- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

জাপান: ওবামা বনাম আসো

বিষয়বস্তু: পূর্ব এশিয়া, জাপান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, নতুন চিন্তা, নির্বাচন, রাজনীতি, সরকার

বিশ্বের অনেক দেশের মতো এশিয়ায় আমেরিকার অন্যতম মিত্র জাপানও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ওবামার নির্বাচন কাছে থেকে অনুসরণ করেছে। তার ভাষন (যা নির্বাচনের বিভিন্ন সময় দেওয়া অন্য সব ভাষনের সঙ্গে একত্রিত করে সংকলিত করা হয়েছে) জাপানে এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে সেটি সেখানে বিক্রি হওয়া বইয়ের তালিকায় সেরা [1] হিসেবে উঠে এসেছে। একই সাথে এই ভাষন (ইংরেজি ভাষার পাঠ্যবইয়ে অর্ন্তভুক্ত হয়েছে) বিভিন্ন জায়গায় প্রচারিত হয়েছে, অনুবাদ হয়েছে [2] (জাপানী ভাষায়),এবং তার ভাষনের উপর মন্তব্য করা হয়েছে [3] (জাপানী ভাষায়)। জাপানের স্থানীয় প্রচার মাধ্যম তা সকল ভাবে প্রচার করেছে। কাজেই এটি স্বাভাবিক যে এখন অনেক ব্লগারই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী তারো আসোর [4] মধ্যে তুলনা করে দেখছেন।

এমনটি নয় যে জাপানী প্রধানমন্ত্রীর অজনপ্রিয়তা [5] কাউকে আর কোনমতেই বিস্মিত করে না, যা বিগত কিছু পোলের [6] মধ্যে দিয়ে বের হয়ে আসছে। কিন্তু কয়েকদিন ধরে কয়েক লক্ষ লোক রাস্তায়, মদের দোকানে এবং নিজের বাসায় বসে শুনেছে আমেরিকার নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের দেওয়া ভাষণের শব্দগুলো। তাতে আরো একবার আবিস্কার হলো আসোর চমকে দেবার মতো ক্ষমতা (এবং সাধারণ ভাবে বলতে গেয়ে জাপানের অন্য কোন রাজনীতিবিদেরই চমক দেবার ক্ষমতা নেই) অবশ্যই অস্তমিত হয়ে আসছে।

দুটি দেশের রাস্ট্রপ্রধানের ভাষন পরীক্ষা করে ব্লগার মাশাব্লগ [7] দেখাচ্ছে যে উভয় রাজনীতিবিদের মধ্যে পার্থক্য কত বেশী:

大統領が変わるというのはアメリカ人にとって全てが変わる(かもしれない)特別なイベントなんだろう。
一方、日本。麻生首相のインパクトもすっかり薄れてしまった。
オバマと麻生の一番の違いは「We」と「I」だろう。オバマの演説は、Weで始まる。我々はこうしなければならない、できる、のような感じ。一方の麻生首相は「私は」で始まる。首相になったときの演説も「わたくし麻生太郎は・・・・わたしは・・・」「解散権はわたしにあります・・・」のような感じ。この時点でもう視点が違うのが明らかになってしまっている。

আমেরিকানদের জন্য প্রেসিডেন্ট পরিবর্তন এক বিশেষ ঘটনা, যার মধ্যে দিয়ে তারা সকল কিছুই বদলে ফেলতে চায় (আমি ধারণা করি)। অন্যদিকে জাপানে প্রধানমন্ত্রী আসোর প্রভাব ক্রমেই দুর্বল হয়ে আসছে।

ওবামা এবং আসোর মধ্যে প্রথম পার্থক্য হচ্ছে, (সম্বোধনের ব্যবহার) সেখানে রয়েছে ‘আমি'র বদলে ‘আমরা'র ব্যবহার। ওবামার ভাষণ শুরু হয় আমরা দিয়ে যেমন, আমরা এই কাজটি করেছি— আমরা পারি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী আসো (তার ভাষণ) শুরু করেন আমি দিয়ে। যথারীতি একই ভাবে যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হন তার ভাষণ উচ্চারিত হয় ঠিক আগের সুরে। সে সময় তার ভাষণের শুরুটা ছিল এ রকম, আমি তারো আসো— অথবা আমার জাপানী সংসদ (ডায়েট) ভেঙ্গে দেবার অধিকার রয়েছে। – ভাষণেই উভয়ের পার্থক্যটা সুস্পষ্ট।

আইডি:কিকু-১৮-রাক [8] বিষয়টি বিবেচনা করছে এইভাবে যে, দুই রাজনীতিবিদের রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন অনেক দিক থেকেই আলাদা। মানবতা ও রাজনীতি নিয়ে আসোর দৃষ্টিভঙ্গি অনেক অগভীর।

あくまで、新聞テレビの報道に基づく個人的意見であるがオバマ氏と麻生総理の違いを感じるままに書き綴ってみたい。

1 国民の人気者(オバマ)と、国民の敵(麻生)
2 国民のための政治家と、一部の権力者のための政治家
3 世界的にも評価が高いのと、世界的の前に国内で評価されない者
4 庶民の感覚を持った者と、庶民を愚弄する者
5 自らの考えをしっかり伝える者と、何を考えているのか意味不明の者
6 人格者と、そうでない者

আমি নীচে যা লিখবো সেটি একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত এবং এটি তৈরী করা হযেছে কেবল আমি টিভিতে যা পেয়েছি তার ভিত্তিতে। আমি আসলে ওবামা ও আসোর মধ্যে কয়েকটি পার্থক্য তৈরী করতে চাই। আমি উভয়ের মধ্যে যে পার্থক্য দেখি:

১) একজন জনগণের মাঝে জনপ্রিয় (ওবামা), আরেকজন জনগণের চোখে শত্রু (আসো)
২) একজন রাজনীতিবিদ (যিনি কাজ করেন) জনগণের জন্য এবং আরেকজন রাজনীতিবিদ (যিনি কাজ করেন) একদল গুরুত্বপূর্ণ লোকের জন্য।
৩) একজন সারা বিশ্বের কাছে সন্মানিত, আরেকজন এমনকি নিজ দেশের জনতার চোখেও সন্মানিত নন।
৪) একজন এমন, জনতার জন্য যার হৃদয়ে সহনাভূতি রযেছে, আরেকজন জনগণকে ঠাট্টা করে।
৫) একজন নিজে যা ভাবেন তা সবাইকে পরিস্কার করে বোঝাতে পারেন, আরেকজনের ভাবনাটাই রহস্যপূর্ণ।
৬) একজনের চরিত্র ব্যাক্তিত্বপূর্ণ, আরেকজন যার চরিত্র চিহ্নিত করা যায় না।

こうやって書いてみると、自分まで日本人として情けなくなってしまう。
片方がライオンだとすると、片方はハエみたいなもんだ。
いずれにせよ、オバマ新大統領の下でアメリカが一つにまとまり、良い方向に向かって歩き出せば、全世界にとって良いことだろう。
日本もトップを早く変えたほうが良いのだが、駄々っ子が椅子にしがみついて離そうとしない。

এই লেখাটি লিখতে গিয়ে জাপানী হিসেবে আমি বেশ কষ্ট অনুভব করি। যদি কারো এক হাতে সিংহ থাকে তাহলে আরেক হাতে একটা মাছি রয়েছে।

যে কোন মুল্যে যদিও আমেরিকা প্রেসিডেন্ট ওবামার নেতৃত্ব এক হয়েছে, তবে যদি তিনি সঠিক পথে চালিত হন তাহলে তা সারা বিশ্বের জন্য এক ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হবে। জাপানকেও অবশ্যই তার নেতৃত্বে পরিবর্তন আনতে হবে। কিন্তু নষ্ট হয়ে যাওয়া সন্তান যে চেয়ারে বসেছে সে সহজে তা ছেড়ে দেবে না।

যা প্রায়শ:ই ঘটে, তুলনা অনেক সময় তাদের উদ্দিপ্ত করে যারা নিজেদের সমস্যার উপর আলোকপাত করতে পারে, তখন সমস্যাটিকে মোকাবেলা করা যায়। জাপান ও আমেরিকার তুলনার সময় অনেক ব্লগার অনুধাবন করছে, জাপানেও এখন পরিবর্তন-এর সময় এসেছে। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনেই [9] সম্ভবত তার সুচনা হতে যাচ্ছে।

হিদেনোরি কুসাকারি [10] উদাহরণ হিসেবে লিখছেন:
    

オバマは、国民の声を大統領執務室に持って行くと名言した。一方、国民の声など無視して、強引に事を進める麻生。
 正反対の動きは、日本とアメリカの将来を占っている。
 多様な人種が暮らすアメリカと単一民族の日本。
 自民党政治が終焉を迎え、日本は、どちらに向かうのか?
 オバマの影響をこれから、どの程度受けるのか?
 今年の衆議院選挙で日本の将来が決まると言って過言ではない。

ওবামা ঘোষনা দিয়েছেন, তিনি হোয়াইট হাউসে জনগণের কন্ঠস্বর নিয়ে আসবেন। অন্যদিকে আসো জনগণের কণ্ঠস্বরকে উপেক্ষা করেছেন, ক্রমাগত (প্রস্তাব) শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে নিত্য নতুন বিষয় প্রস্তাব করছেন। জাপান এবং আমেরিকার ভবিষ্যৎ যেন দুটি বীপরিতমুখী স্রোতে এগুচ্ছে।

আমেরিকা, যেখানে অনেক ভিন্ন জাতির বাস, অন্যদিকে জাপান যেখানে কেবল একটি মাত্র জাতির বাস, সেখানে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির ভবিষ্যত ডুবছে। জাপান কোথায় যাচ্ছে? ভবিষ্যতের কোন পর্যায় পর্যন্ত ওবামার দ্বারা আমরা প্রভাবিত হব।

এটা বলা অতিরঞ্জন হবে না যে এই বছরে জাপানে যে সাধারন নির্বাচন হবে সেখানেই জাপানের ভবিষ্যত নির্ধারন হবে।

কিটুনারুও [11] দেশের স্বার্থে পরিবর্তের চাহিদার কথা বর্ণনা করেছেন:

日本でも福田さんから麻生さんへ総理大臣が変わったとき、麻生さんの秋葉系とかちょっと違う感じがすると思って皆も期待していたのだろうが、フタを開けてみるとさらに自民党は混迷し、政治、経済対策も空白状態。
政治家も官僚も財界トップも自分の身を傷つけないようなことばかりやっている。
本当にこの国を良いほうに持っていくには大胆な構造改革が必要だと思う。
内科的処置ではなく外科手術が必要ではないのかと?

জাপানে যখন ফুকদার পরির্বতে আসো প্রধানমন্ত্রী হল তখন তার উপর সকলের এক বিশাল আশা ছিল। কারণ তিনি আকিহাবারাকে [12] অনেক বেশী পছন্দ করেন। এটি ছিল অন্যদের চেয়ে অনেক আলাদা। যাহোক যখন সবকিছু আসলে শুরু হলো তখন তারা সেখানে ছিল, এলডিপির বিভ্রান্তি, শূন্যগর্ভ রাজনীতি এবং অর্থনৈতিক পরিমাপ।

রাজনীতিবিদ, আমলা এবং এই রকম ক্ষমতাবানদের ক্ষমতা, তারা সকলেই এমনভাবে কাজ করে যেন একজন অন্যের বিপদের কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।

আমি বিশ্বাস করি যে একটা সাহসী কাঠামোগত বিপ্লব এখন প্রয়োজন, যা কিনা দেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে। এটি অভ্যন্তরীণ কোন চিকিৎসা নয়,এটা আসলে অনেকটাই কাটাছেঁড়া করা এক অপারেশন যা আসলেই প্রয়োজন, নয় কি?