়েছে। ছবি টুইটপিকের @র্বের্লিটজ-এর


গেলেডেস ইনিস্টিটিউট দে মুলহার নেগ্রা [গেলেডেস ব্লাক উইমেন ইনিস্টিটিউট, পর্তুগীজ ভাষায়] এর ওয়েবসাইটে এই সংবাদে দু:খ প্রকাশ করেছে এবং এই মন্তব্যের ঘরে এই অবিচারের বিরুদ্ধে তাদের ততক্ষনাৎ তাদের কন্ঠস্বর প্রকাশ করেছে। এরায়ন বলেন:

Só no Brasil se acha que o racismo é velado. Velado nada! Só não vê quem não quer, ou seja, o povo brasileiro iludido por uma visão deturpada de si mesmo. “Somos mestiços!” diz um, “Não existe preto ou branco” diz outro na hora que esse preto inexistente diz sofrer racismo. Lá fora, quem conhece o Brasil, não consegue entender como esse país pode, por tanto tempo, esconder seu racismo doente. Aqui dentro, vivemos na insanidade coletiva: brancos acham que racismo não existe, que tá na cabeça dos pretos (que, segundo alguns pretos e brancos, não existem), negros dizem que o racismo brasileiro é “velado”; e muitos aceitam essa situação (alguns até dizendo nunca terem sofrido racismo, mesmo sendo alvo dele todo o dia). A história do bahiano me deixa triste , por que ela v ai se repetir, e se repetir, e se repetir sem que façamos nada. Ou iremos fazer algo?

কেবলমাত্র ব্রাজিলে লোকজন ভাবে বর্ণবাদ হারিয়ে গেছে। বাজে কথা! এটা কেবল তাদের কাছে হারিয়ে গেছে যারা একে দেখতে চায় না। ব্রাজিলীয়ানরা তাদের এক বিভ্রান্তিমূলক ধারণায় ডুবে রয়েছে যে, আমরা মিশ্র জাতি! কেউ একজন বলেছে; সাদা বা কালো বলে কিছু নেই। অন্য একজন ঘোষণা করেছে, অজ্ঞানী কোন কালো ব্যক্তি কি বলেছে, যে সে বর্ণবাদের শিকার হয়েছে। বিদেশীরা জানে ব্রাজিল কি? তারা ঠিক বুঝে উঠতে পারে না, কি ভাবে এই দেশটি তার এই অসুস্থ বর্ণবাদ এতদিন লুকিয়ে রেখেছে। এখানে আমরা এক যৌথ উন্মাদনার মধ্যে বাস করি: এখানকার সাদা লোকেরা ভাবে এদেশে বর্ণবাদের মতো কোন বিষয় নেই এবং তা অনেকটাই কিছু কালো মানুষের কল্পনা (সেই সমস্ত “কালো” মানুষ অন্য লোকেরা বলে, তাদের কোন অস্তিত্ব নেই), এবং কালো মানুষেরা বলে ব্রাজিলের বর্ণবাদ অনেকটা “ঢেকে রাখা”; অনেকে এই পরিস্থিতি মেনে নেয় (এবং অনেকে এমনকি বলে যে তারা কখনই বর্ণবাদের শিকার হয়নি, যদিও তারা প্রতিদিনই এর শিকার হচ্ছে এবং এই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়)। বাহাই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের এই লোকটির ঘটনা আমাকে ব্যাথিত করে, কারণ এই বিষয়ে আমাদের কোন প্রতিক্রিয়া না দেখানোর ফলে তা বার বার ঘটতে থাকবে। আমরা কি এর বিরুদ্ধে কোন অবস্থান নেব ?

ব্লগারের এই প্রশ্নের উত্তরে, যেন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। আগস্টের ২২ তারিখে এক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয় এবং গেলাডেস আনুসারে এই বড় চেইন দোকানের বিরুদ্ধে সেপ্টেম্বরের পাঁচ তারিখে এক বড় ধরনের বিক্ষোভ প্রর্দশনীর আয়োজন করা হয়েছে।

বর্ণ বিষয়টি বেশ জটিল, সেই সমস্ত দেশের জন্য আরো জটিল যে দেশটি একবার উপনিবেশিক সময় পার করে এসেছে এবং উন্নয়নশীল অবস্থায় রয়েছে। এই সমস্ত দেশের যদি দাসত্বের ইতিহাস থেকে থাকে, তা হলে এই দেশের আধুনিক সমাজেও অনেক সংস্কার থেকে যায়। ব্রাজিলে এক সময় কালো আফ্রিকার লোকদের নির্মম ভাবে দাস হিসেবে খাটিয়েছে, এই ঘটনা চলেছিল প্রায় ৩০০ বছর এবং তা এক নিদিষ্ট মাত্রায়। কলোনীর সময় এরাই ছিল অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি। বর্ণবাদ সব সময় এদেশের সামাজিক সর্ম্পকের সাথে যুক্ত ছিল। কালো মানুষেরা আজও প্রতিদিন অতীতের সেই সামাজিক বর্ণবাদের ঘৃণা এ যন্ত্রণা উত্তরাধিকার সূত্রে বয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু এগুলো সব চিন্তার খোরাক এবং অন্য পোস্টের জন্য এক উপাদান মাত্র।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .