- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

শুভ মা দিবস!

বিষয়বস্তু: উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া, পশ্চিম ইউরোপ, পূর্ব এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা, সাব সাহারান আফ্রিকা, উগান্ডা, গুয়াতেমালা, ডেনমার্ক, ফিলিপাইনস, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ইতিহাস, ব্যবসা ও অর্থনীতি, শিল্প ও সংস্কৃতি

গুয়াতেমালার জেলার ফুল, ফ্লিকার থেকে এরিক++ এর সৌজন্যে [1]

গুয়াতেমালার জেলার ফুল, ফ্লিকার থেকে এরিক++ এর সৌজন্যে

যদি সমস্ত মানব জাতির জন্যে একটি বিষয় শুধু সত্য হয়, তা হল যে আমাদের সবারই মা আছে। এবং বিশ্বের অনেক দেশেই মাকে শ্রদ্ধা জানানো ও স্মরণ করার জন্যে “মা দিবস [2]” পালিত হয়। যদিও এই দিবসটি বিভিন্ন দিনে পালিত হয়, অনেক দেশেই আজকে, মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পালিত হচ্ছে। ডেনমার্ক থেকে ডোমিনিকা, পেরু থেকে পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে উগান্ডা, সব দেশের বিভিন্ন বয়সী অনেক ব্লগার তাদের মাকে স্মরণ করছে, বা দুর হতে মার কাছে ছুটে যাচ্ছে শ্রদ্ধা জানাতে।

গুয়াতেমালার হুহুতেনাঙ্গো [3] প্রদেশের সান্তা ক্রুজ বারিলাস ব্লগের লেখক মা দিবসের চিরায়ত একটি ঐতিহ্যগত উদযাপন সম্পর্কে জানাচ্ছে [4]

Feliz día de la Madre. Como ya es tradicional en nuestro querido municipio, el día de hoy 10 de mayo, desde las 2 de la mañana han salido diferentes grupos de organizaciones como iglesias, la Municipalidad y grupos de jóvenes a darle Serenata a las madrecitas de todas las zonas.

শুভ মা দিবস! আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য অনুযায়ী ১০ই মে ভোর দুটোয় গীর্জা, স্থানীয় সরকার এবং স্থানীয় যুবাদের দল ইত্যাদি সংগঠন একসাথে হয় অত্র অঞ্চলের সব মাকে উদ্দেশ্য করে গান গাওয়ার জন্যে।

ভারতের ব্যাঙ্গালোর থেকে মহেশ আজকের দিনটি নিয়ে লিখছেন। মাদের সম্পর্কে তিনি বলছেন [5]:

সব সংস্কৃতিতেই সন্তানদের মানুষ করার ক্ষেত্রে মার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয় যে ভারতের শহুরে ছেলেমেয়েরা (বিশেষ করে সাবালক যারা) পিতামাতা থেকে ক্রমেই দুরে সরে যাচ্ছে। আমরা এই পাপের জন্যে হয়ত ভবিষ্যৎে চরম মূল্য দেব। আমার মনে হয় বছরে একদিন বাবা-মাকে ধন্যবাদ না দিয়ে প্রতিটি দিনই তা করা উচিৎ।

আমেরিকান ব্লগ প্লান এ এর ব্লগার নিজেই একজন মা। তাই আজ তিনি দুটি বিশেষ ব্যাক্তিকে উদযাপন করছেন: উগান্ডা থেকে দত্তক নেয়া তার দুই পালিত সন্তানের মাকে। এই ব্লগার লিখছেন [6]:

আপনারা কি জানেন যে মা দিবস শুধু আমেরিকার একটি ছুটির দিন নয়, বরং এটি উগান্ডাসহ সারা বিশ্বের আরও অনেক দেশে উদযাপিত হয়। আজকে, আমি স্মরণ করছি সেই দুজন মহিলাকে যারা ২০০৬ এবং ২০০৭ সালে দুটি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তাদের পক্ষে জানার উপায় নেই যে এই দুটি ছেলের বর্তমান অবস্থা কি। বাচ্চাদের এতিম হওয়ার অন্যতম কারন মায়ের স্বাস্থ্যের অবনতি, তাই হয়ত তারা বেঁচে নাও থাকতে পারে। কিন্তু, যদিও আমি কোনদিনই সঠিক ঘটনা জানব না – আমি আজ আমার দুই সন্তানের জন্মদাত্রীর কাছে গভীর কৃতজ্ঞ।

ডেনমার্কের দি ফিলিপিনো মাম এই দিনটিকে এই মিষ্টি মধুর বাক্য [7] দিয়ে স্মরণ করেছেন।

সব মায়েরাই একসময় মেয়ে ছিলেন এবং তাদের ছাড়া আমরা কখনও মা হতাম না! শুভ মা দিবস ২০০৯!

সবশেষে লেবার ইজ নট এ কমোডিটি ব্লগের মানফ্রেড এল্ফস্ট্রম আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন [8] যে শুধু আমাদের নিজেদের মা নয়, সব মহিলাকেই শ্রদ্ধা করতে:

মা দিবস এবং স্বল্প পরিচিত বিশ্ব মেলা দিবস আসছে। তাই আমাদের চিন্তা করা উচিৎ একটি সেক্টর সম্পর্কে যা অধিক পরিমানে মায়েদের কর্মসংস্থান করে এবং অধিকাংশেই তা পক্ষপাতীত্বপূর্ণ। এটি হচ্ছে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রী – সিলিকন ভ্যালীর শৈল্পিক ধরণের নয়, সেই সেক্টর যা আমরা যেই ল্যাপটপ এবং এমপি৩ প্লেয়ার ব্যবহার করি তা তৈরি করে। এই সেক্টরের কিছু পরিমান চাকুরী যদিও দক্ষ শ্রমিকদের দখলে এবং পর্যাপ্ত আয়ের সংস্থান করে, অনেক পদই খুবই একঘেয়ে, দীর্ঘমেয়াদী একই ধরনের কাজে পরিপূর্ণ। কাজের ধরণের কারনে এইসব কাজে রত মহিলাদের চোখে সমস্যা দেখা দেয় এবং পিঠে ব্যাথা দেখা দেয়। এসবই করতে হয় তাদের খুবই কম বেতনে, এমনকি সর্বনিন্ম মজুরীরও কম পরিমাণ বেতনে।