বিশ্বের অন্যান্য নাগরিকের মতো, ব্রুনাইয়েও এমন লোকের অভাব নেই যারা দেশের নাম বিশ্বের লোকের কাছে তুলে ধরার চ্যালেঞ্জ নিতে এগিয়ে আসে। বর্তমানে উল্লেখযোগ্য দুটো বিশ্ব ভ্রমণ হচ্ছে:
১) পোলার গার্লস (মেরুর মেয়েরা)
পোলার গার্লসদের সাথে ব্লগার, ছবি রানো অ্যাডিডাসের সৌজন্যে।
রানো অ্যাডিডাস জানিয়েছেন পোলার গার্লস বলে পরিচিত দুই মহিলার জন্য অর্থ তোলার জন্যে আয়োজিত ওয়াকাথন সম্বন্ধে। এই অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে তাদের নরওয়েতে গিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যয় বহনের জন্য যেখানে তাদের মধ্য থেকে একজন নির্বাচিত হবেন সাতটা দেশের অংশগ্রহণকারীদের সাথে কমনওয়েলথ মহিলাদের অ্যান্টার্কটিক ভ্রমণের অভিযানের জন্য। ব্রুনাই, সাইপ্রাস, ঘানা আর জামাইকার মহিলারা তাদের দেশ থেকে প্রথম মহিলা হিসেবে দক্ষিণ মেরুতে স্কি করে যাবেন। তারা তুষার ঝড়, হিমবাহের ফাঁক আর শুন্যের নীচে ত্রিশ (-৩০) ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নীচের তাপমাত্রার চ্যালেন্জের সম্মুখীন হবেন যখন তারা ৮০০ কিমি এর বেশী স্থান স্কি করে অ্যান্টার্কটিকার উপর থেকে ভৌগোলিক দক্ষিণ মেরুতে যাবেন। ভ্রমণের আনুষ্ঠানিকভাবে আরম্ভ হবে ২০০৯ সালের মার্চের ১০ তারিখে।
ডিকে আনিজা বর্তমানে বেডফোর্ড হাইস্কুলের তার পড়ালেখা থেকে বিরতি নিচ্ছেন এই অভিযানের জন্য। এই ছাত্রী. যার লক্ষ্য ‘ইন্ডিয়ানা জোন্সের এশিয়ান সংস্করণ’ হওয়া. বলেছেন যে শুধুমাত্র ব্রুনাইকে মহিমান্বিত করার জন্য না বরং ইতিহাস রচনার জন্য আর বিশ্বব্যাপী পরিচিত এই অভিযানে অংশগ্রহণের জন্য এতে যেতে চাচ্ছেন।
ডিকে নাজিবাহ এরাদাহ (২৫) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সরকারী কর্মকর্তা। আগে তিনি একটা সেকেন্ডারী স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক ছিলেন তিন বছরের জন্য। এরাদাহ আশা করেন যে এই ভ্রমণে তার অংশগ্রহণের ফলে ব্রুনাইতে বিশ্ব উষ্ণায়ন আর জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সচেতনতা আসবে।
ব্রুনাইএর স্বাধীনতার ২৫ বছর পূর্তি উদযাপনের লক্ষ্যে স্বামী-স্ত্রীর একটা দল, হারুন ও নোরহায়াতি একটা মহাকাব্যিক ভ্রমনে যাবেন মার্চ ২০০৯ থেকে অক্টোবর ২০১০ পর্যন্ত। তারা সাইবেরিয়া/ রাশিয়া/মঙ্গোলিয়া আর কাজাকিস্থান/ ইরান/ সিরিয়ার উপর দিয়ে ইউরোপের পথে, ইংল্যান্ডে পৌঁছাবেন ২৫,০০০ কিমি পথ অতিক্রম করে। তারা দক্ষিণমুখী যেতে থাকবেন ফ্রান্স, স্পেন আর মরোক্কো হয়ে আর আফ্রিকার দক্ষিণের তীর দিয়ে দক্ষিন আফ্রিকার কেপ টাউন পর্যন্ত। সেখান থেকে, তারা তাদের ভ্রমনের জিনিষ জাহাজে পাঠাবেন ব্রুনোস আয়ার্স আর্জেন্টিনায়। সেখান থেকে নীচে নেমে অ্যান্টার্কটিকার আগের শেষ শহর উশুয়ায় গাড়ি করে যাবেন আবার আমেরিকা পাড় হবেন দীর্ঘ পথে আলাস্কা পর্যন্ত। শেষে ব্রুনাইতে ফিরবেন অক্টোবর ২০১০ এ।
ছবি ওভার দ্যা হরাইজনের সৌজন্যে
নোরহায়াতি আর হারুন বিশ্ব ভ্রমনে আনকোরা না যেহেতু তারা ২০০৭ সালে একটা আফ্রিকা পরিভ্রমণে যাত্রা করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে অস্ট্রিয়া পর্যন্ত। নোরহায়াতি প্রথম ব্রুনাইবাসী ছিলেন যিনি ১৯৯৯ সালে একটি চার চাকার গাড়ীতে মধ্য প্রাচ্য, ইউরোপ থেকে উত্তর আফ্রিকা পর্যন্ত ২১,০০০ কিমি এবং ১৩টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি স্থানীয় পাঁচ মহিলার একটা দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আফ্রিকায় কিলিমাঞ্জারো পর্বত জয়ের অভিয়ানে। ২০০১ সালে তারা এশিয়ার প্রথম দল বিশ্বে সব থেকে উচুঁ আগ্নেয়গিরি পর্বতে আরোহনে সমর্থ হয়। এই অভিযানটি হয়েছিল ‘ব্রুনাইতে আসুন’ বছরকে নির্দেশ করতে।
আপনাদের সৌভাগ্য কামনা করছি এবং আশা করি আপনারা দেশকে গর্বিত করবেন!