ইরান: প্রাণী অধিকারের লক্ষ্যে এক হচ্ছেন ব্লগাররা

কুকুর২০০৭ সালের গ্রীষ্মকালে ইরানী পুলিশ কুকুর ধরার এক অভিযান শুরু করে। যে সমস্ত কুকুর ধরা হয় তার মধ্যে কেবল রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো কুকুরই ছিল না, সেগুলোর মধ্যে কিছু পোষা প্রাণীও ছিল, যারা তাদের মালিকদের সাথে ঘুরে বেড়াত। কয়েক সপ্তাহ পরে এই অভিযানের গতি কমে আসে। কিন্তু এখনও ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরানে প্রাণীদের প্রতি দুর্ব্যবহার চলছে।

সৌভাগ্যবশত, ইরানী ব্লগার মিনো সাবেরির উদ্যোগকে সমর্থন করছে বেশ কিছু ব্লগার। মিনো সাবেরি পৃথিবীতে আসা এইসব কুকুর, পাখী, বিড়াল এবং অন্যসব প্রাণীদের অধিকার রক্ষার জন্য সোচ্চার হয়েছেন।

ভদ্রমহিলা (ফার্সি ভাষায়) ইরানের জাতীয় টেলিভিশন ও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান এজাহাতউল্লাহ জারগামিকে সম্বোধন করে একটি লেখা পোস্ট করেছেন।

آقای ضرغامی من هم چون شما مسلمان‌زاده‌ام ..، خدا را می‌پرستم و به تمام مقدسین عالم احترام می‌گذارم و تمام مخلوقات خدا را دوست می‌دارم، مگر می‌شود خدا را پرستید وآن‌چه را که خلق کرده دوست نداشت؟!
آقای ضرغامی، شما رسالت سنگینی بردوش‌تان هست و گمان می‌کنم از بخشی از آن بی‌خبرید. ..
رسالت شما تنها این نیست که از مردم بی دفاع و مظلوم این کشور و آن کشور دفاع کنید، نگاهی به دور و برتان بیندازید، گاه نگاهی هم به برنامه‌های ساخته شده از همین تلویزیون که شما ریاست‌اش را بر عهده دارید بیندازید.
دشمنی با حیوانات بی‌آزار و مظلوم تا کی؟ آن‌هم از یک رسانه پرقدرت و پرمخاطب…ما، یعنی جمعی از وبلاگ نویسان خواهان این هستیم که رسانه‌ها خصوصا” تلویزیون در برنامه‌های خود بخشی هم به آموزش مهربانی با طبیعت، چه حیوانات و چه گیاهان بدهند.

জনাব জারগামি আমি আপনাকে পছন্দ করি। আমি এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি। আমি সৃষ্টিকর্তার উপাসনা করতে শিখেছি। আমি শিখেছি তার সৃষ্টি সকল প্রাণীকে ভালোবাসতে। আমি যখন তার উপাসনা করি তখন কি তার সৃষ্টি সকল প্রাণীকে পছন্দ করব না? নিজের দিকে তাকান, আপনার প্রতিষ্ঠানে যে ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয় তা এ রকম প্রাণীদের প্রতি ঘৃণা তৈরী করে। আর কতদিন এ রকম অনুষ্ঠান চলতে থাকবে, বিশেষত আপনার প্রতিষ্ঠানেব মতো একটা শক্তিশালি প্রচার মাধ্যমে। যদি প্রাণী অধিকারের কথা বলা হয় তাহলে তা মানুষকে আহত করার মতো বিষয়ের সাথে কোন বিরোধ তৈরী করে না। ….. আমরা একদল ব্লগারকে চাই যারা ইরানের জাতীয় টেলিভিশন এমন অনুষ্ঠান দেখাক যা মানুষকে প্রকৃতি, প্রাণী এবং সব্জী জগতের প্রতি দয়ালু হতে শেখায়।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, নবী হজরত মুহাম্মদ(স:) প্রাণীদের প্রতি সদয় হবার শিক্ষা দিয়ে গেছেন।

সাদাফ ফারহান (ফার্সি ভাষায়) লিখছেন প্রাণীদের প্রতি দুর্ব্যবহার আসলে কোন মানসিক সমস্যা বা খারাপ শিক্ষার ফল।

আসালিজন (ফার্সি ভাষায়) রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো কুকুর আর তার ছানাদের মেরে ফেলার ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এই ব্লগার এ রকম এক কুকুর মাগনোলিয়া এবং তার সাতটি ছানাকে নিয়ে যে অভিজ্ঞতা তৈরী হয়েছে তা সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। তিনি বলছেন, ‘একদিন এই কুকুর আর তার পরিবারকে বুলেট দিয়ে হত্যা করা হয়’। আসালিজন ইরানী কতৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন এই রকম নিষ্পাপ প্রাণীদের হত্যা করা সঠিক সিদ্ধান্ত কিনা?

বিদারি (ফার্সি ভাষায়) লিখছেন:

متاسفانه اتفاقات ناهنجار و آزار و اذیت حیوانات در مملکت ما کم کم تبدیل به یک فرهنگ می شود . از خاموش کردن ته سیگار روی تن گربه ها گرفته ، تا بریدن گوش سگ های خیابانگرد و بی توجهی به پرندگانی که هرروز تعدادشان کمتر از قبل می شود.(کافی است نگاهی به اطرافتان بیندازید تا متوجه درستی این مطلب شوید)
در این تغییر فرهنگی و گرایش مردم به نادیده گرفتن حیوانات نمی توان از نقش رسانه ملی صرف نظر نمود ! رسانه ای که می تواند پیام آور صلح و دوستی و توجه به این موهبت های بی نظیر خداوند باشد، نه تنها حرکتی در جهت دوستی مردم با حیوانات ،که بخشی از این طبیعت هستند نمی کند ، بلکه بسیار در سریال ها و فیلم ها و سایر برنامه های تلویزیون می بینیم که آزار و اذیت حیوانات امری طبیعی و عادی جلوه داده می شود.

প্রাণীদের প্রতি দুর্ব্যবহার ধীরে ধীরে আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে দাড়াচ্ছে। যেমন বিড়ালের শরীরের জলন্ত সিগারেট চেপে ধরা, রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো কুকুরের কান কেটে দেওয়া এবং যে সমস্ত পাখী হারিয়ে যাচ্ছে তাদের প্রতি যত্ন নেওয়া কমিয়ে দেওয়া। জাতীয় টেলিভিশনে বন্ধুত্ব তৈরী ও দয়ালু হবার শিক্ষা দেবার বদলে এমন অনুষ্ঠান দেখানো হয় যেখানে প্রাণীদের প্রতি অত্যাচার এবং দুর্ব্যবহার একটি সাধারণ ঘটনা।

এই লেখা পোস্ট করার সময় কোন প্রাণীর ক্ষতি করা হয়নি। উপরে যে কুকুরের ছবিটি দেখা যাচ্ছে তার নাম লিসা

1 টি মন্তব্য

আলোচনায় যোগ দিন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .