- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

জাপান: বৈজ্ঞানিক গবেষণা নাকি বাণিজ্যিক কারণে তিমি শিকার?

বিষয়বস্তু: পূর্ব এশিয়া, জাপান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, পরিবেশ, প্রতিবাদ

অনেক দেশে তিমি শিকার এক প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী প্রথা। এই সমস্ত দেশে সভ্যতার শুরু থেকে মাছ ধরার কার্যক্রম চলে আসছে। হাজার বছর ধরে জাপানে তিমি শিকারের ঘটনা ঘটে আসছে। ১৯৮০ সালে সমুদ্রের বাসিন্দা এই প্রাণীটির যত্রতত্র হত্যা বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এক উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং এর জন্য আইন তৈরি করে। এই আইনের উদ্দেশ্য এই প্রজাতিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা।

১৯৮৬ সাল থেকে যখন আন্তর্জাতিক তিমি শিকার কমিটি (আইডাব্লিউসি) তিমি শিকারের উপর বিশেষ নিষেধাজ্ঞা জারির পর, জাপানে বাণিজ্যিক ভাবে তিমি শিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কেবলমাত্র বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য জাপানে তিমি শিকারের [1] অনুমতি প্রদান করা হয়। কিন্তু এই বিষয়টিও পরিবেশবাদী সংগঠন ও তিমি শিকার বিরোধী দেশগুলো সুনজরে দেখে না। তারা বলছে বৈজ্ঞানিক গবেষণার আড়ালে বাণিজ্যিক ভাবে তিমি শিকার করা হয়, যেমনটা মাটুমো সারসংক্ষেপে করেছে [2][জাপানী ভাষায়]

1982年の今日、国際捕鯨委員会で1986年からの商業捕鯨全面禁止案が採択されました。日本では、約8000年前の縄文時代からから捕鯨が行われていました!
また、長崎県壱岐市の原の辻(はるのつじ)遺跡からは弥生時代の捕鯨の跡が出土しています。
現在では、調査捕鯨のみが許可されていますが、調査の名目で、捕獲されたクジラが食用になったりしています。

১৯৮২ সালের ২৩ জুলাই (জাপানে) সকল ধরনের বাণিজ্যিক তিমি শিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৬ সালে তা আইনে পরিণত হয়।
জাপানে প্রায় ৮০০০ বছর আগের জোমন যুগ থেকে তিমি শিকার চলে আসছে। নাগাসাকি প্রদেশের ধ্বংসপ্রাপ্ত ইকিই শহরে কিছু ক্ষয়ে যাওয়া নমুনা পাওয়া যায়, যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে ইয়াওয়ি যুগেও ধারাবাহিক ভাবে তিমি শিকার চলছিল।

বর্তমানে কেবল গবেষণার জন্য তিমি শিকার করার অনুমতি মেলে, কিন্তু বৈজ্ঞানিক গবেষণার নামে প্রচুর তিমি শিকার হয় যেগুলো পরে খাবারে পরিণত হয়।

তিমির মাংস: ফ্লিকার ইউজার আইডি: গিলগোনগো

তিমির মাংস: ফ্লিকার ইউজার আইডি: গিলগোনগো

গত বছরের জুন মাসে জাপানী গ্রীনপিসের দুই কর্মী গ্রেফতার হয় [3]। তাদের গ্রেফতারের কারণ, তারা এক বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য পরিচালিত তিমি শিকারী জাহাজ থেকে তিমির মাংস চুরি করার চেষ্টা করছিল। এই আলামত টোকিওর আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এই ঘটনাটি তিমির মাংস পাচার কেলেঙ্কারির বিষয়টি [4] উন্মোচন করে দেয়।

একজন ব্লগার এই ঘটনা নিয়ে লিখেছে [5][জাপানী ভাষায়] এবং তুলে ধরছে অন্যতম অভিযুক্ত জুনিইচি সাতোর কথা:

佐藤さんの話に戻るが、敗戦直後の日本人の栄養補給のため、マッカーサーが日本の南極捕鯨をOKした。我々の年代は良く知っているが、小学校の給食に鯨肉がよく出てきたものだ。
1980年代になって鯨の乱獲から南極が鯨保護区になり(種の保全)、商業捕鯨が禁止となったが、日本はその取り決めを拒否した。

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকান জেনারেল ম্যাক আর্থার [6] জাপানীদের বলেন যে তারা তিমি শিকার করতে পারবে। কারণ তিমি জাপানীদের খাদ্যের এক অন্যতম উৎস। আমাদের প্রজন্ম এই বিষয়টি জানে, কারণ ছোট বেলায় স্কুলে আমাদের দুপুরের খাবারের সময় তিমির মাংস দেওয়া হত।

১৯৮০এর দশকে আন্তর্জাতিক ভাবে এই বর্বর হত্যাকাণ্ড এবং তিমির মাংস নিয়ে ব্যবসা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। সে সময় থেকে উত্তর মেরুকে তিমিদের জন্য এক নিরাপদ এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হয় (এই প্রাণীদের নিরাপত্তার জন্য)। তবে জাপান এই ঘোষণা মানতে অস্বীকার করে।

そして日本は「調査捕鯨」という名目で今でも年間1400頭獲ってる。(実質は商業捕鯨)
しかも水産庁が「共同船舶株式会社」という会社に調査捕鯨を委託し、年間12億円の助成を出している。(国営事業)
調査捕鯨の内部告発として「捕鯨ノルマがあるが、もともと捕獲した鯨をすべて曳船できず”獲っては捨てる”を繰り返している」という。(驚)

বৈজ্ঞানিক গবেষণার আড়ালে বছরে প্রায় ১৪০০ তিমি শিকার করা হয় (যদিও বাস্তবতা হচ্ছে বাণিজ্যিক কারণেই এসব তিমি শিকার করা হয়)। জাপানী মৎস্য মন্ত্রণালয় এই গবেষণার জন্য একটি কোম্পানীকে অনুমতি দিয়েছে যার মান কায়োডো সেনপাকু কাইশা লিমিটেড। একই সাথে তাদের বছরে ১.২ বিলিয়ন ইয়েন ভর্তুকি দেওয়া হয়। (রাষ্ট্রীয় বিষয়)

এক সূত্র অনুসারে বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য তিমি শিকারের জাহাজে তিমি শিকারের ক্ষেত্রে কোটা রয়েছে, কিন্তু সকল শিকার করা তিমিকে বহন করা যাবে না, কাজেই “তিমি মেরে তাকে আবার সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হয়” (এটি শোনার পর আমি বিস্মিত হয়ে গেছি)।

সাতো সান যিনি ও তার সঙ্গী দশ বছর জেল হবার ঝুঁকি নিয়েও [7]তিমির মাংস শিকারি জাহাজ থেকে চুরি করেছিলেন, তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে তার ব্লগে মন্তব্য করেছেন [8] [জাপানী ভাষায়]।

日本では多くの人が、「クジラが魚を食べすぎて私たちが食べる魚が減少している。クジラは間引いたほうが良い」というプロパガンダを信じていると思います。このプロパガンダは日本鯨類研究所が長年にわたって使ってきた(*1)ものですが、昨年、国際自然保護連合(IUCN)がそれを否定する決議を採択したこと(*2)や、海外の科学者らがこの議論を批判しているのを意識したのでしょうか、森下氏はこのプロパガンダが科学的に結論づけられたものではないと明確にしたのです。

অনেক জাপানী এই প্রচারণায় বিশ্বাস করে যে তিমি অনেক মাছ খায় এবং এ কারণে মাছের সংখ্যা কমে আসছে। কাজেই মাছের মঙ্গলের জন্য তিমির সংখ্যা কমানো ভালো।

ইনস্টিউট অফ সেটাসিয়ান রিসার্চ (১) এই ধরনের প্রচারণা ছড়ানোর পেছনে দায়ী। তবে গতবছর ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজার্ভেশন অফ নেচার (আইইউসিএন) বা বিশ্ব সংরক্ষণবাদী প্রতিষ্ঠান এমন এক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে যা এ ধরনের বিশ্বাসকে ভ্রান্ত বলে অভিহিত করে। (২) এছাড়া এখন পরিষ্কার যে বিদেশী বৈজ্ঞানিকরা এই তত্বের সমালোচনা করেছে। এই তত্বের প্রচার করেন মি: মারিশিতো [তিনি জাপানী মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের এক উপদেষ্টা]। এখন স্বীকার করে নেওয়া হচ্ছে এই প্রচারণার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

[…]

この日、オーストラリアのギャレット環境相は、南極海におけるクジラを殺さない科学調査を2009年から2014年にかけて行う計画を発表しました。この計画は、あらゆる国の科学者の参加を促し、毎年IWC科学委員会からのアドバイスを受けながら計画を調整していくという点で、日本の調査捕鯨の進め方とは大きく異なります。

অষ্ট্রেলিয়ার পরিবেশ মন্ত্রী গ্যারেট একটি প্রকল্প উপস্থাপন করেন যা এক বৈজ্ঞানিক গবেষণা। এই গবেষণার আওতায় ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আটলান্টিক মহাসাগরে কোন তিমি শিকার করা যাবে না। এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করার জন্য বিশ্বের সকল দেশের বৈজ্ঞানিকদের আহ্বান জানানো হয় এবং প্রতি বছর তারা তাদের গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত করবে। একই সময় তারা আইডাব্লিউসির বৈজ্ঞানিকদের পরামর্শ গ্রহণ করবে। সেখানে এক পদ্ধতি তৈরি করা হয় যা জাপানের এই বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য তিমি শিকারকে বড় আকারে বিরোধিতা করে।

[…]

日本は、この調査提案に参加を表明していません。しかし、本当に日本が南極の鯨類調査に真剣であるのなら、クジラを捕殺しないこのような調査に参加し、南極で捕獲しなければならないクジラの数を減らしていくという姿勢が求められるでしょう。そうでなければ、「調査捕鯨」の目的が科学調査以外にあることが明白になってしまいます。

জাপান ইঙ্গিত প্রদান করেনি যে তারা এই গবেষণার প্রস্তাবনায় অংশগ্রহণ করবে। তবে যদি জাপান তার বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অ্যান্টার্কটিকা মহাসাগরে তিমি শিকারের ব্যাপারে গুরুত্ব প্রদান করে থাকে, তবে তার শর্ত হিসেবে তাকে এই ধরনের প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে হবে, যেমন এর মধ্যে অন্যতম শর্ত তিমি শিকার না করা এবং দক্ষিণ সাগরে তিমি শিকার না করার বিষয়টি তাকে প্রদর্শন করতে হবে। সেখানে তিমি শিকার নিষিদ্ধ। দক্ষিণ সাগরে তিমির সংখ্যা যাতে হ্রাস না পায় সে জন্য সেখানে তিমি শিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যদি এই বিষয়টি রাষ্ট্রীয় কোন বিষয় নয়, বৈজ্ঞানিক গবেষণায় তিমি শিকার পরিষ্কার ভাবে বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ড থেকে এক ভিন্ন বিষয়।

(1)「クジラが食べているのはサンマやサケ、スケトウダラなど、人類が漁業資源として利用しているものも多く、その量は世界の漁獲高の3~5倍。人類の食料となる水産資源への影響は絶大です」(日本鯨類研究所パンフレット「クジラの調査はなぜやるの?」)
(2)IUCN「鯨類と漁業の関係に関する決議」 (PDF)

১) তিমি মাছ খায়, যেমন সার্ডিন, স্যামন, আলাস্কা পোলাক ইত্যাদি। জেলেরা জীবিকা নির্বাহের উৎস হিসেবে অনেক এই সব মাছ ধরে থাকে। তিমির দিনে মাছ খাবার পরিমাণ বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে একবারে মাছ শিকারে যতটুকু পাওয়া তার চার থেকে পাঁচ গুণ। তিমির এই পরিমাণ খাদ্য গ্রহণের কারণে তা সহজে মানুষের মাছ জাতীয় খাদ্য পাওয়ার উপর এক প্রচণ্ড প্রভাব ফেলবে। (ইনস্টিউট অফ সেটাসিয়ান রিসার্চ বা সমুদ্রবাসীদের উপর গবেষণা কেন্দ্রের প্রচার পত্র, কেন তিমিদের উপর গবেষণা করবেন?)

২)আইইউসিএন মাছ ও বড় আকারের তিমির মধ্যে সম্পর্ক [9][পিডিএফ ফরমেটে ও ইংরেজী ভাষায়]

এই বছরের শুরুতে তিমি শিকারের উপর নির্মিত এক তদন্ত মূলক তথ্য চিত্র “দি কোভ [10]” সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শন করা হয় এবং তা “দর্শক পছন্দ” পুরস্কার লাভ করে। যেমনটা, একোজিন এই চলচ্চিত্রের কিছু অংশের বর্ণনা [11] [জাপানী ভাষায়] আমাদের জানাচ্ছেন:

和歌山県東牟婁郡太治町(たいじちょう)。
今後この漁業の町が、日本国内で大きな注目を浴びることになるかもしれない。
アメリカのサンダンス映画祭で2009年度観客賞を受賞したのが、「The Cove」(入り江)。
「反捕鯨」のドキュメンタリー映画らしい。

হিগাশি মুরুগান, ডিয়াশিহিচো, ওয়াকামা প্রদেশ।
এখন থেকে এই গ্রামের যারা মাছ ধরার উপর জীবিকা নির্বাহ করত, তারা সারা দেশের মনোযোগ আকর্ষণ করে।
২০০৯ সালে আমেরিকার সানড্যান্স উৎসবে দি কোভ অডিয়েন্স বা শ্রোতা পুরস্কার লাভ করে। এই তথ্যচিত্রটি তিমি শিকারের বিরোধিতা করে তৈরি করা হয়েছে।

伝統的にクジラ漁で栄えたこの町で、密かに年間20000頭ものイルカが殺されており、鯨肉として売られている。
さらに、その肉にはメチル水銀などの有害物質が検出されており食べるのに適していない。
のみならず、そのイルカは海外向けに闇取引されている。
これらの「事実」を多くの日本人は知らされていない。
開放的な民主主義国であるはずの日本に厳然と存在する「暗部」だ、、、
というのが主旨らしい。どうやら。

ছোট্ট এক শহর, যার বাণিজ্যিক কারণে তিমি শিকারের ঐতিহ্য রয়েছে, তারা প্রতি বছর গোপনে প্রায় ২০০০০ ডলফিন হত্যা করে এবং তিমির মাংস বলে বিক্রি করে, আরো রয়েছে, মারকারি বা পারদ নামের এক বিষাক্ত উপাদান তিমির মাংসে পাওয়া গেছে, যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর!
এর সাথে যোগ করুন এই ডলফিনের মাংস এক রহস্যময় ব্যবসার মাধ্যমে বিদেশী ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়।
এই সমস্ত তথ্য জাপানীদের কাছে অজানা। এটা এক অন্ধকার দিক এমন এক দেশে, যে দেশের লোকজন ভাবে দেশটি উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক পন্থায় চলছে।
এই সমস্ত বিষয় নিয়েই এই চলচ্চিত্রটি তৈরি হয়েছে।