আফগানিস্তান: ভোট দেবার দিন

পশ্চিমা প্রচার মাধ্যমের মতে লক্ষ লক্ষ আফগান তালেবানদের হুমকি উপেক্ষা করেছে এবং বৃহস্পতিবার দেশটিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট দিয়েছে। এই নির্বাচন দেশটিতে দ্বিতীয়বার মতো অনুষ্ঠিত হওয়া কোন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। বিচ্ছিন্ন বেশ কিছু সংঘর্ষের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। রাজধানী ও দক্ষিণের প্রদেশ গুলোতে এই ধরনের ঘটনা অনেক কম ঘটেছে, যেখানে তালেবানদের উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি শক্তিশালী, কিন্তু আফগান ও বিদেশী কর্মকর্তারা বলেছেন, যে বিপর্যয়ের আশঙ্কা তারা করছিলেন তা এড়ানো গেছে। আফগান ব্লগাররা এই ঐতিহাসিক দিনে তাদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি জানাচ্ছেন।

হার্টজামিন তার ফটোব্লগে এই নির্বাচনের বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে কিছু নিরাপত্তা বাহিনী ও ভোটারদের ছবি।

মোহাম্মদ জাহের নাজারি লিখেছেন [ফার্সী ভাষায়]:

মধ্য আফগানিস্তানের কাহমার্দ জেলায় আমি ভোট দিয়েছি… পাঁচটি ভোট কেন্দ্র আমি ঘুরে দেখেছি। মনে হয়েছে সাধারণ ভাবেই নির্বাচন পরিচালনা করা হয়েছে এবং কোথাও সংঘর্ষ দেখি নি, যা অনেক প্রার্থী ধারণা করেছিলেন, কিন্তু ভোটকেন্দ্র লোকজন তেমন উপস্থিত ছিল না…আমি এর কারণ জিজ্ঞাসা করলাম এবং এর এক কারণ হতে পারে লোকজন যারা কাবুলে যায় [ভোটে নির্বাচিত হয়ে] তারা জেলার জন্য যে সমস্ত টাকা বরাদ্দ করা থাকে, তা ব্যবহার না করে চুরি করে। এই বিষয়টিকে অবশ্যই জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।

নাজরি এর সাথে যোগ করেন, সরকারি হিসেব মতে কাহমার্দ এলাকায় ভোট পড়েছে ২০০০, কিন্তু সঠিক সংখ্যা প্রায় ৭০০-এর মতো (এই পোস্ট থেকে এটা পরিষ্কার নয় যে, এই হিসাব কি নাজরির নিজস্ব হিসাব অথবা এই তথ্য অন্য কোন সূত্র থেকে পাওয়া)।

এজতেমা বলেছেন [ফার্সী ভাষায়]:

গতকাল আফগানিস্তানে আমি আমার ভোট দিয়েছি। দেশটির দক্ষিণাংশের চেয়ে উত্তরাংশে অনেক বেশি লোক ভোট দিয়েছে। বেশ কিছু সাধারণ ব্যক্তি ও সৈন্য তালেবান বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হয়েছে।

নির্বাচনে আফগান সংসদের একজন প্রার্থী ফাজাইইব্রাহিমী, তিনি লিখেছেন [ফার্সী ভাষায়]:

সৌভাগ্য জনক বিষয়, নির্বাচন তুলনামূলক শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাপ্ত হয়েছে…সবচেয়ে অবিশ্বাস্য বিষয় ছিল বৃদ্ধ নর, নারী এই নির্বাচনে ভোট দিতে এসেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তাদের উত্তেজনা ছিল তরুণদের চেয়ে অনেক বেশি।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .