ইরান: বিপ্লবের ৩০ তম বার্ষিকী স্মরণ করছে ব্লগাররা

গত ১০ই ফেব্রুয়ারী তেহরান আর ইরানের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরে হাজার হাজার ইরানী র‌্যালি করে ইরানী বিপ্লবের ৩০ তম বার্ষিকী পালন করেছেন।

এই উপলক্ষ্যে ইরানী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বিপ্লবের অর্জনের প্রশংসা করে একটি ভাষণ দিয়েছেন আর ইরানকে মহাশক্তি হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।

বেশ কয়েকজন ইরানী ব্লগার, নাগরিক আর রাজনীতিবিদ, এই বিষয়ে ব্লগ করেছেন।

iran

তেহরানে বিপ্লব দিবসের র‌্যালির কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন পোতিন যেখানে মানুষ ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের পতাকা, বৈপ্লবিক পোস্টার বহন করেছে। এর বাণী ‘৩০ বছরের স্বাধীনতা'র প্রশংসা করে আর আমেরিকা/ইজরায়েল/জাতিসংঘের বিরুদ্ধাচরন করে (উপরে দ্রষ্টব্য)।

ইরানী কর্তৃপক্ষ আর যারা এই র‌্যালিতে অংশগ্রহন করেছে তাদের মতের বিপক্ষে, ঘোমার আশেঘানেহ, একজন ইরানবাসী ব্লগার, বিশ্বাস করেননা যে ইরান ‘স্বাধীন দেশ'। তিনি আহমাদিনেজাদের দাবী অস্বীকার করেছেন যে তাদের ‘অসাধারণ স্বাধীনতা’ আছে ইরানে আর বলেছেন:

همه بهره‌یی داریم از این نعمت سی‌ساله؛ وبلاگ‌نویس‌اش باشی، نشانی‌اش امیدرضا میرصیافی‌ی ساکن اوین و مجتبا لطفی‌ی ساکن زندان قم، معلم‌اش اگر باشی، روی تخته سیاه طناب برای‌ات می‌کشند و می‌شوی فرزاد کمانگر، دست‌های‌ات اگر از سختی‌‌ی کار پینه بسته باشد و کار به کارگری کرده باشی، منصور اسانلو می‌شوی و تبعیدی به زندان رجایی‌شهر…
আমাদের সকলের এই স্বাধীনতায় ভাগ আছে। আপনি যদি ব্লগার হন, আপনার পরিণতি হবে মিরসায়াফির মতো ইভিনে বন্দী, বা মোজতবা লতিফের মতো কোমে বন্দী। আপনি যদি ফারজার কামাঙ্গাদের মতো শিক্ষক হন, তাহলে তারা একটা দড়ি টাঙ্গাবে (আপনাকে ফাঁসি দিতে), আপনি যদি শ্রমিক হন, আপনি মানসুর ওসানলুর মতো হয়ে যাবেন আর রেজাইশাহর জেলে আপনাকে পাঠানো হবে।

ভূতপূর্ব সংস্কারবাদী উপরাষ্ট্রপতি আর ব্লগার মাহমুদ আলি আবতাহি মনে করেন ইসলামিক বিপ্লব ভালো জিনিষ ছিল। তিনি লিখেছেন:

দেশের প্রশাসনে বেশীরভাগ যা ঘটেছে আর ঘটছে তা বিপ্লবের প্রজন্মের কাছে গ্রহণীয় বা অগ্রহণীয় হতে পারে কারন এটা সম্ভব যে বিগত ৩০ বছরে অনেক পরিবর্তন এসেছে, পৃথিবীতে অনেক নতুন প্রাপ্তি হয়েছে আর যোগাযোগ তাদের কাছে এখন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হবে। কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে ঘটনা সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে নিরীক্ষা করা উচিত। আমাদের প্রজন্ম ৩০ বছর আগে ঘটা বিপ্লব নিয়ে গর্বিত আর আগের ঘটনা কিছুতেই অস্বীকার করা যাবে না। আজকের প্রজন্ম যদি তাদের পূর্বসুরিদের অস্বীকার করে তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাদেরকে অস্বীকার করবে আর এই ধারা অনেক প্রজন্ম ধরে চলবে। তাই আমাদের প্রজন্মের উচিত না পরবর্তী প্রজন্মের ইচ্ছাকে উপেক্ষা করা।

নতুন প্রজন্মের জনাব বেহি বিপ্লব দেখে নি তাই ‘আর একটি ইরান‘ চান। তিনি লিখেছেন:

আমি এক বছর বয়সী ছিলাম যখন ইরান পরিবর্তনের জন্য বিপ্লব করে। এখন পিছন ফিরে আমি তাদের কথা ভাবি যারা এটা ঘটিয়েছিল। যদিও আমার পৃথিবী তাদের থেকে অনেক আলাদা কিন্তু আমি নিজেকে তাদের জায়গায় রাখতে পারছি না। ‘পূর্ব না পশ্চিম না’ স্লোগান দেয়া আমার জন্য আর কার্যকর না। আমি একটা ভাবাদর্শের জন্য আমার জীবন পাল্টাতে রাজিও না। তারা যদি চাইতো ইরান পৃথিবী পাল্টাবে বিপ্লব দিয়ে, আমি চাই এখন সে খোলা হাতে পৃথিবীকে গ্রহন করবে।

আহিস্তান বেশ কয়েকটি লিঙ্ক প্রকাশ করেছেন আয়াতুল্লা খোমেনির ভাষণ আর বৈপ্লবিক গানের। ব্লগার পাঠকদের মনে করিয়ে দিয়েছেন যে রাজনৈতিক বন্দীদের শাহ এর আমলেও অত্যাচার করা হতো।

যুক্তরাজ্যে চ্যানেল ৪ নিউজ অনলাইনও প্রকাশ করেছে ইসলামিক বিপ্লব নিয়ে ৩০ বছর উদযাপনে ইরানী ব্লগারদের পোস্টের উপরে একটা রিপোর্ট

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .