রুজ একজন ব্লগার যিনি ওয়াইভিশন.কেজেড ব্লগ প্লাটফর্মে লেখেন। তিনি এখানে সরকারী স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষদের লেখা একটি চিঠি [রুশ ভাষায়] পোস্ট করেছেন। চিঠিতে তারা কাজটিউব.কেজেড ভিডিও পোর্টালে ভিডিও রাখার জন্য সুপারিশ করেছে। রাষ্ট্রের টাকায় তৈরী এই ওয়েব সাইট ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে চালু করা হয়। অধ্যক্ষরা বিশেষত: অনুরোধ করেছেন “তাদের প্রতিষ্ঠানে যে সমস্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় তার মধ্যে থেকে বিশেষ অনুষ্ঠানের ভিডিও নিয়মিতভাবে এখানে উঠিয়ে রাখতে”।
একস্ট রাষ্ট্রীয়ভাবে এই “বাজারজাতকরন চিন্তাভাবনার” সাথে পরিচিত [রশ ভাষায়], যা কিনা সোভিয়েত সময়েও প্রয়োগ করা হয়েছে। সে সময় লোকজনকে জোর করে সাববটনিকস (স্বেচ্ছা সেবক শ্রম, যেমন রাস্তা ঘাট, জায়গা পরিস্কার করে রাখা) এর জন্য কাজে লাগানো হয়। বর্তমানে সবাইকে জোর করা হচ্ছে যাতে বাজে একটা ভিডিও পোর্টালে ভিডিও রাখতে যেন সবাই বাধ্য হয়। বাকহা জানাচ্ছে এর কারন হচ্ছে “কতৃপক্ষ এই প্রজেক্টের জন্য অনেক টাকা ঢেলেছে”। এখন তারা এই বিষয়টিকে বৈধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই সাইটে লোকজন-এর প্রবেশ করানোর চেষ্টা চালিয়ে তারা একে জনপ্রিয় করতে চাচ্ছে। একই সময় কির্ম্বালি রসিকতা করে লিখেছে (রুশ ভাষায়), “ফান” (মজা) কাজটিউবের সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্যাগ বা সংযুক্তির নাম।
কুখ্যাত ইন্টারনেট সংশোধনী আইনের প্রেক্ষাপটে এবং সংসদে তাদের গ্রহণ করার মধ্যে দিয়ে একজন হয়তো একে বলবে যে এই ধরনের কাজ অদুর ভবিষ্যতে নিয়মিত হয়ে উঠবে। কাজাখস্তান হয়তো ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব ২.০ এর উন্নয়নে বিঘ্ন ঘটাবে যখন এর ব্যবহারকারীরা কনটেন্ট (বিষয়বস্তু) তৈরি করবে এবং তাকে প্রতিস্থাপিত করবে সরকারী অনুমোদনকৃত কনটেন্ট দ্বারা”।
আইটি ও কমিউনিকেশন এজেন্সির প্রধান, কুয়ানইয়াশবেক ইয়েশেকেইয়েভ এই এই সংশোধনীর উদ্যেক্তা। তিনি চিন্তিত[ রুশ ভাষায়]:
“কিছু কারনে ইন্টারনেটকে আইনের মধ্যে নিয়ে আসা উচিত। যদি তা স্বাভাবিক ভাবে চলে তাহলে একটা সম্ভবনা রয়েছে তা মলদোভার মতো ঘটনা (যেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যম জনপ্রিয়তা সংগঠিত করা হয়েছিল) তা কাজাখস্তানেও ঘটবে”।
যতদুর জানা যায় কোন সমালোচনা ঘটেনি। আইনজীবিরা গোলটেবিল বৈঠকে মিলিত হয়। সংসদের রাজনীতিবিদ এবং সাংবাদিকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। এমনকি ওএসসিই ও অন্য আর্ন্তজাতিক সংগঠনের কঠোর সামলোচনাও অনলাইন সেন্সরশীপকে বন্ধ করতে ব্যার্থ হয়। ওএসসিই নামক প্রতিষ্ঠানের বাকস্বাধীনতা ও প্রচার প্রতিনিধি মিকলস হারাজৎতি বলেছেন যে এই আইন ইন্টারনেটকে পেছনে নিয়ে যাবে এবং তিনি রাষ্ট্রপতি নাজারবায়েভকে এ ব্যাপারে ভেটো (না ভোট) প্রয়োগ করতে অনুরোধ জানাবেন।
কাজাখস্তান কি সেই দেশ যারা ইতিহাসে ইতিবাচক তুলনার মধ্যে থাকবে। যারা স্বেচ্ছায় পরমানু অস্ত্র ত্যাগ করেছে এবং সামনে এগিয়ে যাবার জন্য বেশ কিছু যৌথ উদ্যেগ নিয়েছে, অথবা এটি কি তার চরিত্র নষ্ট করে দেবে এবং স্থানীয় এবং আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিবাদ সত্বেও সেন্সারশীপকে সবুজ সংকেত দেব? কাজাখস্তানের সংসদ ইতিমধ্যে এই সংশোধনী আইন পাশ করেছে এবং তা রাষ্ট্রপতির কাছে স্বাক্ষর এর জন্য পাঠিয়ে দিয়েছে।
এছাড়াও লেখাটি নিউইউরাশিয়ায় ছাপা হয়েছে।