ইরানী পরিবেশবাদীরা বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া টুলস ব্যবহার করছেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক স্তম্ভ বাঁচানোর জন্য যেমন সি – ও- সে পল বা “ ৩৩ পল” (৩৩ একরের ব্রিজ) [1]। এটি ইরানের ঐতিহাসিক শহর ইশফাহানের কেন্দ্রে একটি স্থাপত্যের মাস্টারপিস। এ নিয়ে বিবাদ চলছে কতৃপক্ষের সাথে যারা সেখানে নতুন একটি মেট্রো প্রকল্প গড়ে তুলতে চাচ্ছে আর ইরানের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নাগরিকরা এর ফলে কি ক্ষতি হতে পারে সে নিয়ে ভয় পাচ্ছে।
[2]
শাহীন সেপান্তা পারস্য সাম্রাজ্যের ভূতপূর্ব রাজধানী ইশফাহানকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি খোলা চিঠি [3] লিখেছেন। এই ব্লগার লিখেছেন যে যথাযথ প্রস্তুতিমূলক গবেষণা ছাড়াই শহর কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে স্থাপত্যের মাস্টারপিস এই অনন্য কম্পলেক্স এর কাছে একটি মেট্রো সুড়ঙ্গ তৈরি করবে তারা।
ইশফাহানের মানুষ, আর অনেক বেসরকারী সংস্থা এই ধরনের অবিবেচক প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে আর কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেছে শহরের ঐতিহাসিক অঞ্চল থেকে দূরে এই সুড়ঙ্গ খূঁড়তে, আর সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেছে যানবাহনের চাপ কমানোর জন্য। তবে শহরের কাউন্সিল এইসব প্রতিবাদের দিকে দিকপাত না করে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এটা মনে রাখা উচিৎ যে ইশফাহান একটা বহুমাত্রিক স্থান, যাতে আছে অনেক ঐতিহাসিক আর গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা যা কেবলমাত্র ইরানী মানুষের না বরং সমগ্র মানবজাতির সাধারন ঐতিহ্য ভাবা হয়। সমগ্র বিশ্বের সবার অধিকার এর সৌন্দর্য ভোগ করা, আর একই সময়ে, সকল ধ্বংসাত্মক ভীতির বিরুদ্ধে একে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব নেয়া।
গ্রীননিউজে [4] আমরা পড়েছিলাম যে মেট্রো প্রোজেক্ট এর বিরুদ্ধে বেড়ে যাওয়া সংখ্যায় প্রতিবাদ কতৃপক্ষকে বাধ্য করেছে প্রকল্পের উন্নয়ন সম্পর্কে বিতর্কিত কথা বলতে। গ্রীননিউজ ছবি প্রকাশ করেছে (উপরেরটার মতো) যেখানে নির্মাণ যন্ত্র “৩৩ পল ( ৩৩ একরের ব্রিজ) এর কাছে দেখা যাচ্ছে।
একটা পিটিশন শুরু করা হয়েছে মেট্রো প্রোজেক্ট থামানোর জন্য যাতে এ পর্যন্ত ১০০০টা সই [5] পাওয়া গেছে।