ক্যাম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড: আইলাভথাইল্যান্ড ওয়েব সাইট বির্তক তৈরী করেছে।

খুব সম্প্রতি চালু করার ওয়েবসাইট আইলাভথাইল্যান্ড.ওআরজি অনলাইনে এক উত্তেজনা তৈরী করেছে। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অভিশিত ভিজ্জাজেভা ঘোষণা দেন যে এই ওয়েব সাইটের উদ্দেশ্য দেশটির ইমেজ বা চেহারা আবার ঠিক করা এবং সম্প্রতি কালে যে অস্থিরতা চলছে তার প্রেক্ষাপটে জাতিকে এক করা। ওয়েব সাইটে এক বির্তকের ঝড় তৈরী হয় যখন থাইল্যান্ড তার “হারানো অংশ” দাবী করে এবং ক্যাম্বোডিয়া দাবী করে তার সেই অংশ।

কেআই মিডিয়া এক প্রতিবেদনে জানায়:

প্রধান ইংরেজি দৈনিক সংবাদপত্র নম পেন পোস্ট রিপোর্ট করেছে যে ক্যাম্বোডিয়ার সরকারী কর্মকর্তারা দ্রুত এই দাবীর সাপেক্ষে তদন্ত করার কথা উল্লেখ করেছেন। মি. পাহেই সিপাহান মন্ত্রীপরিষদের মুখপাত্র। তিনি বলেন, “তারা (থাইরা) ইতিহাসের ঘটনা নিয়ে ঘোট পাকাচ্ছে। এটা সম্পুর্ন রুপে এক বাড়বাড়ি কর্মকান্ড”।

নম পেন পোস্ট অনুসারে থাইল্যান্ড ১৭৯৪ সালে শ্যাম নামে পরিচিত ছিল। সে সময় দেশটি দুর্বল হয়ে আসার খেমার রাজ্য থেকে সিয়েম রিপ ও বাট্টামবাং দখল করে নিজেদের সীমানা বাড়িয়ে নেয়।। কিন্তু ১৯০৭ সালে থাইল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে এক চুক্তির মাধ্যমে তা আবার ফিরিয়ে দেয়।

খেমারাইজেশন এক লেখা পোস্ট করেছে কেআই মিডিয়ায়। সেখানে তিনি আমাদের জানাচ্ছেন আইলাভথাইল্যান্ড.ওআরজি একটা ওয়েবের জন্ম দিয়েছে:

খেমার ওয়েব সাইট আইলাভখেমার.ওআরজি সাইটের জন্ম হয়েছে থাই প্রধানমন্ত্রির ওয়েব সাইট আইলাভথাইল্যান্ড.ওআরজির কারনে, যে সাইট “সম্ভবত মিথ্যা অভিযোগ করেছে”, তার জবাব দেবার জন্য। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে এই সাইট খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তার এক সাইট মেট্রো হটলি প্রচুর পাঠক পেয়েছে।

আইলাভথাইল্যান্ড.ওআরজি সাইটে থাইল্যান্ডের “হারিয়ে যাওয়া” এলাকার ছবি ওয়েবে ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। থাইল্যান্ডে অবস্থিত ক্যাম্বোডীয় দু্তাবাস এই ওয়েব সাইট থেকে ভিডিও সরিয়ে ফেলার অনুরোধ করেন। ডিটেলস আর স্কেচি তার ব্লগে থারামের মন্তব্যসহ এক প্রতিবেদনে জানাচ্ছে, ক্যাম্বোডিয়ায় আইলাভথাইল্যান্ড.ওআরজি ব্লক করে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এটা পরিস্কার নয়, কোন পক্ষ এই কাজটি করেছে।

থাই ইন্টেলিজেন্ট নিউজ ওয়েবলগে এক সংবাদ প্রকাশ করা হয় যে, “এই সাইটকে কেউ হ্যাক বা ছিনতাই করেছে এবং সারা পৃথিবীর অনেক দেশের সামনে সামনে তাকে হেয় করা হয়। এই সাইটকে হীন করার কাজ, কোন এক গণতন্ত্রপন্থীর। ইন্টারনেট সমন্ধে ভালো জানে এমন এক ব্যাক্তি এই সাইট আক্রমণ করেছিল”।

থাই ইন্টেলিজেন্ট নিউজ ওয়েবলগ তার কাজ করেই চলছে এবং অন্য সব সমস্যার ক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদ দিয়ে ভারসাম্য বজায় রাখছে। এ বিষয়ে বর্ণনা করা হচ্ছে:

সারা বিশ্বে থাইল্যান্ডের এক খারাপ ইমেজ বা চেহারা তৈরী হয়েছে যার সমাধান [অভিশিত প্রণীত] সারা বিশ্বে ‘আমি থাইল্যান্ডকে ভালোবাসি’ নামের প্রচারণা চালানো। থাইল্যান্ড এই ধরনের সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক জাতীয়তাবাদের প্রেক্ষাপটের কারণে তার প্রতিবেশীদের সাথে সমস্যায় জড়িয়ে পড়ে, যেমন লাওস, মায়নামার এবং ক্যাম্বোডিয়ার সাথে। জাতীয়তাবাদ ভালো। তা দেশের প্রতি ভালোবাসা ও একত্বতা তৈরী করে। কিন্তু যখন প্রতিবেশীর সাথে সংঘর্ষ তৈরী হয় তখন এই সংঘর্ষ জাতীয়তাবাদকে অনেক দুরে নিয়ে যায়।

অন্য আরেকজন থাই ব্লগার থাই ১০১ একটা দিক তুলে ধরেন যে, আইলাভথাইল্যান্ড.ওআরজির ক্ষেত্রে শর্ত এবং নীতির জন্য স্বয়ংক্রিয় সেন্সরশীপ এর প্রয়োজন হয়।

এই সাইট অর্থনীতির সাথে যুক্ত নয় এমন এক জাতীয় উদ্দীপনামুলক প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে। সরকার দ্বারা পরিচালিত এই ওয়েবসাইটে কেবল তারাই প্রবেশ করে, যারা স্বীকার করে, তারা দেশটিকে তাদের জীবনের চেয়ে ভালোবাসে। এ ধরনের লোকজন কেবল এই সাইটে প্রবেশাধিকার রাখে। সেখানে তারা কেবল দেশের নামে তোষামোদ ও প্রশংসা করে। আমি নিশ্চিত, এটা খোলা এবং চিন্তাভাবনাপূর্ণ কোন কথা সৃষ্টি করবে না। বিশেষত শেষে তা হুমকি দেওয়া বাণী প্রকাশ করবে। বেশ চমৎকার।

নীচে যে ভিডিও প্রর্দশন করা হচ্ছে তা ব্যাংকক ক্রাইমের, এতে জানানো হচ্ছে যে “হারনো ভুখন্ডের চৌদ্দতম অংশ প্রিয়াহ বিহার”।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .