১৫টার বেশী নতুন শিরোনামসহ, মিশরীয় ব্লগাররা কায়রো আন্তর্জাতিক বইমেলায় ঝড় তুলেছেন। চিরায়ত লেখকরা ব্লগারদের সাহিত্যকে ‘ক্লিনেক্স’ (টিস্যু) সাহিত্য বলেন। ঘাদা আব্দেল আল ব্লগারদের পক্ষে বলেছেন।
আহমেদ আল সাব্বাগ লিখেছেন:
“ব্লগারদের সাহিত্য… তারুণ্যের চিৎকার না ক্লিনেক্স সাহিত্য?” শিরোনামে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারী বৃহষ্পতিবার বাৎসরিক কায়রো আন্তর্জাতিক বইমেলাতে। সেমিনার আয়োজন করেন স্বনামধন্য লেখক ইউসুফ আল কায়েদ আর ব্লগারবৃন্দ যেমন ঘাদা আব্দেল আল, শাডি আসলান আর মায়াদা মেধাত ব্লগিং এর ব্যাপারে কথা বলেছেন।
আহমেদ আল সাব্বাঘ ঘাদার ভিডিওটির লিন্ক তুলে ধরেছেন যেখানে তিনি ব্লগারদের সাহিত্যকে বর্ণনা করেছেন এই ভাবে:
অন্য যেকোন ধরনের সাহিত্যের মতো, ব্লগিং একজন মানুষের চিন্তা, অনুভুতি আর ভীতি নিয়ে কথা বলে।
তিনি তাওফিক এল- হাকিম এর উদ্ধৃতি দেন যেখানে আসল সাহিত্যের গুঢ় কথা তিনি বর্ননা করেছেন এই বলে:
মুক্ত বাতাসের সাহিত্য এটা; স্বাধীনতা আর আবেগের সাহিত্যিক প্রকাশ ; যেসব শব্দ হ্রদয় থেকে বেরিয়ে আর এক হৃদয়ে পৌঁছায় যার ফলে মানুষের মনস্তত্বের ভিতরে স্বাধীনতা, সততা আর আন্তরিকতা প্রকাশিত হয়। তাওফিক এল হাকিম আরো বলেছেন যে এই ধরনের সাহিত্যে আমাদের ভাগ খুবই কম ঠিক যেমন সততা আর উন্মুক্ততার ব্যাপারে আমাদের ভাগ কম- এটাই যা আমরা ব্লগাররা করে থাকি
এর পরে তিনি ব্লগিং এর সহজতার পক্ষে বলেছেন:
একটি সাক্ষাৎকারে, জনাব ইউসুফ আল কায়েদ বলেছেন যে আপনার যদি ১০টা শব্দ লাগে একটা চিন্তাকে প্রকাশ করতে তাহলে ঠিক ১০টা শব্দ ব্যবহার করেই সেই চিন্তাকে প্রকাশ করতে দেন। আপনার শব্দভান্ডারের জ্ঞান দেখানোর কোন দরকার নেই, যেহেতু লেখক হিসাবে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আমাদের বার্তা সব থেকে গ্রহণযোগ্যভাবে পৌঁছে দেয়া। তাই আমরা নীচু না… আমরা কেবলমাত্র সাধারণ। আর একটা হালকা মজার আর চিত্তবিনোদক বই লেখা নিশ্চয়ই অপরাধ না।