ইরান: ভোট দেওয়া বা না দেওয়া

ইরানের যে কোন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আলোচনার অন্যতম এক বিষয় হয়ে দাড়ায় ‘ভোট দেওয়া অথবা না দেওয়া’। অন্য কথায় বলা যায় নির্বাচনে অংশ নেওয়া অথবা নির্বাচন বয়কট করা। যদিও বেশ কয়েকটি বিরোধী দল ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে, তারপরেও জুনের ১২ তারিখের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বয়কটকারীর সংখ্যা এর আগের নির্বাচনের চেয়ে কম হয়েছিল। এর চার বছর আগে ইরানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়েছিল। ছাত্রদের একটা শক্তিশালী সহযোগী প্রতিষ্ঠান যেমন তাহকিম ভাহদাত চার বছর আগে তাদের যে অবস্থান ছিল তার বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। তারা এক সংস্কারবাদী প্রার্থী মেহেদি কারোবির পক্ষ নিয়েছে এবং পরিবর্তনের পক্ষ ভোট দেবার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

voteforchange13

সম্ভবত সবচেয়ে সৃষ্টিশীলভাবে জনগণকে ভোট দিতে উৎসাহ দেবার উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে নেদারল্যান্ড থেকে। কামরান আশাতারি নেদারল্যান্ড ভিত্তিক ব্লগার ও শিল্পী। তিনি এবং তার দুই বন্ধু, ইউটোপিয়ার সম্পাদক ফরহাদ গোলিয়ার্দি এবং ইরানি সমাজবিজ্ঞানী শেহেরভিন নেকুই একটা ওয়েব সাইট চালু করেছেন যার নাম ‘ইরানের জন্য ভোট’।

কামরান লিখছেন:

আমি কেবল এই আশায় ভোট দিচ্ছি না যে রক্ষণশীল সরকার পরিবর্তিত হবে, আমি এই আশায় ভোট দিচ্ছি যে আমরা আরো গণতান্ত্রিক সমাজ গড়তে পারবো, যেখানে নারীদের অধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার কেবল স্বপ্ন নয়। গত চার বছরে প্রমানিত হয়েছে আমাদের অধিকার আমাদের কল্পনার চেয়ে বেশী বিপদে পড়তে পারে।

এখন থেকে চার বছর আগে এই রকম কোন উদ্যেগের অংশিদার হওয়া আমার চিন্তারও বাইরে ছিল। বিগত চার বছরে ডানপন্থী আহমাদিনেজাদ ইরানকে আরো পিছনে ঠেলে দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি প্রবাসী ইরানিদের আরো গঠনমুলক ভুমিকা পালন করা উচিত এবং তাদের ক্ষমতার যাদুকরী বা নাটকীয় পালাবদলের অপেক্ষায় থাকা উচিত নয়।

সারা বিশ্বের ২৫টি ভিন্ন শহরে ছড়িয়ে থাকা ইরানি নাগরিক একসাথে হয়েছেন এবং ঘোষণা দিয়েছেন তারা এবার ভোট দেবেন:

ইরানের প্রাক্তন উপ রাষ্ট্রপতি আলি আবতাহি লিখেছেন:

নির্বাচন বয়কট করার হার কমে আসা এবারের নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা। এর আগের নির্বাচনে বড় আকারে নির্বাচন বয়কট বেশ সমস্যার সৃষ্টি করেছিল। এই চার বছরে রাষ্ট্রপতিকে এক অবিশ্বাস্য উপহার প্রদান করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে আমি ছাত্রদের এক দলকে দেখেছি যারা এর আগের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে, নির্বাচন বয়কট করার জন্য প্রায় ৫০০ স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছিল। এখন তাদের বেশীরভাগই লোকদের নির্বাচনে ভোট দেবার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।

পাইকর্গ লিখছেন [ফার্সী ভাষায়] যে নির্বাচনকে অবশ্যই বয়কট করতে হবে। এই ব্লগে উল্লেখ করা হয়েছে যে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক এবং স্বাধীন ছিল না।

তাহিরমান এতথাবাত (যার মানে নির্বাচন বয়কট) লিখেছেন [ফার্সী ভাষায়], নির্বাচন বয়কট করে ইরানিরা বাকী বিশ্বের প্রতি একটা ঘোষণা দিতে পারে যে ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরানের কোন বৈধ ভিত্তি নেই।

1 টি মন্তব্য

এই জবাবটি দিতে চাই না

আলোচনায় যোগ দিন -> দেশ ফোরাম

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .