পাবলো পিকাসো [1], যাকে সকল সময়ের অন্যতম এক সেরা শিল্পী হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তিনি বলেছিলেন, “কম্পিউটার কোন কাজের নয়। এটা কেবল আপনাকে উত্তর দিতে পারে”। তবে এই বক্তব্যর পর ৪০ বছর পার হয়ে গেছে। গুয়েতেমালার চিত্রশিল্পী বা পেইন্টাররা কম্পিউটার ও ইন্টারনেটকে ভবিষ্যতে ছবি আঁকা ও প্রর্দশনীর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
এইসব শিল্পীদের অনেকই বিদেশে বাস করছে এবং ছবি আঁকছে। তাদের কাজ অন্যদের দেখানো ও শিল্পী সম্প্রদায়ের সংর্স্পশে থাকার জন্য তারা ব্লগ ব্যবহার করছে।
সেবাস্টিয়ান সারতি গুয়াতেমালার একজন নাগরিক। কিন্তু তার জন্ম কোস্টারিকায়। তারা বাবা কোস্টারিকায় নির্বাসিত জীবনযাপন করার সময় সেখানে একজন পুয়ের্তোরিকান মহিলাকে বিয়ে করেন। তিনি সারতির মা। সারতি নিকারাগুয়ায় বেড়ে ওঠে, কিছু সময়ের জন্য গুয়াতেমালায় বাস করে। বর্তমানে সারতি ফ্রান্সের এক্স ও মার্সেই উভয় জায়গাতেই বাস করছে এবং নিজেকে শিল্পচর্চার জন্য উৎসর্গ করেছে। তিনি তার ব্যাক্তিগত ব্লগ এল দেসোরদেন দে লা কাবাহা (স্প্যানিশ ভাষায়) [আমার মাথায় যে গোলমাল রয়েছে] [2]তার কাজ সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
হিস্টোরিয়ান্দো [স্প্যানিশ ভাষায়] [3] ব্লগের জুয়ান কালোর্স নিউ ইয়র্ক সিটির ব্রুকলিনের বাসিন্দা। তাঁর অনেক প্রতিভা। তিনি এসব তার পাঠকদের সাথে শেয়ার করছেন। তিনি একাধারে চিত্রশিল্পী ও অ্যাকটিভিস্ট। তিনি তার শিল্পকর্ম গ্যালারিতে প্রর্দশনের জন্য রাখেন। তবে তা তিনি প্রতিবাদের জন্যও ব্যবহার করেন। নিউইর্য়কে জনাসাধারণের যান মেট্রো রেলের টিকেটের দাম অনেক বেশী হওয়ার প্রতিবাদে তিনি মেট্রোর টিকেট দিয়ে জন লেননের একটি পোস্টার তৈরী করেন। এই লিংকের [4]মাধ্যমে আপনি তার আরো কিছু প্রদর্শনী দেখতে পাবেন।
এলভিরা মেনডেজ প্রতিভাবান চিত্রশিল্পী। তার বাস গুয়াতেমালার রাজধানি এন্টিগুয়ায়। ভদ্রমহিলা তার কাজ সারা পৃথিবীর মানুষের সাথে শেয়ার করেন। তার ব্লগ পিনটুরা [স্প্যানিশ ভাষায়] [5] তার চিত্রকর্ম ভিন্ন আকার, রং এবং টেক্সচার বা পটভুমি ব্যবহার করার বিষয়ে তার অবস্থান তুলে ধরে।
আলেহান্দ্রো মারে একজন কবি ও শিল্পী। কিন্তু তার সাথে তিনি একজন সৃষ্টিশীল চিত্রশিল্পী [6]যা তার আর্টে মাররে ব্লগে প্রবেশ করলে স্পষ্ট হয়। তার বৈশিষ্ট্য পপ সংস্কৃতির উপাদনে নতুন করে মিশ্রন ঘটিয়ে এবং তার পুনরায় ছোঁয়ার ফলাফলে তৈরী হয় এমন চিত্রকর্ম তৈরী করা, যেমন নীচের চিত্রকর্ম :
এরিক গোনজালেজ মঁন্তমারতে [7]এলাকায় বাস করেন। এ এলাকা অনেক চিত্রশিল্পীর স্বপ্নের বাসস্থান। তিনি বেশ কৌতুহলজনক কাজ তৈরী করেছেন। তিনি রিসাইকেল বা পুন:ব্যবহার করা জিনিষ দিয়ে ছবি তৈরি করেছেন যা গুয়াতেমালায় সবেচেয়এ বীপরিতধর্মী জটিল বিষয় বলে বিবেচিত হচ্ছে। নারীর প্রতি অত্যাচার থেকে দেহরক্ষীর সংখ্যা বাড়ানো এবং অস্ত্রবেড়ে যাওয়া এসবই তার চিত্রকর্মের বিষয়। তার ব্লগ [স্প্যানিশ ভাষায়] [8] তার সমালোচনা ও তার চিত্রশিল্পের ছবি তুলে ধরে।
এখানে তার এক নমুনা
শিল্পকর্ম প্রর্দশনের জন্য তরুণ শিল্পীদের গুয়াতেমালায় খুব সামান্য পরিমান গ্যালারী বা খোলা জায়গা রয়েছে। এছাড়াও সামান্য সম্পদ রয়েছে যাতে কোন প্রদর্শনীর আয়োজন করা যায় এবং শিল্পী সমালোচকরা খুবই কম স্বল্প পরিচিতি চিত্রশিল্পীদের কাজ তুলে ধরে। এ কারনেই ব্লগ তরুণ শিল্পীদের কাজ তুলে ধরার মাধ্যম বা সুযোগ তৈরী করে দিচ্ছে, তাদের নিজেদের প্রদর্শন করার এবং তাদের সাথে যোগাযোগ ও মিলিত হবার সুযোগ করে দিচ্ছে, যারা তাদের সাইট এবং চিত্রকর্ম দেখেছে তাদের।
সকল চিত্রকর্ম অনুমতি নিয়ে অথবা ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স-এর অধীনে প্রকাশ করা হল।