৬ই মে, ২০০৯ তারিখে মেঘলা লিখছেন, এক প্রবল বাতাস সারা মান্দালয়ে আঘাত হেনেছে। মান্দালয় মায়ানমারের তৃতীয় রাজধানী।
তিনি লিখছেন:
একটা সেমিনারে অংশ গ্রহণ করে আমি বিকেল চারটার সময় অফিসে ফিরে আসি। পথে আমি একটা বাতাস দেখলাম যা ছিল ঘুর্ণি বাতাস এবং সেখানে অনেক ধুলো উড়ছিল। আমি অফিসে পৌছাতে না পৌছাতে বাতাস শক্তিশালি হতে লাগলো। তখন বিকেল ৪.৩০ বাজে। এবং বাতাসের সাথে সাথে বৃষ্টি পড়তে লাগলো। হয়তো বাতাসের বেগ খুব শক্তিশালি ছিল তাই বৃষ্টি উপর থেকে নীচে নামতে পারছিল না, কিন্তু তা পাশে ছড়িয়ে পড়ছিল। সে সময় খুব শব্দ হচ্ছিল। প্রকৃতিকে ধন্যবাদ। এই ঘটনা আধাঘন্টা ধরে চলে। এটা যদি তিন থেকে চার ঘন্টা চলতো তাহলে তা নার্গিস নামের সাইক্লোনে পরিণত হতো। যখন আমি কাজ থেকে ফিরছিলাম তখন আমি কোনের বিলবোর্ডটিকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখলাম। এটি পড়ে ছিল ৮০ নম্বর রাস্তা থেকে ৩৫ নম্বর রাস্তার মাঝে। আমি শুনেছিলাম বিলবোর্ডের পেছনের দিকের নীচে একটা গাড়ী চাপা পড়েছিল, কিন্তু আমি যখন সেই এলাকা অতিক্রম করছিলাম তখন সেখানে কোন গাড়ী পড়ে থাকতে দেখিনি। একটি সাইনবোর্ড এক কোণে দুমড়ে পড়ে ছিল। ৩৫ নম্বর রাস্তার পাশে রেলওয়ে ওভারব্রীজের কাছের ছোট্ট বিলবোর্ডগুলো হয় পড়ে ছিল, না হয় ভেঙ্গে গিয়েছিল। এখন পৌরসভার লোকদের বিলবোর্ডের স্থায়িত্ব পরীক্ষা করে দেখা দরকার। তারা অবশ্যই বের করবে কিভাবে আমাদের মাথার উপর খাড়া ভাবে বিলবোর্ড তৈরী করার অনুমোদন দেওয়া হলো।
এখানে যে উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে তা লেখকের ব্লগ থেকে বার্মিজ ভাষা হতে অনুবাদ করা হয়েছে।