- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

ইরান: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর প্রতিবাদের ঝড়

বিষয়বস্তু: মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., ইরান, নির্বাচন, প্রতিবাদ, বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার, রাজনীতি, সরকার

demo1
তেহরান, মাশহাহাদ এবং ইরানের আরো অনেক শহরে হাজার হাজার লোক প্রতিবাদ [1]বিক্ষোভ প্রদর্শন করে শুক্রবারে দেশটির রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মাহমুদ আহমাদিনেজাদ [2] নিজেকে বিজয়ী দাবী করার প্রতিবাদে। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দুইজন সংস্কারপন্থী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা বলছে যে নির্বাচনে কারচুপি করা হয়েছে।

মীর হোসেন মুসাভি [3], নির্বাচনে আহমাদিনেজাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তিনি বলেন [4] “বিশ্বাসহীন নির্বাচন পর্যবেক্ষণের” মাধ্যমে আসা এই ফলাফল “ইরানের শাসনব্যবস্থার দুর্বল ভিত্তি যা দুর্বল সংবিধানকে শুদ্ধ বলে গণ্য করে” এবং “কর্তৃত্বশালী কর্তৃপক্ষ ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসককে” পবিত্র বলে গন্য করে। ইউটিউবে ইরানের বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ প্রদর্শনের ছবি তুলে দেওয়া হয়েছে।

তেহরানের ভালিআসর রাস্তায় [5] এক প্রতিবাদের সময় হাজার হাজার প্রতিবাদকারী আহমাদিনেজাদ সরকারের বিরু্দ্ধে বিক্ষোভ প্রর্দশন করে ও স্লোগান দেয়।

এখানে লোকজন স্লোগান দিচ্ছিল, মুসাভি আমার ভোট ফিরিয়ে দাও!

নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিবাদকারীদের দমন করছে:

মাশহাহাদ শহরে এক প্রতিবাদ মিছিল চলার সময় প্রতিবাদকারীরা নিরপত্তা বাহিনীকে বলছে, তাদের সমর্থন করার জন্য [তাদের দমন করার বদলে]:

গোহমার আশহেগাহনে বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে [6] যেখানে দেখা যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিবাদকারীদের আঘাত করছে (একেবারে উপরের ছবি দেখুন)। ব্লগার লিখছেন [ফার্সী ভাষায়] রাস্তায় বা প্রতিবাদে সামিল না হবার একটা ভালো অজুহাত হতে পারে নিরাপত্তা বাহিনীর এই দমন, ‘আমরা এই সকল দু:খে কি করতে পারি’? তিনি বলেন কারোবি এবং মৌসাভি [দুজন সংস্কারপন্থী রাষ্ট্রপতি প্রার্থী ছিলেন] দেশটির অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে চেয়েছিল, তারা তা এখনই শুরু করতে পারে।

বলজিরান লিখেছেন [7] [ফার্সী ভাষায়] যে ইরানের নেতা আলি খামেনিই [8], এক অভ্যুথানের মধ্যে দিয়ে এমনকি প্রেসিডেন্ট হবার আগেই মুসাভিকে সরিয়ে ফেললো এবং তার জায়গায় আহমাদিনেজাদকে বসালো…। তিনি লিখছেন, “এই শাসনের যেটুকু বৈধতা ছিল তাও সে হারালো”।

মেহেরদাদ টুইটারে লিখেছেন [8], ইরানের নেতারা প্রদর্শন করলো, তারা ইরানের জনগণের বিপক্ষে। এখন যে কোন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিতে পারবে।

মেহরি৯১২টুইটারে বলছেন [9], “আজ রাতে ইরান যদি ঘুমিয়ে পড়ে, তাহলে সে চিরতরে ঘুমিয়ে পড়বে”।