গ্লোবাল ভয়েসেস বই পাঠের চ্যালেন্জ: বইয়ের মাধ্যমে সারা বিশ্বকে জানুন

আগামী ২৩শে এপ্রিল হচ্ছে ইউনেস্কো বিশ্ব বই দিবস। গ্লোবাল ভয়েসেসের লেখকেরা শুধু ব্লগই ভালবাসে এমন না – তারা বই পড়তেও পছন্দ করে। আমরা যেহেতু মনে করি যে সাহিত্য পঠনের মাধ্যমে অন্যান্য দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা যায় এবং এটি খুবই আনন্দদায়ক তাই আমরা একটি বই পাঠ প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছি। গ্লোবাল ভয়েসেস এর লেখক, পাঠক এবং বিশ্বব্যাপী যে কোন ব্লগার এতে যোগ দিতে পারবেন।

গ্লোবাল ভয়েসেস বই পাঠের চ্যালেন্জটি হচ্ছে নিন্মরূপ:

১) আগামী মাসে আপনি এমন একটি দেশের বই পড়ুন যে দেশের সাহিত্য আপনি আগে কখনও পড়েন নি।
২) আপনি এপ্রিলের ২৩ তারিখ বা সেই সপ্তাহে এটি নিয়ে একটি ব্লগ পোস্ট লিখুন।

আপনি যদি জানতে চান যে ভিয়েতনাম, বলিভিয়া, মোজাম্বিক, নিউজিল্যান্ড বা অন্য যে কোন দেশের কোন উল্লেখযোগ্য বইটি পড়বেন তাহলে দয়া করে মূল ইংরেজী পোস্টের মন্তব্যের স্থানে প্রশ্নটি রাখুন। কেউ নিশ্চয়ই আপনাকে সাহায্য করবে।

আপনার দেশের উল্লেখযোগ্য কোন বইটি বিশ্বের পাঠকরা পড়তে পারে তাও আপনি উক্ত মন্তব্যের স্থানে জানিয়ে দিতে পারেন।

আপনারা কোন বই পড়ার পর (এবং এ নিয়ে ব্লগে লেখার পর) দয়া করে আমাদের জানাবেন। আমরা জানতে আগ্রহী যে আপনার এই সাহিত্য যাত্রায় আপনি কি অভিজ্ঞতা লাভ করলেন।

আপনারা উপরের এবং নীচের গ্রাফিক্সগুলো ব্যবহার করতে পারেন গ্লোবাল ভয়েসেস বই পাঠের চ্যালেন্জটি প্রচারের জন্যে।

2 টি মন্তব্য

  • ভাল একটা উদ্যেগের খবর এইটা। কিন্তু বাংলাদেশে বসে আমি চাইলেই কি সব দেশের বই পেতে পারি

  • কোনো এক পাঠককে কখন একটা বই পড়া চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হয়? কখন চ্যালেঞ্জের জন্য বই পড়তে হয়? আমার মনে হয় এই প্রশ্নটা পাঠক নিজেকেই করুন। আমরা কি আমাদের বই পাঠের বিপদ সীমায়? বিশ্বের পরিসংখ্যান হয়তো সেই দিকের নির্দেশ দিলেও দিতে পারে। প্রশ্ন উঠতেই পারে কলকাতায় বই মেলায় যে রের্কড ভিড় হয় তাঁরা প্রত্যেকে যদি একটি করেও বই কেনেন তাহলে অনেক কিছুর অনেক সমস্যাই হয়তো আর থাকে না। বিশ্ব বই দিবস নিঃসন্দেহে এক স্মরণীয় দিন কিন্তু এক পাঠককে একটা বই পড়ার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে কেন? বরং বলা হোক খুঁজে নিন তো এমন একটা দেশকে যার কথা…সেখানকার কথা…মানুষের কথা আপনার বারবার জানতে ইচ্ছে করছে…ফিরে ফিরে আসছে মনে…কিম্বা এমন কোনো কি বই পড়লেন বিগত দুই মাসে যা আপনার মনে ছাপ রেখে গেল। ফিরে ফিরে এল মনে…সারাদিনে…সবসময়…। জানেন তো এই চ্যালেঞ্জ এই সব কথা শুনলেই কেমন যেন পরীক্ষা পরীক্ষা মনে হয়। আর প্রতিযোগিতা? সেটা হয়তো অন্য ভাবেও বলা যেত…করা যেত…তাই নয় কি?
    তিনটি বইয়ের কথা আমার এই মুহূর্তে মনে পড়ছে…আমি বেশ কিছু দিন আগে এই গুলো পড়েছি…আপনাদের সাথে তার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিই। প্রথম বইটি Snow-Orhan Pamuk। এক লেখকের নিরবিচ্ছিন্ন যাত্রা…তার স্মৃতিপথে…তার ফেলে আসা দিনে…তার শহরে…বরফ হিম শীতলতায় আচ্ছন্ন সেই আখ্যান। কি দেখেন লেখক? কোনো এক তথ্যানুসন্ধানে যাবার উতসমুখ তাঁকে কোথায় নিয়ে গিয়ে ফেলে। আমাদের আচ্ছন্ন করে স্নো…আমদের ভাবতে বসায়।
    দ্বিতীয় বইটি বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক অন্দ্রে তারকভস্কির Sculpting In Time। সময়ের ভাস্কর্য তাঁর ছবিতে…স্মৃতি সত্তায়…আমাদের মনের গহন গভীরে কি করে পাক খায়। এই প্রতিস্থাপনের তাত্ত্বিক অনুষজ্ঞে কিভাবে ঘুরপাক খায় সময়?…কি দেখেন তিনি নিজের ছবিতে…তাঁর সময়কে…রাশিয়াকে…যে দেশ তাঁকে বিতাড়িত করেছিলো। এই ফাঁকে পড়ে ফেলতে পারেন তাঁর ডায়রীও। তৃতীয় যে বইটির কথা আপনাদের বলবো সেটার লেখক কমলেশ্বর। বইটির নাম ‘কত না পাকিস্তান’। অনুবাদ করেছেন কালীপদ দাস। প্রকাশ করেছেন প্যাপিরাস। এও এক সাংবাদিকের এক জার্নি…সে যাত্রায় মিশে থাকে এক পুরাণ…কোরাণ…জাতিগত ঐতিহ্যের যাবতীয় বিশ্লেষণ।
    পড়ে দেখুন ভালো লাগবে। তখন আর চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে না সব কিছুকে। আপনা থেকেই মন বলবে আজ সারাদিন আমার সঙ্গে থাকুক না একটা বই।
    আমার অনুরোধ গ্লোবাল ভয়েসে একটা বরং বইয়ের পাতা থাকুক। যারা যা বই পড়লেন সেখানে তার সম্বন্ধে লিখবেন। আমরা অনেকেই অনেক কিছ জানতে পারবো। মিছিমিছি আর ইংরাজী লিঙ্কে গিয়ে বইয়ের নাম খুঁজতে হবে না। বিশ্ব বই দিবসে সেটাই হবে হয়তো সব চেয়ে বড় একটা পাওনা। সবাই ভালো থাকবেন। আমি এখন যে বইটা সঙ্গে নিয়ে বেড়াচ্ছি সেটার লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার ফিরে পড়ছি ‘দিনের পর দিন’। আপনি কি পড়েছেন? নতুন বইয়ের পাতায় তখন না হয় গল্প করা যাবে।

আলোচনায় যোগ দিন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .