ভারত নির্বাচন ০৯: ভারত চূড়ান্ত ভোট দিচ্ছে, সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থায়ীত্বের হাত দৃঢ় করার

১৬ই মে, ২০০৯:

সারা দেশ থেকে নির্বাচনের ফলাফল আসছে আর এখন এটা পরিষ্কার যে ভারতের কেন্দ্রে একটি দৃঢ় সরকারের জন্য চুড়ান্ত ভোট দেয়া হচ্ছে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএর জন্য। ড: মানমোহন সিং দ্বিতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন। সকল ফলাফল আসার আগেই, ফলাফলের গতিধারা দেখে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট জনসমক্ষে পরাজয় স্বীকার করেছে।

ইউপিএর চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী ভোটারদের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। বিকাল ৪টায় তার বাসার একটা প্রেস কনফারেন্সে তিনি বলেছেন, ”ভারতের মানুষ জানে তাদের জন্য কি ভালো আর তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।“

এখন পর্যন্ত (ভারতীয় সময় বিকাল ৫.৪০) জাতীয় ট্যালি (ফলাফল) নিন্মরুপ:

সর্বমোট আসন= ৫৪৩

ক্ষমতা দাবীর জন্য যতো আসন দরকার (সংখ্যাগুরু)= ২৭২

————————————————————–

ইউপিএ জোট- অগ্রসর + জিতেছে =২৫৮

এনডিএ জোট – অগ্রস্র + জিতেছে = ১৬২

তৃতীয় জোট – অগ্রসর + জিতেছে = ৬৮

অন্যান্য (৪র্থ জোট সহ)- অগ্রসর + জিতেছে= ৫৫

——————————————————————————————-

ভারতীয় নির্বাচন (#ইন্ডিয়াভোটস০৯) আজকের টুইটারে একটা টপট্রেন্ডিং বিষয়টুইটার ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে কিছু প্রতিক্রিয়া:

@জেরঘু- ভারতীয় নাগরিকরা রায় দিয়েছেন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জিতেছে সব থেকে বৃহৎ মুক্ত গণতন্ত্রের নিরাপদ, মুক্ত নির্বাচনে। ধন্যবাদ, সবাইকে # ইন্ডিয়া# ইন্ডিয়াভোটস০৯

@দিনা- এই রায় ভালো শাসনের জন্য বলে মনে হচ্ছে- স্থায়ীত্ব আর অগ্রগতি আর আশা যা ভীতির বীপরিত। শাসনের জন্যে রাজনীতিবিদদের জন্যে না। # ইন্ডিয়াভোটস০৯

@কালামুর-#ইন্ডিয়াভোটস০৯- সিং ইজ কিং- আদভানি বনাম প্রধানমন্ত্রী , ঘ্যানঘ্যানানি বনাম শক্তি, কটুতা বনাম দূরদৃষ্টি, ক্ষমতার লোভ বনাম দায়িত্ব। ভারত ভালো পছন্দ করেছে।

যখন বেশ অনেক জায়গায় আনন্দ হচ্ছে, তখন বিজেপির সমর্থকদের মধ্যে প্রতিফলিত হচ্ছে হতাশা। ব্লগার চক্রেশ মিশ্র তার ব্লগে লিখেছেন:

বিজেপিকে আমার অনেক সহানুভূতি, যে দলকে আমি ভোট দিয়েছিলাম। একটা জাতীয়তাবাদী দল। এটা বিজেপির জন্য মুখ হারানো। কিন্তু বন্ধুরা, ইতিহাসে এমন সময় আসে যখন সব কিছু হারিয়ে গেছে মনে হয় আর মনে হয় যে ভুল শক্তি শেষ যুদ্ধ জিতেছে। কিন্তু প্রিয় বন্ধুরা এটা কেবলমাত্র একটা প্রক্রিয়া যেটা চলতেই থাকে। একটা মানুষের জীবনে পাঁচ বছর অনেকটা সময় হতে পারে, কিন্তু জাতির জীবনে (তাও আবার ভারতের মতো দেশে) এটা পলক মাত্র।

পরাজয়ের পরের সময় শোক করার আর দোষ দেবার খেলা করার সময় না। এটা সময় ফিরে দেখার যাতে পরের যুদ্ধে বিজয়ী হওয়া যায়।

যদিও আশা ভঙ্গ হয়েছে আর দু:স্বপ্ন আসছে কিন্তু ভোর অবশ্যই আসবে। এটা ভারতীয় ইতিহাসের প্রথম কালো দিন না, আমরা বেঁচে গেছি আর যুদ্ধ করেছি। আসুন ওটা আবার করি।

আপডেট:

১৭/০৫/০৯ বিকাল ১টার ফলাফল:

মোট আসন = ৫৪৩

ক্ষমতা দাবীর জন্য যতো আসন দরকার (সংখ্যাগুরু) = ২৭২

————————————————————–

ইউপিএ জোট- অগ্রসর + জিতেছে =২৬২

এনডিএ জোট – অগ্রসর + জিতেছে = ১৫৭

তৃতীয় জোট – অগ্রসর + জিতেছে = ৬৭

অন্যান্য (৪র্থ জোট সহ)- অগ্রসর + জিতেছে= ৫৭

——————————————————————————————-

ইউপিএ জোটের এখন সমর্থন জোগাড় করা দরকার মাত্র মনে হয় ১০ আসনের জন্য। কাদেরকে তারা আমন্ত্রণ জানাবে তাদের জোটের অংশ হওয়ার জন্য? জানা যাবে অচিরেই।

এই লেখাটি ভারতীয় নির্বাচন ২০০৯ উপলক্ষ্যে গ্লোবাল ভয়েসের বিশেষ প্রতিবেদনের অংশ হিসেবে প্রকাশিত।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .