ইরান: সংখ্যালঘু বাহাই সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার স্বার্থে

ইরানের সংখ্যালঘু বাহাই সম্প্রদায় অনেক লম্বা সময় ধরে চাপের মধ্যে রয়েছে। এখন মনে হচ্ছে পরিস্থতি আরো খারাপের দিকে গড়াচ্ছে। সম্প্র্রতি ইরানি কতৃপক্ষ সাতজন বাহাই নেতাকে গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধে অভিযুক্ত করেছেন। বাহাই নেতারা বলছেন তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো হয়েছে কারন তারা বাহাই ধর্মে বিশ্বাসী।

একদল শিক্ষাবিদ, লেখক, শিল্পী,সাংবাদিক এবং ইরানি কর্মী বর্হি:বিশ্বের মাধ্যমে বাহাই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কাছে গত মাসে একটি খোলা চিঠি লিখেছে। তাতে তারা উল্লেখ করেছে একশ পঞ্চাশ বছর ধরে চাপের মধ্যে থাকা এই ধর্মীয় গোষ্ঠীর কাছে তারা লজ্জিত।

পার্সিকিউশন অফ বাহাইস ইন ইরান ব্লগ বাহাই সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে ইরানের সরকারী প্রধান আইনজীবির কাছে লেখা একটি চিঠি প্রকাশ করেছে:

“বর্তমানে ইরানের বাহাইদের উপর হয়রানি এবং বাজে ব্যবহার আগের মতোই ধারবাহিকভাবে চলছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই অত্যাচার এক নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই দেশটি ঐতিহাসিকভাবে বাহাইদের উপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে,” চিঠিতে এই কথাগুলো উল্লেখ করে বাহাই সম্প্রদায়।

এখানে জানানো হয় যে এই সম্প্রদায়ের উপর ভারসাম্য বজায় রাখতে ও বিচার কার্যের জন্য অস্থায়ী ভাবে কয়েকজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এটি করা হয়েছিল ইরানের ৩০০,০০০ জন বাহাইয়ের আধ্যাত্মিক এবং সামাজিক প্রয়োজনে। সরকার ২০ বছর ধরে এই কাঠামোর মধ্যেই এইসব কাজ করে যাচ্ছে।

মিডইস্ট ইয়ুথ আমাদের একটি সময়রেখা তৈরী করে দেখাচ্ছেন এই সময়ে বাহাইদের উপর কি পরিমান অন্যায় সংঘটিত হয়েছিল। অতীতের ৩০ বছরের তথ্য নিয়ে এই সময়রেখা তৈরী করা হয়েছে। এই সব অন্যায় কাজের মধ্যে রয়েছে বাহাই সম্প্রদায়ের লোকদের মৃত্যুদন্ড দেওয়া, তাদের গ্রেফতার করা, দেশ থেকে বের করে দেওয়া এবং নানাভাবে কলংকিত করা। এটি আসলে মানবাধিকার লংঘন হবার ঘটনা যে সব ঘটনা এক বিপদের ঘন্টাধ্বনি হয়ে সবাইকে সে বিপদ সমন্ধে স্মরণ করিয়ে দেয়।

পেজভাকজেদানিয়ান আমাদের এক মেধাবী বাহাই ছাত্রের গল্প শোনাচ্ছেন (ফার্সী ভাষায়)। এক বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পর শায়ান মোঘইয়ামিকে তার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হয়। এই বহিস্কারাদেশ ঘটে কেবলই তার ধর্মীয় পরিচয়ের কারনে।

আরেকজন তরুন বাহাই ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ করা হয় কেবল তার ভিন্নমতের কারনে। সে এই ভিন্নমতের প্রতি আবেগ প্রকাশ করেছিল (ফার্সী ভাষায়)।

সেই ব্লগারটি লিখছে:

به راستی این اقدام پایان داستان تحصیل من است ؟ یک جوان ایرانی بهائی بدون امکان ادامه تحصیل مثل هزاران جوان بهائی دیگر ؟ … چون اعتقاد من متفاوت است نمی توانم از حق ادامه تحصیل در کشور خود برخوردار شوم ؟
এটি কি আসলে আমার লেখাপড়া শেষ হবার গল্প? আমি কি সেই হাজার তরুন ইরানী বাহাইদের মধ্যে একজন হতে যাচ্ছি, যার ভাগ্যে শিক্ষালাভের সুযোগ থাকবে না? আমার ধর্মীয় বিশ্বাস আলাদা, তার মানে কি এই যে, আমি কি আমার নিজ দেশে আর শিক্ষা সমাপ্ত করতে পারব না?

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .