মু সচুয়া একজন আর্ন্তজাতিকভাবে পরিচিত সক্রিয় কর্মী ও ক্যাম্বোডিয়ার জাতীয় সংসদের স্যাম রেইনসি পার্টির (এসআরপি) সদস্য। ভদ্রমহিলা সম্প্রতি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। হুন সেন ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে তার বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করেছিল। ঘটনাক্রমে হুন সেনও মু সচুয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা মানহানির মামলা দায়ের করেছেন ।
কেআই মিডিয়া নমপেন পোস্ট পত্রিকা থেকে বিস্তারিত উল্লেখ করে হুন সেনের পাল্টা মামালার বিষয়টি নিয়ে লেখা পোস্ট করেছে:
সরকারি আইনজীবি কেই টেক হুন সেনের হয়ে পাল্টা মামলা দায়ের করেন। কেই টেক দাবী করেন তিনি মু সচুয়া এবং অন্যদের কাছ থেকে ক্ষতিপুরণ বাবদ ১০ মিলিয়ান রিয়েল (২৪২৭ ডলার) ক্ষতিপুরণ চান। বৃহস্পতিবারে এক সংবাদ সম্মেলনে তার বিশেষ মক্কেলের হয়ে সুর্নিদিষ্ট ব্যাক্তির সবার নাম উল্লেখ না করে তিনি কথাগুলো বলেন।
এর বিপরীতে মু সচুয়া তার মামলায় ৫০০ রিয়াল ক্ষতিপুরণ দাবী করেছেন।
ক্যাম্বোডিয়ান ব্রাইট ফিউচার একটি চিঠি পোস্ট করছেন যে চিঠিতে মু সচুয়া লিখেছেন:
কয়েকদিনের মধ্যে আমার সংসদীয় নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হবে যাতে কোর্ট আমার ঘটনাটি তদন্ত করতে পারে। এটি বিরোধী দলীয় রাজনীতিবিদ অথবা মানবাধিকার কর্মী অথবা গরীব ব্যক্তি যারা আদালত-এর কর্মচারীদের ঘুষ দিতে পারে না তাদের জন্য সাধারণ ব্যাপার। আমাকে কুখ্যাত জেল “প্রে সার” এ পাঠানো হবে। ততদিন পর্যন্ত সেখানে রাখা হবে যতদিন আদালত ইচ্ছা প্রকাশ করে…. এখনও কি বিশ্ব নিরব হয়ে দেখছে যে ক্যাম্বোডিয়া একজন মাত্র ব্যক্তির দ্বারা শাসিত হচ্ছে?
মু সচুয়ার চিন্তার প্রতিধ্বনি করেছেন ডিটেইলস আর স্কেচি:
বিবেচনা করা যাক প্রধানমন্ত্রী হুন সেন আদালতের মালিক, (একটি মানহানির মামলা) অনেকটাই তার জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু তার সৌভাগ্যকামনা করি। দুই সেকেন্ডের জন্য তা কৌতুহল তৈরী করে-এই মামলাটিকে বাতিল করার আগে আদালত কতটা সময় নেবে।
মু সচুয়া সম্প্রতি ভিওএ বা ভয়েস অফ আমেরিকা খেমার-এর এক অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন। সেখানে তিনি ঘোষণা দেন, তিনি তার এই মামলাটি তুলে নিচ্ছেন।
মু সচুয়া বলেন, “যদি উভয় পক্ষ তাদের অভিযোগ উঠিয়ে নিতে আগ্রহী হয়, তবে দেশের স্বার্থে তিনি এই মামলা তুলে নিতে চান।”
হিউম্যান রাইট ওয়াচ মু সচুয়াকে সমর্থন করেছে এবং সারাবিশ্বের সকলকে এই ব্যাপারে তাকে সমর্থন করার আহবান জানাচ্ছে ।
ইকুইটিকাম.টিভি সম্প্রতি মু সচুয়ার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। সাক্ষাৎকারের বিষয়বস্তু ছিল ক্যাম্বোডিয়ার রাজনীতিতে মেয়েদের অবস্থান। তার সাক্ষাৎকারটি ছিল এই বিষয়ে দ্বিতীয়। এই বিষয়ে মু সচুয়ার সহকর্মী সংসদ সদস্যা মেন সাম ওনের প্রথমে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।