দক্ষিণপূর্ব এশিয়াতে ইনফ্লুয়েঞ্জা এ(এইচ১এন১) এর কেস

বেশ কয়েকটা দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ নিশ্চিত করেছে যে তাদের কয়েকজন নাগরিক ইনফ্লুয়েঞ্জা এ (এইচ১এন১) ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এই অঞ্চল এখন আর শোয়াইন-ফ্লু মুক্ত না।

মালায়শিয়ায় শোয়াইন ফ্লু পাওয়া গেছে এমন খবরের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, নুরাইনা এ সামাদ খারাপটির আশংকা করছেন:

আমরা জানি যে দুটো ফ্লাইটে আরো যাত্রী আছেন যারা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে রিপোর্ট করেননি। আর এটার সাথে যোগ করেন সেই সব মানুষ যাদের সান্নিধ্যে তারা এসেছেন… আর এর পরে আরো। ভীতিজনক, তাই নয়কি?

কিন্তু…আহ, এটা চিন্তা করতে যে মাত্র দুই সপ্তাহ আগে, শোয়াইন ফ্লু,- উপস, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ বা এইচ১এন১ ভাইরাস- অনেক দূরে দুরের মেক্সিকোতে ছিল।

লা কুরারাচা বলার আগেই, এটা আমেরিকা, কানাডায় উড়ে গিয়ে… এখন এখানে।

ওথমান বিন হাজ আহমেদ মনে করেন যে মালয়েশিয়ায় জন্য এই ভাইরাস সামলানো এরই মধ্যে দেরী হয়ে গেছে:

সকল যাত্রীকে বা যেসব নিশ্চিত কেস আছে শোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত ব্যক্তি সম্পর্কে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইন করার সীমিত সাফল্য নিয়ে, এর সাথে যোগ হয়েছে এই শোয়াইন ফ্লু কেস নিশ্চিত করা পরীক্ষার দেরী হওয়া, এখন এই শোয়াইন ফ্লু নিয়ন্ত্রন করা অনেক দেরী হয়ে গেছে।

মনে রাখবেন যে অনেক শোয়াইন ফ্লু এইসব পরীক্ষা দিয়ে নিরুপন করা যায়না আর অনেক কয়েকটাকে সাধারণ ফ্লু এর মতো মনে হয় কেবলমাত্র এগুলো তামিফ্লু ঔষধ প্রতিকার করতে পারে না, আমেরিকার সাধারণ ফ্লুর মতো। মালয়েশিয়ায় সাধারণ ফ্লু অনেক ধরনের হতে পারে।

আকমাল ওয়ান্টেল মনে করেন সিঙ্গাপুরকে আরো বেশী সতর্ক হওয়া উচিত যেহেতু মালায়শিয়ায় এরই মধ্যে সোয়াইন ফ্লুর কেস পাওয়া গেছে:

সিঙ্গাপুর তার ফ্লু সতর্কীকরন মাত্রা ‘কমলা’ থেকে ‘ হলুদ’ এ নামিয়েছে; কিন্তু মালয়েশিয়া গতকাল বিকালে তাদের প্রথম শোয়াইন ফ্লু কেসের কথা ঘোষণা করেছে। এখনো উল্লসিত হবার সময় না আর অবশ্যই ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য রাখুন।

থাইল্যান্ড জানিয়েছে যে তাদের দেশেও শোয়াইন ফ্লু প্রবেশ করেছে। ২০ জনের বেশী লোক ফ্লুর আলামতসহ নিরীক্ষার মধ্যে আছে। নট দ্যা নেশন একটা ব্যাঙ্গাত্মক প্রতিবেদন ছাপিয়েছেন থাইল্যান্ডে ‘সোয়ার্ড ফ্লু‘ এর অস্তিত্ব সম্পর্কে।

সাবধানতা গ্রহন করা হয়েছিল এই চিন্তায় যে একটা শুকর শোয়াইন ফ্লু নিয়ে একটা মুরগী যার বার্ড ফ্লু ছিল তার সাথে সময় কাটানোর ফলে নতুন একধরনের ভাইরাস ছড়াতে পারে যার নাম ‘সোয়ার্ড ফ্লু'।

ক্যাম্বোডিয়া সাবধান হয়ে গেছে থাইল্যান্ড তার প্রথম শোয়াইন ফ্লু আক্রান্তের কথা নিশ্চিত করার পরে। সম্প্রতি ক্যাম্বোডিয়া তিনজন ক্যাম্বোডিয়া- আমেরিকানের স্বাস্থ্য নিরীক্ষা করছে যারা শোয়াইন ফ্লুর জন্য পজিটিভ হয়েছেন। ইতোমধ্যে ভিয়েতনামী একজন বিমান যাত্রী দক্ষিণ কোরিয়াতে কোয়ারেন্টাইনের সম্মুখীন হন যখন তার মধ্যে এই ভয়ঙ্কর রোগের আলামত সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ফর ওয়ান্ট অফ এ বেটার টাইটেল আমাদেরকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে শোয়াইন ফ্লুর থেকেও মারাত্মক রোগ আছে:

আপনি যদি এইচ১এন১ নিয়ে চিন্তিত, তাহলে আর চিন্তা করবেন না। আরো পাঁচটা মারাত্মক অসুখ আছে যা অনেক বেশী ক্ষতিকর আর আপনাকে মারার ভালো সম্ভাবনা আছে। মনে করেন ডেঙ্গু, এবোলা, এইডস, কলেরা আর স্পাইনাল ম্যানেঞ্জাইটিসের কথা। আমি বলতে চাচ্ছি যে কলেরা বরাবর আছে, আর ডেঙ্গু আমাদের মধ্যে আছে। আমি মনে করি যে আমার এগুলো নিয়ে অনেক বেশী চিন্তা করা উচিৎ।

সি লিওং কিট সিঙ্গাপুরে একত্র ভোজনের রীতির ব্যাপারে সাবধান করেছেন। এ (এইচ১এন১) এর বিস্তার রোধের জন্য তিনি প্রস্তাব করেছেন:

  • স্বাস্থ্য উন্নয়ন বোর্ড একটা কার্যকর প্রচারণা শুরু করা উচিত সিঙ্গাপুরবাসীকে ‘স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাওয়ার জন্য’ (চামচ ব্যবহার করে) তাদের চলতি প্রচেষ্টা ‘স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য খাওয়া’ (আরো ফল আর সবজি) প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে।
  • জাতীয় পরিবেশ এজেন্সী, তাদের লাইসেন্স এর জটিলতা ব্যবহার করে, হকার আর রেস্টুরেন্টের জন্য একটা বাধ্যতামূলক নির্দেশনা জারি করেছে পরিবেশনের চামচ না চাইতেই দেয়ার জন্য।

ফিলিপাইন্সে দুটি শোয়াইন ফ্লুর কেস আছে এরই মধ্যে। সংখ্যাগরিষ্ট ক্যাথোলিক চার্চ চিন্তা করছে শোয়াইন ফ্লু থামানোর পদক্ষেপ হিসাবে গীর্জায় প্রার্থনার সময়ে হাত ধরা নিষিদ্ধ করার

শোয়াইন ফ্লুর ভীতি যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, আরো বেশী মানুষ শুকরের মাংস খাওয়ার ব্যাপারে আতঙ্কিত হচ্ছে। এটা হয়তো ব্যাখ্যা হতে পারে যে ক্যাম্বোডিয়া থেকে ভিয়েতনামে ইদুঁরের মাংসের রপ্তানী বৃদ্ধির বিষয়টা।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .