সিংহদের বিষ প্রয়োগ করায় কেনিয়ার বাজার থেকে ফুরাডান উঠিয়ে নিয়েছে এফএমসি

আমেরিকার রাসায়নিক দ্রব্য উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান এফএমসি তাদের কীটনাশক মারা ওষুধ ফুরাডান কেনিয়া থেকে উঠিয়ে নিয়েছে। তারা এই কাজটি করে তখন, যখন সিবিএস নামক সংবাদ সংস্থা ‘সিক্সটি মিনিট’ (৬০ মিনিট) নামের এক তথ্যচিত্র তাদের চ্যানেলে প্রচারিত করে। এই তথ্যচিত্রে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হয়েছে কিভাবে কেনিয়ায় সিংহ মারা কাজে প্রধান উপাদান হিসেবে ফুরাডান নামের কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। কেনিয়ার পশুপালকরা এই কীটনাশক সিংহর শরীরে বিষ প্রয়োগের কাজে ব্যবহার করছে। এইসব পশুপালকদের সন্দেহ তাদের পশু হত্যার পেছনে সিংহরাই দায়ী। মাসাই মারা ন্যাশনাল সংরক্ষিত পার্কের আশেপাশে এই ঘটনা ঘটছে।

বারাজা ব্লগের পুরো প্রেস রিলিজ ডা: পাওলা কাহুমবু এখানে প্রকাশ করেছেন এবং WildlifeDirect.org (ওয়াইল্ডলাইফডিরেক্টডটওআরজি) সাইটে মার্টিন ওডিনো তার ‘ষ্টপ ওয়াল্ডলাইফ পয়েজনিং’ (‘বন্যপ্রানীদের বিষ প্রয়োগ বন্ধ কর’) নামক ব্লগে ধারাবাহিকভাবে ফুরাডানের অপব্যবহার তুলে ধরেছে। এর মধ্যে দিয়ে জানা যাচ্ছে যে সকল ধরনের বন্যপ্রাণী মারার কাজে এই কীটনাশক ব্যবহার করা হয়।

২০০৯, মার্চের ২৯ তারিখে এফএমসি একটি বিবৃতি প্রদান করেছে। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এই কীটনাশক যা কৃষিকাজে ব্যবহার হওয়ার কথা তথ্যচিত্রে তার যে অপব্যহার দেখানো হয়েছে কোম্পানীটি ঘটনা স্বীকার করেছে এবং এর নিন্দা করেছে।

এফএমসি জোরালোভাবে স্বীকার করেছে তাদের এই কীটনাশক বন্যপ্রানী হত্যার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং তারা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সমন্ধে সচেতন।

এক বিবৃতিতে এফএমসি কিছু বিশেষ তথ্য প্রকাশ করে। এতে তারা জানায় ফুরাডানের অপব্যবহার যাতে কমে আসে তার জন্য বেশ কয়েকটি উদ্যোগ তারা নিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল:

  • মে ২০০৮ এর একটি দুর্ঘটনার কথা জানার পর তারা কেনিয়ায় তৎক্ষণাৎ ফুরডানের সকল প্রকার বিক্রি বন্ধ করে দেয়।
  • এরপর তারা ফুরাডানের সকল দ্রব্য কিনে ফেলার এক উদ্যোগ নেয় যাতে বাজারে আর ফুরাডানের অস্তিত্ব না থাকে।
  • তারা সংরক্ষণবাদীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ তৈরী করে যাতে তারা জানাতে পারে যে সিংহকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .