- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

ইকুয়েডর: মিডিয়ার মান নিয়ন্ত্রণ

বিষয়বস্তু: ল্যাটিন আমেরিকা, ইকুয়েডর, প্রচার মাধ্যম ও সাংবাদিকতা, রাজনীতি

ইকুয়েডরের রাষ্ট্রপতি রাফায়েল করিয়ার সঙ্গে সেই দেশটিতে মিডিয়া এবং সাংবাদিকদের সম্প্রতি বেশ খারাপ সম্পর্ক চলছে। স্প্যানিশ ভাষার সংবাদপত্র লা হোরা [1] অনুসারে এই সম্পর্ক আরও খারাপের দিকে যেতে পারে কারন করিয়ার সরকার রেডিও এবং টেলিভিশনে সামাজিক দায়িত্বের সাম্যবাদীকরণ এর আইনের জন্য পরিকল্পনা করছে। তাছাড়া কি ধরনের বিজ্ঞাপন হবে সে সংক্রান্ত আইন নির্ধারণ করা হচ্ছে এবং আরও দাবী করা হচ্ছে যে সরকারকে সরকারী এবং প্রাইভেট চ্যানেলে প্রতিদিন ১৫ মিনিট আর সপ্তাহে ৭০ মিনিট প্রচারের সময় দিতে হবে [2]। সমালোচকরা এটি নিয়ে বিশেষভাবে চিন্তিত কারন সামনে নির্বাচন আসছে।

রেডিও আর টেলিভিশনের জাতীয় পরিষদ [3] (স্প্যানিশে কোনার্টেল) এর দ্বারা বাস্তবায়ন করা একটি প্রস্তাবে বলা হয়েছে :”ব্যবহারকারীর” (দর্শক শ্রোতার) একটি কমিটির সৃষ্টির জন্যেও পদক্ষেপ নেয়া হবে। এই কমিটির অধিকার থাকবে অনুষ্ঠানের ব্যাপারে অভিযোগ করার আর চলতি অনুষ্ঠানের ব্যাপারে কথা বলার। আরও আলোচনা হচ্ছে যে এই কমিটির অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা, তৈরি আর অনুষ্ঠানকে মূল্যায়নের ক্ষমতা থাকবে। আর এই সমস্তটি মিডিয়া এবং সাংবাদিকের দায়িত্বকে লক্ষ্য করে করা হয়েছে।

সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশের পরে, কোরান্টেল অস্বীকার করেছে [4] যে যেমন একটি প্রস্তাব আদতেই আছে। সংবাদপত্র এবং সরকারের বিপরীতমূখী দাবী সত্ত্বেও দেশে সাংবাদিকতার মান আর রাজনৈতিক পটভূমিতে তাদের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

কিছু ব্লগাররা আছেন যেমন মি দিয়ারিও রিলাতিভো ব্লগের মুলুঙ্কায়েন্স যারা ভাবেন [5] যে মিডিয়ার কিছু নিয়ন্ত্রন প্রয়োজন। এই ব্লগারের সাংবাদিক সম্পর্কে খুব ঋনাত্মক ধারণা রয়েছে যে এটি একটি প্রকৃত পেশা নয়। তিনি একটি ঘটনার কথাও বলেছেন যেখানে ইকুয়েডরিয়ান টেলিভিশন চ্যানেল একটি অপরাধের সম্বন্ধে ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছিল যা তার একজন ব্যক্তিগত বন্ধুকে প্রভাবিত করেছিল। বিশদ বর্ণনা প্রায়শ:ই আলাদা হয়ে থাকে এবং দুই তিনটি সংবাদপত্র একই ঘটনার আলাদা বর্ননা দেয় আর সাধারণত তাতে মিথ্যা তথ্য থাকে।

তবে, রুবেন ডরিও বুইত্রোন ভাবেন যে [6] মিডিয়া প্রায়শ:ই ক্ষমতাশালী স্বার্থের সঙ্গে খুব কাছের একটা সম্পর্কের রাখে। পরিশেষে সে তার পেশার পক্ষে বলে যেটির সমালোচনা করা হয়েছে, বিশেষ করে, তদন্তমুলক সাংবাদিকতার বিষয়ে [7]:

Se equivocan quienes piensan que el periodista de investigación es una suerte de detective, policía o investigador privado. Pero también se equivocan quienes piensan que el papel de la prensa es acusar, sentenciar, condenar, encarcelar.

যারা ভাবেন যে তদন্তমূলক সাংবাদিকতা গোয়েন্দা কাজ, পুলিশ অথবা ব্যক্তিগত তদন্তের একটি ধরন, তারা ভুল জানেন। কিন্তু তারাও ভুল যারা ভাবেন যে সংবাদপত্রের ভূমিকা হচ্ছে অপরাধীদের অভিযুক্ত করা, ধরিয়ে দেয়া, দোষী সাব্যস্ত করা এবং কারারুদ্ধ করা।

দেসদে মি ত্রিঞ্চেরার [8] রিকার্দো ভাস্কোন্সেলোস প্রমাণ দিয়েছেন ইকুয়েডরে সাংবাদিকদের কি ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় শুধু কেবল একপেশে খবর উপস্থাপন করার জন্যই নয়, তাদেরকে করিয়া সরকার কর্তৃক সংকুচিত করে রাখার জন্যেও:

Responsabilizar al periodismo de tener un pacto con el pasado para obstaculizar la labor del régimen no ha sido todo. Correa ha imputado irresponsablemente a los periodistas no alineados con la “Revolución Ciudadana” la comisión de un delito de muy graves repercusiones: terrorismo.

La última vez que insultó a los periodistas fue en la sesión solemne por los 184 años de la independencia de Portoviejo. Según El Diario de esa ciudad del 25 de junio de este año “En tono molesto el presidente de la república Rafael Correa dijo (..) que el accionar del gobierno ha sido transparente y pidió a los asistentes no dejarse llevar por ciertos periodistas a los que calificó de terroristas”.

এটা বলা যথেষ্ট না যে সাংবাদিকরা দায়ী বিপক্ষের সাথে চুক্তি করে সরকারের পথে বাধা দিতে। করিয়া দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে সাংবাদিকদের উপরে দোষারোপ করেছে যে তারা ‘নাগরিক আন্দোলন’ এর সাথে যুক্ত না এবং তাদের গুরুতর পরিণতির ভয় দেখিয়েছে: সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত করার।

শেষ বার তিনি সাংবাদিকদের অপমান করেছিলেন পোর্টভিজোর স্বাধীনতার ১৮৪ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানের বক্তৃতায়। ওই শহরের এল দিয়ারিও (সংবাদপত্র) অনুসারে ২০০৮ সালের ২৫শে জুন “খুব চিন্তিত কন্ঠে দেশের রাষ্ট্রপতি রাফায়েল করিয়া বলেছিলেন যে তার সরকার স্বচ্ছ এবং যারা উপস্থিত ছিলেন তাদেরকে অনুরোধ করেন কিছু সাংবাদিকের দ্বারা বিপথগামী না হতে যাদেরকে তিনি সন্ত্রাসী বলে অভিহিত করেন।”

মিডিয়ার দায়িত্বের জন্য কোন আইন আসুক বা না আসুক সাংবাদিকের আর সরকারের মধ্যেকার সম্পর্ক ইকুয়েডরের ব্লগারদের মধ্যে আলোচনার বিষয় হয়েই থাকবে।