বলিভিয়া: ‘কোকেন মন্ত্রীর ‘ প্রত্যাবর্তন

১৯৮০র দশকের প্রথমভাগে বলিভিয়া শাসন করা লুইস গার্সিয়া মেজার সামরিক একনায়ক্তন্ত্রের সময়ে তার কাছের লোক আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী লুইস আরচে গোমেজ ভিন্নমতাবলম্বীদের (যারা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে চায়) জন্য একটু পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি তাদেরকে বলেছিলেন ‘তাদের লিখিত উইল বগলে নিয়ে ঘুরতে’। উইলফ্রেদো জর্ডান একটি অডিও ক্লিপ (স্প্যানিশ ভাষায়) পোস্ট করেছেন যেখানে শোনা যায় যে আরচে গোমেজ এই কথা বলছেন।

এর পরে শুরু হয় বিভীষিকার শাসনকাল যখন প্রায় ১০০০ মানুষ নৃশংস সরকারের হাতে নিহত হয়। স্প্যানিশ ধর্মজাজক লুইস এস্পিনাল আর কংগ্রেসম্যান মার্সেলো কুইরোগা সান্তা ক্রুজ -এই দুটি উচ্চ পর্যায়ের হত্যা ছিল, যাদেরকে অপহরণ করে নির্যাতনের পরে হত্যা করা হয়। কোন দেহ পাওয়া যায়নি।

গার্সিয়া মেজার সরকার মাদক পাচারের সাথে গভীরভাবে জড়িত ছিল, আর আরচে গোমেজকে এর মূল সূত্র মনে করা হতো। তাকে প্রায় ‘কোকেন মন্ত্রী’ বলা হতো। লা মালা পালাব্রার রিচার্ড সাঞ্চেজ এই ধরনের কিছু কাজ তুলে ধরেছেন, যেমন মাদক পাচারকারীদের কাছে বিক্রি করা কোকা পাতার উপরে কর বসিয়ে তা হালাল করা আর বিমান ট্যাক্সির ব্যবসা যা মাদক পাচারে ব্যবহৃত হয়। এর ফলশ্রতিতে আরচে গোমেজকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয় সেখানে তার সাজা কাটানোর জন্য। সাজা শেষে তাকে গত ৯ জুলাই বলিভিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়, যেখানে তাকে লা পাজের সর্বোচ্চ জেলে পাঠানো হবে বলিভিয়া আদালতের দেয়া অজামিনযোগ্য সাজা ভোগের জন্য।

বলিভিয়ার ইতিহাসের এই অন্ধকার সময়ে অনেক ব্লগার বেশ তরুন ছিলেন। তবে বয়স্ক অনেকে অবাক হয়েছেন যে আরচে গোমেজকে কতো বয়স্ক দেখাচ্ছে এখন। ভার্কুয়েজ প্রেসের জোসে ভার্কুয়েজ লিখেছেন:

Algunos compatriotas han sido conmovidos por la apariencia del ex dictador, al que en la televisión se lo ve como un anciano que apenas camina con bastón o en silla de ruedas, que padece varias enfermedades (próstata, diabetes y que tuvo derrame cerebral).

কিছু নাগরিক ভূতপূর্ব একনায়কের চেহারা দেখে বিচলিত হয়েছেন, টেলিভিশনে তাকে বয়স্ক একজনের মতো লাগছিল যে লাঠিতে ভর দিয়ে বা হুইলচেয়ারে প্রায় নড়তেই পারেনা, অনেক রোগে যে ভুগছে (প্রস্ট্রেট, ডায়বেটিস আর ব্রেন হ্যামারেজ)।

অনেক বলিভিয়াবাসী আশা করছেন যে পরিশেষে তার ফিরে আসা অনেক আগে জিজ্ঞাসা করা কিছু প্রশ্নের উত্তর দেবে। কুইরোগা সান্তা ক্রুজের পরিবার আশা করছেন যে অবশেষে তার দেহাবশেষ খুঁজে পাওয়া যাবে।

স্বাস্থ্যের অবস্থার কারনে ধারণা করা হচ্ছে যে ভুতপূর্ব এই সেনা অফিসার আরো কম কঠিন সাজার অনুরোধ করতে পারেন। হয়তো এর পরিবর্তে, কুইরোগা সান্তা ক্রুজ আর অন্যান্য নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া মানুষের তথ্য তিনি দেবেন। তবে, ভার্কুয়েজ বুঝতে পারছেন না যে বলিভিয়ার বিচার ব্যবস্থা তার প্রতি কেন মানবিক ব্যবহার করবে, যখন এই একনায়কতন্ত্র অন্য কারো জন্য ‘মানবিক ব্যবহার’ দেখায়নি

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .