তিউনিশিয়ার পাইলটের উপর ইটালিয়ান কোর্টের রায় নিয়ে শোরগোল

২০০৫ সালে তিউনিশিয়ার টুনইন্টার বিমান বহরের ফ্লাইট নং ১১৫৩ ইতালির সিসিলিতে দুর্ঘটনায় পতিত হয় এবং এতে ১৬ জন মারা যায়। সম্প্রতি এক ইতালিয়ান কোর্ট এই ফ্লাইটের দুজন পাইলটকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছে। তিউনিশিয়ান ব্লগাররা এই আদেশ চ্যালেন্জ করছেন যারা বলছেন যে এই পাইলটদের বীরত্বের জন্যে ২৩ জন সহযাত্রী বেঁচে যায়। কাজেই বিচারের বদলে তাদের পুরস্কৃত করা উচিৎ।

সাম থটস ফ্রম তিউনিশিয়া এই বিচারে পক্ষপাতিত্বের গন্ধ পাচ্ছেন এবং জানাচ্ছেন:

لو كانوا ايطاليين او فرنسيين او انقليزيين وامريكيين او غيرهم يعني غربيين وليسوا عرب لتمّ الاحتفاء بالطيّارين الذين تمكّنوا من انقاذ 23 شخصا من مجموع 39 كانو على متن طائرة تحطّمت في عرض البحر بعد نفاذ وقودها دون ان يتمّ التفطّن لذلك في الوقت المناسب جرّاء عطب فنّي!!! ولتم نعتهم بالابطال…!!

لكن اسمائهم ليست آلان ولا دافيد ولا جون بول بل شفيق الغربي و علي الكبّير لذا فعليهم دفع الثّمن في نظر القضاء الايطالي !! والتّهمة في نظر هذا القضاء المتعسّف هي انّهم لجؤا بسبب خوفهم الشديد بالانشغال بالدعاء والاستغاثة بالله بالدعاء في وقت كان يتعين عليهم فيه القيام بإجرآت الطوارئ لتجنب تحطم طائرتهم حسب ما جاء في تسجيلات غرفة القيادة. وهو عين الافتراء حسب ما تبيّنه تّسجيلات الصندوق الاسود التّي تبيّن ان الطياريين بذلوا ما في وسعهم لانقاذ ما يمكن انقاذه (طلب هليكوبترين، اجراء الهبوط الاضطراري قرب باخرتين لاعطاء فرص نجاة اكبر…) !!

এই পাইলটরা যদি ইতালীয়ান, ফরাসী, ইংরেজ বা আমেরিকান হত আরব না হয়ে তাহলে তাদের হয়ত মাথায় তুলে রাখা হত। বিমানটির তেল ফুরিয়ে যাবার পরে এই পাইলটদ্বয় ৩৯জন যাত্রীদের মধ্যে ২৩জনকে বাঁচাতে পেরেছে সাগরে জরুরী অবতরণ করিয়ে। এক যান্ত্রিক গোলযোগের জন্যে তারা তেল ফুরোনোর ব্যাপারটি বুঝতে পারে নি। অন্য কেউ হলে তাদেরকে বীরের আসনই দিত..!!

কিন্তু দু:খের বিষয় তাদের নাম এলান, ডেভিড বা জন পল নয়। তাদের নাম হচ্ছে শফিক আল ঘার্বি আর আলি কেবেয়ার। তাই ইতালিয়ান বিচার অনুযায়ী তাদের শাস্তি পেতে হবে!! তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তারা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছে সেই সময় যখন নিয়ম অনুযায়ী প্লেন ক্র্যাশের ব্যাপকতা এড়াতে প্রস্তুতি শুরু করার কথা – এসবই ককপিটের রেকর্ডিং অনুযায়ী। কিন্তু ব্ল্যাক বক্সের রেকর্ডিংয়ে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে তা সত্যি নয়। তাতে বোঝা যায় যে পাইলটরা তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে (তারা দুটি হেলিকপ্টার চেয়েছে এবং দুটি নৌযানের মাঝে বিমানটিকে নামিয়েছে যাতে যাত্রীরা দ্রুত উদ্ধার হতে পারে।

আর্টিকুলার একই ধরনের আবেগ প্রকাশ করেছে:

Le tribunal italien de Palerme a prononcé lundi 23 mars 2009 son verdict dans l’affaire du crash de l’ATR de la compagnie aérienne tunisienne Tuninter.

Le verdict de la justice italienne a été très sévère et représente une véritable première ! Jamais, par le passé, les responsables administratifs d’une compagnie aérienne n’ont été condamnés à des peines de prison ferme. En prononçant des condamnations allant jusqu’à dix ans de prison, la justice italienne inflige aux responsables tunisiens des peines comme s’ils étaient de véritables chauffards éméchés sur la route. Et encore, on s’interroge si les ivrognes italiens du volant écopent de peines aussi lourdes !

২৩শে মার্চ সোমবার পালের্মোর ইতালীয়ান কোর্ট টুনইন্টার বিমান বহরের এটিআর বিমান দুর্ঘটনা মামলার রায় দেন।

এই রায় ছিল খুব গুরু এবং অভুতপূর্ব। এর আগে কখনই কোন বিমানের কর্মচারীকে দুর্ঘটনার জন্যে দোষী করে জেলে পাঠানো হয় নি। ইতালিয়ান কোর্ট এই পাইলটদের এমনভাবে শাস্তি দিয়েছে যেন তারা মদ্যপান করে গাড়ী চালিয়েছে। আর সবাই ভাবছে ইতালীতে মদ্যপান করা ড্রাইভারদের আদৌ কোন শাস্তি হয় কি না!

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .