- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

বিশ্বব্যাপী আলো বন্ধ রাখা একটা সুরক্ষিত পৃথিবীর জন্য

বিষয়বস্তু: ওশেনিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, পূর্ব এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, চিলি, ব্রাজিল, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ছবি তোলা, পরিবেশ

ব্রাজিলের সব থেকে নাম করা সীমানা নির্দেশক কোরকোভাদো পাহাড়ে ‘দ্যা ক্রাইস্ট দ্যা রিডিমার’ মূর্তি, তাদের বাতি নিভিয়ে দেয় গত শনিবারে। সে সময় রিও ডি জেনেইরো শহর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি অন্ধকার ছিল। কারন আর্থ আওয়ার [1] উদযাপনের জন্যে ১০০টি ব্রাজিলের শহর তাদের বিজলি বাতি নিভিয়ে দেয় রাত ৮:৩০ থেকে ৯:৩০ পর্যন্ত। এই প্রথম বার এই দেশ অংশগ্রহন করেছে এমন অনুষ্ঠানে যা আরো বেশী সুরক্ষিত পৃথিবীর জন্য সমর্থন দেখিয়েছে।

[2]
ছবি আমেরিকো ভের্মে/ডাব্লুডাব্লুএস ব্রাজিল [3] এর সৌজন্যে

ব্রুনাই [4] আর অন্য অনেক দেশের মতো ব্রাজিল আর্থ আওয়ার (পৃথিবী ঘন্টা) দিবসে প্রথমবারের মতো যোগদান করেছে। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে – আশাবাদি সমর্থক থেকে সমালোচনামূলক আর নৈরাশ্যবাদীও কেউ কেউ ছিল। পাপো দে হোমেম [5] ব্লগ এর গুলহারমে নাসিমেন্তো ভালাদারেস টুইটারে প্রতিক্রিয়া দেখতে কিছু সময় ব্যায় করেছেন আর শনিবার ২৯ তারিখ ৮:৪৫ মিনিট থেকে রবিবার ৩০ তারিখ ভোর ৬টার মধ্যে ৮০০০ এর উপরে সংশ্লিষ্ট ট্যাগের উপর পোস্ট পড়েছে তাই গুনেছেন। তিনি উপসংহারে বলেছেন:

Fato peculiar. O mais críticos eram justamente os mais conectados, jovens, hypes, espertos. Me corrijam se estiver errado, mas tenho uma forte impressão de que o retrato da juventude produtiva brasileira de hoje – estou falando da turma que saiu da faculdade e já faz o seu $$$ – é um tremendo bundão, cético, hedonista, indolente, inseguro, maria-vai-com-as-outras.

একটা অদ্ভুত বাস্তবতা: সব থেকে বেশী সমালোচনা এসেছে যারা সব থেকে বেশী সংশ্লিষ্ট, উৎসাহিত, উজ্জ্বল নবীন এমন লোকদের কাছ থেকে। দয়া করে বলবেন যে আমার যদি ভুল হয়ে থাকে, কিন্তু আমার এমন ধারণা হয়েছে যে এটাই এখনের ব্রাজিলের সক্রিয় তরুনদের চিত্র। আমি তাদের কথা বলছি যারা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে বেরিয়েছে, এরই মধ্যে আয় শুরু করেছে- যারা প্রচন্ড গাধা জাতীয়, সন্দেহপ্রবন, অলস, নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, আরামপ্রিয় ভেড়া জাতীয় মানুষ।

যারা বাতি বন্ধ করেছিল তাদের মধ্যে অনেক ফ্লিকার ব্যবহারকারী সময় কাটাতে ছবি তুলেছিল [6]। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের অওতায় নীচের কিছু বাছাই করা ছবি দেয়া হচ্ছে ব্রাজিল, ভারত, মালায়শিয়া, আস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর আর চিলি থেকে:

[7]
ছবি ব্রাজিলের আলেকজান্ডার ই সিলভার [8] সৌজন্যে

“Transmitindo a Hora do Planeta ao vivo pelo Ustream.”

“আর্থ আওয়ারের লাইভ স্ট্রিমিং ইউস্ট্রিম দিয়ে।“

[9]
বাঙ্গালোর ভারতে আর্থ আওয়ার,- ছবি আর্থ আওয়ার গ্লোবালের [10]

বাঙ্গালোর থেকে একজন ভারতীয় ব্লগার আমদেরকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে দেশ প্রতিদিন ভয়ঙ্কর বিদ্যুত ঘাটতির মুখোমুখি হচ্ছে, সে দেশে আর্থ আওয়ার পালন করা বোকামির কাজ হয়েছে।

ভিউ অফ মাই ওয়ালর্ড [11] বলেছে:

বাঙ্গালোর আর ভারতের অনেক অংশে, পৃথিবী ঘন্টা/ পৃথিবী দিন/ পৃথিবী রাত পালন করছে অনেক বছর ধরে। আজ সকালেও আমার বাড়িতে সকাল ৯-১১ টা পর্যন্ত বাত্তি ছিলনা।

[12]
ছবি ব্রাজিলের ডানি পন্তেসের [13] সৌজন্যে

“Nós participamos!!
E aproveitamos pra namorar a luz de velas!! rs”

“আমরা অংশগ্রহণ করেছি! আর এই সুযোগ গ্রহন করেছি মোমের আলোয় চুমো দেয়া আর আদর করার জন্য।“

[14]
ছবি ব্রাজিলের লুসিয়ারো জোয়াকিমের [15] সৌজন্যে

[16]
ছবি মালয়েশিয়ার সিডাব্লুর [17] সৌজন্যে

[18]
ছবি চিলির ম্যাক্স ই মিলিয়ানোর [19] সৌজন্যে

[20]
ছবি অস্ট্রেলিয়ার মন্দেইনের [21] সৌজন্যে

সিডনিতে আর্থ আওয়ার হতাশাজনক আর কোন মানে ছাড়া ছিল। তারা আসলে অপেরা হাউস বা ব্রীজে বাতি নেভায় না… মাত্র কয়েকটা বাতি বন্ধ করা হয়। আমি চিন্তা করতে পারিনা যে তারা আসলেই অনেক বিদ্যুত বাঁচিয়েছে।

[22]
ছবি অস্ট্রেলিয়ার সিয়েনকুর [23] সৌজন্যে

[24]
ছবি সিঙ্গাপুরের নাথান হায়াগের [25] সৌজন্যে