- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

ক্যাম্বোডিয়া: খেমার রুজ ট্রাইবুনালের সাম্প্রতিক সমস্যা রিপোর্টে এসেছে

বিষয়বস্তু: পূর্ব এশিয়া, ক্যাম্বোডিয়া, আইন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ইতিহাস, মানবাধিকার, রাজনীতি

ওপেন সোসাইটি জাস্টিস ইনিশিয়েটিভ [1] (উন্মুক্ত সমাজ বিচার উদ্যোগ) এর একটি রিপোর্ট জানিয়েছে খেমার রুজ ট্রাইবুনালে কি কি সমস্যা সম্প্রতি উঠে এসেছে। মে ২০০৯ এর শেষের দিকে প্রকাশিত এই রিপোর্টে জানা যায় যে দূর্নীতি আর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারনে ট্রাইবুনালের আইনগত দিকগুলো হুমকীর সম্মুখীন। রিপোর্টে বলা হয়েছে:

ক্যাম্বোডিয়ার সরকার আর জাতিসংঘ ব্যর্থ হয়েছে এখন পর্যন্ত একটা বিশ্বাসযোগ্য প্রক্রিয়ার ব্যাপারে একমত হতে যে কি করে দূর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর সমাধান দেয়া যায়। একটা সম্ভাব্য কার্যকর অভিযোগের প্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত থাকার ফলে দূর্নীতির প্রক্রিয়ার শিকার হতে পারে এমন কর্মীরা তাদের চাকরি বা নিরাপত্তা বিপদে না ফেলে কাজ করতে ভয় পাচ্ছে।

দূর্নীতির অভিযোগে আর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের সাথে সাথে, এই রিপোর্ট হালনাগাদ তথ্য জানিয়েছে ক্যাম্বোডিয়ার এক্সট্রাঅর্ডিনারি আদালতের [2] চেম্বারের কার্যাবলীর। পুরো রিপোর্ট এখানে আছে [3]

কিন্তু ট্রাইবুনাল প্রক্রিয়াগত একটা দিকে অকৃতকার্য হতে পারে। কেআই মিডিয়া [4] ভিওএ খেমার থেকে একটা গল্প পোস্ট করেছেন যেখানে তিনি উন্মুক্ত করেছেন যে সিনিয়র খেমার নেতারা বন্দী দশা থেকে মুক্ত হতে পারেন তাদের বিচার শুরুর আগেই, কারন ট্রাইবুনাল খুবই ধীর গতিতে এগিয়েছে।

ব্যর্থ শাসকদের মধ্যে চারজন সব থেকে সিনিয়র নেতা – নুইয়ান চে, খিউ শাম্পান, আইয়েং সারি, আইয়েং থিরিথ- এখন তাদের অর্ন্তবতীকালিন বন্দী থাকার মেয়াদ মাঝপথে, অথচ তারা কেউ বিচার দেখেনি। কিছু লোক ২০১০ প্রথমদিকে এই চারজনের মুক্তি আশা করেন, কিন্তু অন্যরা বলছেন যে কর্তৃপক্ষের উপায় বের করতে হবে এদেরকে আটকিয়ে রাখার।

দূর্নীতির অভিযোগগুলো এর আগের একটা গ্লোবাল ভয়েসেস পোস্টে [5] আলোচনা করা হয়েছে। ক্যাম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষ ট্রাইবুনালের কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, যার মধ্যে বিচারকদের বর্তমানে সরকারী কর্মচারীদের সাক্ষাৎকার নেয়া থেকে বিরত করার অভিযোগও আছে।
[6]

ছবি ফ্লিকার থেকে আরওয়েন্স আবেন্দস্টের্ন [7] এবং ক্রিয়েটিভ কমন্স এর লাইসেন্স এর আওতায় [8] প্রকাশিত।