গত শনিবারে মৌরিতানিয়ায় প্রথম আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে যার ফলে এক মৌরিতানিয়ান ও দুজন ফরাসী নাগরিক আহত হয়েছে। যদিও পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে এই সংবাদ খুব সামান্য গুরুত্ব পেয়েছে, দুবাই ভিত্তিক আল আরাবিয়া, নুয়াকচট থেকে ঘটনার পরপর এ সম্বন্ধে রিপোর্ট করে, এই প্রবন্ধে বর্ণনা করা হয়:
মোহাম্মদ ওউলদ আবদেল আজিজ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবার তিনদিন পরে এই আক্রমণ সংঘটিত হয়। ওউলদ আবদেল আজিজ সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এক বছর আগে মৌরিতানিয়ার প্রথম সারির নির্বাচিত নেতাদের অপসারিত করে। একমাস আগে সাহারার এই দেশটিতে এক নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
দি মুর নেক্সট ডোর এই ঘটনার উপর এক বিস্তারিত বিবরণ লিখেছেন এবং এই আক্রমণের কারনে জনতা যে ভয় পেয়েছে সে বিষয় উল্লেখ করেছেন, কিন্তু তিনি তার চেয়ে বেশী হতাশ শাসক দের কারণে:
এই আক্রমণের প্রতিক্রিয়া আরব ইন্টারনেট মিডিয়া বলছে, এই প্রাথমিক রিপোর্টে এই আক্রমণের সাথে যে ছিল তার কর্মের ব্যাখ্যা দেওয়া হয় এ ভাবে যে, “জেনারেলের উপর চড়াও হও এবং আমরা তোমাকে শহীদ বলে ডাকবো!” অন্যরা এই আক্রমণকারীকে বোকা উপাধি দিয়েছে এবং হারাটাইন বংশে তার জন্ম নেওয়া নিয়ে পরিহাস করেছে। মৌরিতানিয়ার জনগণ রাগান্বিত, যেমনটা তারা প্রতিটি সন্ত্রাসী আক্রমণ থেকে জেগে ওঠে। এর আগের সন্ত্রাসী আক্রমণেও তারা জেগে উঠেছিল যা অনেক আগে ঘটেছিল। এই বোমা বিস্ফোরণ যতটা বিরক্তি ও হতাশা তৈরী করেছে, এখানকার চ্যানেল গুলো ততটাই শাসককে সমর্থন দিয়েছে। পশ্চিমা প্রচার মাধ্যমের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য যখন বোমা বিস্ফোরণ মৌরিতানিয়ার সব চেয়ে বড় “ঘটনা”, তখন নির্বাচনের পর মৌরিতানিয়ানদের সচেতনতা অন্য সমস্যা নিয়ে। এই সমস্যা শাসন ও বাড়তে থাকা ক্ষমতার দাপট নিয়ে।
মৌরিতানিয়ায় শান্তি মিশনে কাজ করতে থাকা ব্লগার বেকি জানান যে, এই দেশে শান্তি রক্ষার জন্য যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে তাদের দেশে পাঠানো হতে পারে বেদনার সাথে:
মৌরিতানিয়ার শান্তি রক্ষী স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর জন্য এটা একটা অন্ধকার দিন। এটা কেবল আমাদের ভবিষ্যৎ জটিল করে ফেলে নি, তার সাথে যে দেশটিতে আমরা বেড়ে উঠেছি, যাকে স্বদেশ বলে জেনেছি, তা এখন বাকী বিশ্বের কাছে এক বিপজ্জনক অস্থিতিশীল স্থান বলে বিবেচিত হবে। আমরা সব সময় স্মরণ করি যে সন্ত্রাসবাদীরা সব চেয়ে উগ্র এবং তারা মূল ভাবনার প্রতিনিধিত্ব করে না। যে সমস্ত লোক কোন অন্যায় করে নি, তাদের ছেড়ে যাওয়া আমার জন্য খুবই কঠিন হবে। যদিও আমি তাদের বোঝাবার জন্য কথা বলেছি।
মৌরিতানিয়ার টুইটার ব্যবহারকারী ওয়েডাডি তার টুইটার ফিডে হতাশা প্রকাশ করে উল্লেখ করেন:
যদিও কিছু ব্লগার এই বিষয়টি নিয়ে এখনো আলাপ করছে, ফ্রান্স এই আক্রমণের নিন্দা জানিয়েছে এবং নতুন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ ওউলদ আবদেল আজিজকে এ রকম ভবিষ্যৎ সন্ত্রাসী আক্রমণের ব্যাপারে সর্তক করে দিয়েছে।