পেরু: পুনোতে শৈত্য প্রবাহ চলছে

পুনোর শৈত্য প্রবাহের কারনে দক্ষিণ পেরুর অবস্থা ক্রমেই সংকটাপন্ন হচ্ছে। ইসাবেল গুয়েরা লিভিং ইন পেরুতে লিখেছেন যে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা, যারা নিউমোনিয়া আর শ্বাস কষ্টের কারনে মারা যাচ্ছে। ঠাণ্ডার কারনে এ পর্যন্ত ৪৩৩টি মৃত্যুর ঘটনা লিপিবদ্ধ হয়েছে। এটা ল্যাটিন আমেরিকা ব্যাপী এইচ১এন১ ভাইরাসের কারনে ৪৮০টি মৃত্যুর তুলনায় কম না যা মিডিয়ার আর সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

ছবি বারবারা ড্রেক এর সৌজন্যে http://americaninlima.com/2009/07/18/andean-children-cold

ছবি বারবারা ড্রেক এর সৌজন্যে http://americaninlima.com/2009/07/18/andean-children-cold

তবে এই অঞ্চল থেকে কিছু জোরালো আর শক্তিশালী চিত্র পাওয়া যাচ্ছে যেমন এই ভিডিওটি, যেখানে এই শৈতপ্রবাহের শিকারদের দেখানো হচ্ছে, এবং তা বেশ কিছু পেরুবাসীর মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।

যারা এটা দেখেছে ভিডিওর তীব্রতা তাদের উপরে প্রভাব ফেলেছে, যেটা মন্তব্যতে দেখা গেছে যে সেইসব সাংবাদিকদের সমালোচনা করা হয়েছে যারা এই ভিডিও করেছে। উদাহরণ স্বরূপ, ইউটিউব ব্যবহারকারী বেটো ১৭২৬ লিখেছেন:

…cuanto morbo d stos periodistas el de ver y no aser ni mi***a si sabian q iban a encontrar a ninos sufriendo por q no llevaron ayuda de medicamentos desde lima asiendo en su canal una colecta entre tanto gerente q tienen…

কি অসুস্থ এই সব সাংবাদিক হতে পারে, যখন তারা এমন পরিস্থিতি দেখে কিছু না করে। তারা তো জানত যে কষ্ট পাচ্ছে এমন বাচ্চাদের কাছে তারা পৌঁছুতে পারে। কেন লিমা থেকে তারা ঔষধ নিয়ে যায় নি, তাদের স্টেশনের সব কর্মীদের কাছ থেকে কিছু চাঁদা তুলে কেন নেয়নি?

পিয়াকোস্টার সাংবাদিকদের তরফ থেকে সাড়া দিয়েছেন:

No justifico … pero en honor a la verdad, los periodistas no somos médicos, ni abogados… solo informamos… es lo único que podemos hacer… e indignarnos como el resto del mundo… nuestro poder no va más allá que el de mostrar una realidad… cruda, es verdad, esperando que con eso se revele lo que sucede y quienes sí pueden y DEBEN hacer algo al respecto, LO HAGAN!

আমি এটা সমর্থন করছি না… কিন্তু সত্যের স্বার্থে , সাংবাদিকরা ডাক্তার না, বা আইনজীবী…আমরা শুধু রিপোর্ট করি…এটাই একমাত্র কাজ যা আমরা করতে পারি…আর বাকি বিশ্বের মতো ক্ষুব্ধ হতে পারি…আমাদের ক্ষমতা নির্মম বাস্তবতা দেখানোর বাইরে কিছু নেই, এটা সত্যি। যা উন্মোচিত করা যায় তা করতে পারি আর যারা এই ব্যাপারে কিছু করতে পারেন, তাদের তা করা উচিত!

কেবলমাত্র ঠান্ডা আর সরকারের অবহেলা পুনোর কম আয়ের গ্রাম্য মানুষকে সমস্যায় ফেলছে না, বরং যারা দান করছেন ভালো উদ্দেশ্যে তাদের ত্রাণকে যথাযথ ভাবে সমন্বয় করে পৌঁছানোর অক্ষমতাও। কাভিয়ার দে সিয়ানুরো ব্লগে ববস্পার্জ উল্লেখ করেছেন একটা ত্রাণের উদাহরণ যা তার গন্তব্যে পৌঁছায়নি:

hace días la SUNAT incautó 32 toneladas de arroz (en 630 sacos) de un donativo alimentario del PMA para la gente de Puno. Resulta que el organismo internacional contrató los transportes de la empresa Industria Arrocera de América (Induamérica) quienes a la vez contrataron a la transportista Flores Casas debido que excedía su capacidad logística para poder transportar los donativos hacia Puno. Las donaciones fueron de Lambayeque hacia Lima para luego enrumbar a Puno en 8 camiones de Induamérica y en 3 de Flores Casas. Los donativos llevados en la última empresa transportista nunca llegaron y parte de las donaciones se hallaron en un mercado de Ica.

Por el robo cometido 20 mil familias de la sierra sur que soportan el frío no podrán recibir su alimento correspondiente. En total no fueron 32 toneladas sino 100 las que se perdieron en el camino de Lima a Puno. Realmente vergonzoso.

কয়েক দিন আগে, সুনাত (আয়কর কর্তৃপক্ষ) পুনোর মানুষের জন্য বিশ্ব খাদ্য সংস্থার ত্রাণের প্রোগ্রামের ৩২ টন (৬৩০ বস্তা) চাল আটক করেছে । দেখা গেল যে এই আন্তর্জাতিক সংস্থা আমেরিকার চাল উৎপাদনকারী এজেন্সীকে (ইন্দুআমেরিকা) ভাড়া করেছিল এটা পরিবহনের জন্য যারা তার পরে পরিবহণ কোম্পানি ফ্লোরস কাসাস্কে নিয়োগ করে কারন তাদের লোকবল নেই এইসব ত্রাণ সামগ্রী পুনোতে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। এই দানের পণ্যগুলো লাম্বায়েকি থেকে লিমাতে গিয়েছিল, আর তার পরে পুনোর দিকে যায় ইমদুয়ামেরিকার ৮টি আর ফ্লোরেস কাসাসের ৩টি ট্রাকে করে। ফ্লোরেস কাসাস যে ত্রাণ নিয়ে যায় তা কখনো পৌঁছায় নি আর এটার একটা অংশ ইচা শহরে বিক্রি হতে দেখা যায়।

তাদের চুরির কারনে দক্ষিণে শৈত্য প্রবাহে ভুগা ২০০০০ পরিবার তাদের পাওনা খাদ্য পাবেনা। আসলে ত্রাণ ৩২ টন ছিল না, বরং মোট ১০০টন যা লিমা থেকে পুনোর পথে হারিয়ে গিয়েছিল। সত্যি লজ্জাজনক।

যারা পুনোর মানুষকে সাহায্য করতে চায় তাদের জন্য দুর্নীতি একমাত্র বাধা না। আমেরিকার ব্লগার বারবারা ড্রেক অ্যান আমেরিকান ইন লিমা ব্লগে লিখেছেন:

অন্য যে কোন দেশে রেড ক্রশ ওই স্থানে ত্রান দেয়ার জন্য থাকত, কিন্তু কি বলেন? পেরুর রেড ক্রশ হচ্ছে পরিবার নিয়ন্ত্রিত ব্যবসা যেটা নিজের তৈরি পদ্ধতিতে কাজ করে, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস/রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নিয়মে না। পেরুর রেড ক্রস বিপদের সময়ে আদতে কিছু করে না আর তা প্রতিরোধের জন্য আরো কিছু করে না।

কেন আন্তর্জাতিক রেড ক্রস পেরুতে হস্তক্ষেপ করে সত্যিকারের একটি রেড ক্রস প্রতিষ্ঠা করতে পারেনা? কারণ যে পরিবার পেরুতে রেড ক্রসের মালিক তারা সুনাতে নাম রেজিস্ট্রি করিয়েছে আর আদতে দেশের রেড ক্রস ব্র্যান্ড এর মালিক তারা। আপনি যদি ভাবেন যে এটা চরম অবস্থা, তাহলে যোগ দেন আমার সাথে। পেরুর সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত, ব্যক্তিগত মালিকানাধীন থেকে নামটা বাদ দিয়ে পেরুতে যতো শীঘ্র সম্ভব সত্যিকারের রেড ক্রস প্রতিষ্ঠা করা উচিত।

পরিস্থিতি জটিল, আর এই বিপদের সময়ে অন্যান্য গঠনতান্ত্রিক জটিলতা দেখা গেছে। আপুন্টেস পেরুয়ানোস ব্লগের ফ্রান্সিস্কো কানাজা এই মত জানিয়েছেন যে এই ব্যাপারে সরকারের কাজ অনেক আশাকে অপূর্ণ রেখেছে। তবে, এটা নতুন কিছু না আর তিনি বেশ কিছু গভীর ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন (বোল্ড করা অংশটুকুতে ব্লগার জোর দিয়েছেন):

La donación es un parche. El problema real es la desatención del Estado a aquellas zonas alejadas. La real obligación del Estado es proveer servicios médicos suficientes a todos los ciudadanos. Sin embargo, enfermedades simples degeneran en muerte en las comunidades de la sierra, por la ausencia de servicios de salud que puedan prestar atención oportuna. … (pero) La mortalidad se genera por el bajo nivel de defensas que los pobladores tienen por la limitada dieta.

Otro punto: Una simple caminata por zonas altas consume miles de calorías en poco tiempo. Los ciudadanos de Puno, Cusco, zonas de Arequipa, Ayacucho y Apurimac se enfrentan a caminatas extensas y su dieta no está adecuada para compensar el extremo requerimiento alimenticio. La ingesta de proteínas y calorías es bajísima en la sierra. La ingesta de carne, por ejemplo, es limitadísima. Sin embargo se promueve mil veces el reparto de leche como un gran logro. Peor aún, se insiste en modelos como el “papapán” que terminan por ser ridículos en su aporte dietético.

দান একটা অংশ মাত্র। আসল সমস্যা হচ্ছে রাষ্ট্রের দুরের এই অঞ্চলের প্রতি মনোযোগের অভাব। রাষ্ট্রের আসল উদ্দেশ্য হলো সকল নাগরিককে যথাযথ স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা। তবে, সাধারণ অসুস্থতা পাহাড়ি এই গোত্রের মধ্যে মৃত্যু ঘটায় সময়মতো স্বাস্থ্য সেবার অভাবে…( কিন্তু) মৃত্যু ঘটে কম পর্যায়ের সহ্য ক্ষমতা মানুষের মধ্যে তাদের সীমিত খাদ্যের জন্য।

আর একটা বিষয়: এই সব উচুঁ পাহাড়ি এলাকার মধ্য দিয়ে এমনিতে হাঁটলেই হাজার হাজার ক্যালোরি নষ্ট হয়ে যায়। পুনো, কুস্কো, আরিকুইপা, আয়াচুচো আর আপুরিমাক এলাকার নাগরিকরা অনেক দূর পর্যন্ত হাঁটেন আর তাদের খাদ্যাভাস এই চরম প্রয়োজনীয়তা পূরণে যথেষ্ট না। পাহাড়ি এলাকায় প্রোটিন আর ক্যালরি খাওয়া কম হয়ে থাকে। মাংস খাওয়াও খুব কম হয়ে থাকে। তবে, দুধের বিতরন প্রায় বিশাল প্রাপ্তি হিসাবে এখানে তুলে ধরা হয়। আরো খারাপ, তারা জোর দিয়ে বলতে থাকে এমন সব মডেলের কথা যেমন ‘আলু রুটি’ যা তামাশায় পরিণত হয় তার খাদ্যাভাসে সংযুক্তির কারনে।

পরিশেষে, রাফো লিওন সংবাদপত্র এল কোমার্সিও এর ম্যাগাজিন সোমোসের জন্য কলাম লিখেছেন বিশ্বায়নের কিছু মজার দিক আর পেরুর আল্টিপ্লানোতে এর প্রভাব নিয়ে। যেমন, অনেক লোক সিনথেটিক কাপড় ব্যবহার করেন পশমের পরিবর্তে যা অনেক বেশী গরম। বাড়ি নির্মানের ক্ষেত্রে স্থানীয় উপাদান (যা সব থেকে ভালো উষ্ণতা ধরে রাখে) ব্যবহার না করে তারা এখন ইট আর এলুমিনিয়াম ব্যবহার করেন। তারুই আর কুইনুয়া হচ্ছে স্থানীয় পুষ্টিকর খাদ্য যা বাচ্চাদের খাবারে কম ব্যবহার করা হচ্ছে, ফলে অপুষ্টি বাড়ছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .