বিশ্ব: রমজান মুবারক

এই সপ্তাহে সারা বিশ্বে রমজানের আগমন ঘটেছে, সব জায়গার মুসলিম ও অমুসলিম ব্লগাররা একে অন্যকে রমজান মুবারকের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে (অথবা “রমজানকে মহিমান্বিত করা”)। প্রতি বছর এর আগমন ঘটে, সেক্ষেত্রে ব্লগাররা এ বছর রমজান নিয়ে কথা বলার নানা বিষয় খুঁজে পেয়েছে, যার মধ্য কোরান থেকে রমজানের কষ্টের বিষয় রয়েছে, রয়েছে সারাদিন কোন পানাহার না করার মতো আলাপ।

হোয়াইট হাউস থেকে… রমজান করিম

এই বছর ব্লগারদের মধ্যে অন্যতম এক জনপ্রিয় বিষয় হচ্ছে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার রমজানের ভাষণ। তার এই ভাষণে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন রমজানে সকল মুসলিম সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ লাভ করুক। মিডল ইস্ট ব্লগের লেখক একজন মিশরীয়। তিনি ওবামার এই আবেগের প্রশংসা করেছেন, কিন্তু এর চেয়ে বেশি কিছু তিনি চেয়েছিলেন

ওবামা এক চমৎকার ব্যক্তি, মন্ত্রমুগ্ধকর বক্তা। তিনি তার বক্তৃতায় ইসলামের উদ্ধৃতি টানেন যা মুসলিমদের মাঝে এক অনুভূতি তৈরি করে যে, তিনি তাদের এবং তাদের ধর্মকে বুঝতে পারেন এবং অন্যদের বিশ্বাসের শিক্ষাও দেন। তিনি মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে তুলে ধরেন- ইরাকের যুদ্ধ এবং ইজরায়েল/প্যালেস্টাইনি দ্বন্দ্ব। এমনকি তিনি এক ভয়ের বিষয় উচ্চারণ করেন, যা অনেক মুসলিমের মনে রয়েছে। এই ভয় সোয়াইন ফ্লুর ভয়। এই রোগ এ বছর হজের (ধর্মীয় যাত্রার) সময় আক্রমণ করতে পারে।

অবশ্যই আমি এই সকল বিষয়কে এমন ভাবে নিয়েছি, যে ভাবে এগুলোকে নেওয়া উচিত। ওবামা তার বাক্যের মাধ্যমে মুসলমিদের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে অসাধারণ কাজ করেছে। কিন্তু আমি অনুভব করছি কেবল ভাষা এক ছদ্মাবরণ তৈরি করছে, যে কাজের প্রতিশ্রুতি তিনি আমাদের দিয়েছিলেন তার অভাব পুরণের জন্যই তার এই ভাষা সৃষ্টি।

এই ভাষণ সম্বন্ধে ইজিপশিয়ান ক্রনিকলেরও এক মিশ্র অনুভূতি রয়েছে, কিন্তু তিনি এর সঙ্গে এক মজার তথ্য যোগ করেছেন

আল্লাহ আকরাম* রাষ্ট্রপতি ওবামা, মুসলিম বিশ্বের প্রতি আরেকটি ভাষণ। এই বার তা অনেকগুলো ভাগে আলাদা করা হয়েছে: ইরাক, প্যালেস্টাইন এবং মুসলিম বিশ্ব। সুন্দর কাজ, চাতুর্য পূর্ণ ভাষণ কোন সন্দেহ নেই।

যাই হোক এ বছর সবচেয়ে দামী “এলই১৮” ও মিশরের সবচেয়ে সুন্দর দামী খেজুরের নাম ওবামা (এই রমজানে কেবল;)।

ramadan-mubarak-02
কোরান পাঠ করা।

পানাহার বন্ধ রাখার বাইরেও রমজান মাস কোরান পড়ার (অথবা আবার পড়ার) মাস। এ মাসে কোরান পড়ার জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। এই মাসের প্রতি রাতে কোরানের ৩০ পারার এক পারা পাঠ করা হয়, এবং এটি করা হয় পুরো মাস জুড়ে। কিছু ব্লগার এই অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে লিখছে।

বিনতে বতুতা (বাহরাইন) যিনি এই রমজানে আরবী ভাষায় কোরান পাঠের এক প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এই অভিজ্ঞতা তিনি তার প্রথম পোস্টে লিখেছেন

গতদিন এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। যখন আমি কোরান পাঠ করছিলাম একই সাথে শেখের কোরান পাঠও শুনছিলাম, সেই সময় আমি অনুভব করলাম আমার দুচোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে, সেই চোখের পানি চিবুক ছুঁয়ে যাচ্ছে। কেউ এই বিষয়টি ভুল বোঝার আগে বলছি, এটা ঘটল খুব সাধারণভাবে, কারণ আমি আরবী ভাষার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। এটা সত্য যে এই ভাষার প্রতি আমি সংবেদনশীল-এই আমার জীবন-এবং এই শব্দগুলো, সুন্দর বা কুৎসিত যাই হোক না কেন, তা আমার উপর এক গভীর প্রভাব তৈরি করে। কিন্তু এ রকম এক শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার অভিজ্ঞতায় আমি বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলাম।

মালয়েশিয়ার আনাস জুবেদি এক পরিকল্পনার উদ্যোগ নিয়েছেন, যার নাম “চল কোরান পড়ি”। মুসলিম বা অমুসলিম যে হোক না কেন, সে কোরান পড়তে পারবে। যে ভাষায় সে তা বুঝতে পারে এবং আমাদের প্রতিদিনের জীবনে তার মূল্যবোধকে আবিষ্কার করতে পারে, সে ভাষায় সে কোরান পড়তে পারে।

হোংলিং এর বাস মালয়েশিয়া। সে এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করছে। এমনকি সে রোজা রাখছে। এর অভিজ্ঞতা নিয়ে সে লিখেছে:

এ বছর ফেসবুকের মাধ্যমে আমি আমার রোজা রাখার কথা ঘোষণা করি। এর অনেক প্রতি উত্তর এসেছে এবং অনেক বন্ধুর অনেক মন্তব্যে পরিষ্কার যে এই বিষয়ে একটা কৌতূহল রয়ে গেছে। না, আমি মুসলমান নই, কিন্তু আমি একজন মালয়েশিয়ান, যখন আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয় তখন আমি এই উত্তর করি (এ কারণে আমি রোজা রাখছি, মানে পানাহার থেকে বিরত থাকছি)।

রমজানে পানাহার বন্ধ রাখা আমার জন্য নতুন কিছু নয়। আমি তখন থেকে এই কাজটি করে আসছি যখন থেকে আমি রান্না করা ও ভোর পাঁচটায় উঠে শাহুর (সেহরি) খাবার স্বাধীনতা লাভ করেছি। চার বছর ধরে রমজানের সময় পানাহার বন্ধ রেখে পুয়াশা (মালয়েশিয়ান ভাষায় রোজা) পালন করে এসেছি। এরপর ছয় বছর তা বন্ধ রাখি গ্যাস্ট্রিক এর বেদনার কারণে। এই বছর আমি আবার তা পালন করা শুরু করি। আজকে আমার সহকর্মীরা হঠাৎ আমায় প্রশ্ন করে বসে, কি কারণে আমি রমজান মাসে পানাহার বন্ধ রাখি।

এর উত্তর খুব সাধারণ। আমি ছয় বছর ধরে চার্চে যাই। আমি সেখানে যাই খ্রীষ্টান ধর্ম সম্বন্ধে জানতে এবং আমার ইংরেজিতে কথা বলা উন্নত করতে। যখন আমার বয়স ১৩ বছর সে সময় আমি বৌদ্ধধর্মকে আবিষ্কার করি। বৌদ্ধধর্ম! (হ্যাঁ, আমি বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী) এই ধর্ম তার অনুসারীদের কোনটা ঠিক তা বের করার আগে অন্য ধর্ম সম্বন্ধে জানতে এবং আবিষ্কার করতে উৎসাহ প্রদান করে। একজন মালয়েশিয়ান হিসেবে এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার কারণে সংস্কৃতি ও ধর্ম সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করা আমার জন্য অনেক সহজ। যখন এই সুযোগ রয়েছে, তবে তা কেন গ্রহণ করবো না। এ কারণেই আমি ইসলাম সম্বন্ধে জানতে চেষ্টা করি এবং মাঝে মাঝে তার দৈনন্দিন রীতি রেওয়াজ পালন করি।

রমজানের সময় যে সমস্যা তৈরি হয়

বেশিরভাগ মুসলিম রমজানের আগমনে কৃতজ্ঞ এবং রোজা যে চ্যালেঞ্জ বয়ে আনে তা তারা বহন করতে আগ্রহী। জীবন চলতে থাকে এবং একই সময় এর আগমনে যে সমস্ত বিষয় ঘটে তার হাত থেকে এড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব। অ্যান আমেরিকান মুসলিম ইন মরোক্কো একজন ব্লগার। ভদ্রমহিলা তার প্রথম রোজা রাখার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছেন। তিনি উত্তর আফ্রিকার এক মুসলিম নারী। তিনি কিছু অভিজ্ঞতা লাভ করেন, যা তাকে হতাশ করেছে। তিনি দু:খ প্রকাশ করে বলেছেন:

আমি কল্পনা করেছিলাম…. যে, পরিবার এক সাথে সকল প্রার্থনার আয়োজন করবে, রাস্তাঘাটে সকলে একে অন্যকে “আসসালামু আলাইকুম” বা “আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক” বলে সম্বোধন করবে, এ রকম লোককে অতিক্রম করার সংখ্যাটি এত বেশি হবে যে, কতজনের সাথে এই রকম সম্বোধন বিনিময় করলাম তা মনে রাখতে পারবো না; লোকজন একে অন্যকে সাহায্য করতে উৎসাহী হবে এবং বয়স্কদের জন্য তরুণদের শ্রদ্ধা তা আমেরিকান তরুণদের চেয়ে উন্নত হবে। আমি কল্পনা করি কেউ মদ খাবে না। কেউ কাউকে প্রতারিত করার চেষ্টা করবে না। আমি ভাবি যে আমেরিকান মহিলারা যে অভিযোগ করে, তাদের দিকে তাকানো ও বিভিন্ন মন্তব্য করা, এগুলো হবে কল্পনার বাইরে।

কিন্তু যা আবিষ্কার করলাম…. কিশোরীরা বেশ আটোসাটো পোশাক পরে রাস্তায় হাঁটছে, তার পাশে তার মা, যার মুখ পুরো ঘোমটায় ও জেলাবাসে ঢাকা। নোংরা রাস্তা, লোকজন যত্রতত্র ময়লা ফেলছে, তারা ভুলে গেছে আল্লাহ এই পৃথিবী বানিয়েছে তাদের বসবাস করার জন্য এবং এর যত্ন নেবার জন্য। লোকজন রাস্তা পার হবার সময় নিজের জীবন হাতে নিয়ে হাঁটছে, গাড়ী দ্রুত গতিতে তাদের দিকে ধেয়ে আসছে এবং সেগুলোর গতি কমানোর কোন নাম নেই এবং অনেক লোক এমন পান করছে যে যেন তারা রমজানের ৪০ দিন পূর্বে শুকিয়ে গেছে।

প্যালেস্টাইনের ঘটনা আরো জটিল। ইন গাজা, গাজায় তাজা খাদ্যের খারাপ মান এবং ইজরায়েল-এর অবরোধের ফলে মৎস্য শিল্প ও চিকিৎসা বিদ্যার অনুশীলনের সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলেছেন:

এই সকল ঘটনা এবং পরিষ্কার তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায় এক পদ্ধতিগত ভাবে প্যালেস্টাইনীদের জীবনের উপর এক বিপর্যয় তৈরি করা হচ্ছে। এর মধ্যে কেউ একজন আশা করতে পারে না, রমজান আগের বছর গুলোর মতো আনন্দ দায়ক হবে।

প্রতিফলন

সবশেষে, বলা যায় রমজান নিজের জীবনের দিকে ফিরে দেখার সময় এবং অনেক ব্লগার এই সময় আত্ম পরিচয় সন্ধানের বিষয় নিয়ে লিখেছেন। কানাডার কাবোবফেস্টের সানা পাঠকদের সুখী রমজান এর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তিনি তাদের স্মরণ করিয়ে দেন:

আমাদের মনে রাখতে হবে সারা বিশ্বের অনেক মানুষ বেদনার মধ্যে বাস করছে। তাদের অনেকে আমাদের বাড়ির পেছনে বাস করে, অনেকে আমাদের রাস্তায় বাস করে। তারা এটা না জেনেই তাদের সময় অতিবাহিত করে যে, দিনের শেষে এক খাবার ক্ষুধার্ত পেটের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা রোজা রাখি ক্ষুধা অনুভবের জন্য, আমাদের আত্মার জন্য, আমাদের বস্তুগত বিষয়ের জন্য, এবং আমাদের ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যের জন্য। যখন আমরা রোজা রাখি, আমরা অভিজ্ঞতা অর্জন করি এক সাথে যে, এক ক্ষুধার্ত পেটের জ্বালা কি এবং এক বিবর্ণ আত্মার বাস্তবতা কি এবং অবশ্যই এই মাসটিকে এক সম্প্রদায়ের এক সাথে আহার করা মাস হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এই কাজের মধ্যে দিয়ে আমরা আমাদের ভাই ও প্রতিবেশীদের জানতে পারি, তারা মুসলিম হোক আর না হোক। নিজকে পানাহার থেকে বিরত রাখুন এবং নিজের লজ্জাকে, আলস্যকে এবং কু-অভ্যাসকে উপবাসে রাখুন।

ইন্দোনেশিয়া থেকে টিটাস জোনাথন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন সুখী হতে:

যদি লোকজন একে অন্যের সাথে হাসি বিনিময় করে, তা হলে রমজান এক সুন্দর মাস হয়ে দাঁড়ায়। যখনই এই গরম পৃথিবীতে আমাদের খানিকটা বিশ্রাম নেবার জন্য ঘরে আসার সুযোগ হবে, তখন আমরা হাসি টিকেও ঘরে নিয়ে আসি এবং একে অন্যের সাথে ভালোবাসা বিনিময় করি। এই কাজটি আমরা কেবল এই একটি মাসের জন্য নয়, বছরের বাকী এগারোটি মাসের ক্ষেত্রে করতে পারি। যদি রমজান মাসের পুরোটা সময় সব খানে হাসি বজায় থাকে তা হলে সকলেই সব সময় রমজানকে অনুভব করবে এবং তারা আশা করবে রমজান যেন শীঘ্রই ফিরে আসে।

রমজান মাস সকলের জন্য সুখের হোক, সকল স্থানে হাসি ছড়িয়ে পড়ুক।

সবশেষ লেখটা সিরিয়া থেকে, আবু ফারেস তার লেখায় আমাদের জন্য এক চমৎকার প্রতিফলন রেখে গেছেন

আমি আশা করবো, আমরা ধনী এবং দরিদ্রের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনতে চেষ্টা করবো, যাতে সম্পদশালীরা অনুভব করে তারা ভিক্ষা দিয়ে অভাবীদের উপকার করছে না।

আমি আশা করি, আমরা এক মুক্ত জীবন যাপন করবো যা আমরা বেছে নিতে পারবো এবং আমাদের মনকে স্বাধীন রাখতে পারবো, নিজেদের পাপ থেকে মুক্ত রাখতে পারবো, অন্যকে বিচার না করে।

আমি আশা করি, আমরা আমাদের উপর বিশ্বাস রাখতে পারবো, কোন অলৌকিক ঘটনার অপেক্ষা না করে তার বদলে কাজের উপর, যার মাধ্যমে এক গ্রহণযোগ্য বিস্ময় সত্য হয়ে উপস্থিত হবে।

আমি আশা করি বাস্তবতার প্রতি, চোখে দেখা বিশ্বকে হৃদয়ে লালন করি এবং মহাবিশ্বের যে সৌন্দর্য তার আপন রুপে বিদ্যমান, সেই বিস্ময় এবং আনন্দ তাকে অনুভব করি, কোন ত্রাস বা ভয়কে নয়। শূন্য থেকে কোন কিছুই তৈরি হয় না।

আমি আশা করি, আমাদের শেখার উদ্দীপনা কখনই হারাবে না। ভ্রমণ করার ইচ্ছে ও অজানা জানার আকাঙ্ক্ষা কখনই দমে যাবে না।

আমি আশা করি, আমরা এমন এক অবস্থায় পৌঁছাবো, যখন কেউ বিশ্বাস করবে না যে, কোন কারণে কেউ মারা যাবে বা কাউকে মারতে হবে।

আমি আশা করি, কোন মানুষ রুটির টুকরো জোগাড় করার জন্য অমানুষিক পরিশ্রম করবে না, কোন শিশু অভুক্ত অবস্থায় ঘুমাবে না এবং কোন নারী বিছানায় জবরদস্তীর শিকার হবে না।

* “আল্লাহ আকরাম” মানে “আল্লাহ (সৃষ্টিকর্তা) সবচেয়ে মহান”

1 টি মন্তব্য

এই জবাবটি দিতে চাই না

আলোচনায় যোগ দিন -> কথাচ্যাট ফোরাম | কথা বলে বাংলায়

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .