ভয়েস অফ আমেরিকা খেমার ভুতপূর্ব খেমাররুজ বিদ্রোহীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে যারা আশংকা করছে যে খেমাররুজ ট্রাইবুনালে বিচারের জন্যে যে পাঁচ নেতাকে দাড় করানো হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত স্বাক্ষীপ্রমাণ পেশ করা যাবে না। ১৯৯৬ সালে খেমার রুজ থেকে দলবদল করা সোক ফীপ নামের এক জেনারেল বলছেন:
আমি জানি না [কারা খুনি ছিল]; আমি শুধু জঙ্গলে যুদ্ধরত এক সৈনিক ছিলাম। যখন আমি ফেরত আসি দেখি আমার আত্মীয় স্বজনকেও পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক গ্রামবাসী মারা গেছে, বা নিরুদ্দেশ হয়েছে।
আরেকজন প্রাক্তন খেমাররুজ সদস্য মীজ মাউথ জানাচ্ছেন যে:
যেমন ধরুন, যেসব খুলি এবং হাড়গোড় দেখানো হচ্ছে: কোর্টের জানা দরকার ভিয়েতনামীজদের দ্বারা হ্ত্যাকৃত কোন লোকদের খুলি সেগুলো, অথবা বি-৫২ বোমারু বিমান দ্বারা হত্যাকৃত মুনুষের কোনগুলো, অথবা সেগুলো খোমাররুজ দ্বারা হত্যাকৃত নয় এমন কোন লোকের কিনা।
ক্যাম্বোডিয়ান ডিফেন্ডার প্রজেক্ট এর এক আইনজীবি স্বীকার করেঝেন যে ঘটনা যেহেতু ৩০ বছর আগে ঘটেছে তাই স্বাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া দুস্কর।
তবে ডকুমেন্টেশন সেন্টার অফ ক্যাম্বোডিয়া বলেছে যে এখনও হাজারও দলিল বিদ্যমান যার দ্বারা যুদ্ধাপরাধ প্রমাণ করা যাবে।
এইসব দলিল ছাড়া বেঁচে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীদের স্বাক্ষ্য এখনও নেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার লং হাউজে নিরাপদে আছে, যারা গণহত্যার পরে সেখানে পালিয়ে গিয়েছিল।
গণহত্যার শিকার হয়েছেন যারা তাদের আত্মীয় স্বজনের অধিকার আছে এক্সট্রা অর্ডিনারী চেম্বারস ইন দ্যা কোর্ট অফ ক্যাম্বোডিয়াতে বিশেষ শাখায় আরও অভিযোগ দাখিল করার। অভিযোগ দাখিলের নিয়মাবলী এখানে পাওয়া যাবে।
উপরের ছবিতে তুল স্লেং কারাগারে মৃতদের ছবি দেখা যাচ্ছে। ছবি ইয়াররা৬৪ এর সৌজন্যে এবং ক্রিয়টিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত।