এ্যাঙ্গোলা: নতুন বিমানবন্দর নিয়ে বিরোধ ও বিতর্ক

২০১০ সালের আফ্রিকান কাপ অফ নেশনস (সিএএন) টুর্নামেন্টের আয়োজক দেশ হতে যাচ্ছে এ্যাঙ্গোলা। এটি এমন এক টুর্নামেন্ট যার আয়োজন করতে পেরে আফ্রিকার জনগণ অত্যন্ত গর্বিত এবং উজ্জীবিত। ফুটবল খেলোয়াড় এবং বিদেশী অতিথিদের আগমন উপলক্ষে নতুন বিল্ডিং এবং পরিকাঠামো তৈরী করা হচ্ছে। সেই নতুন কাঠোমো উন্নয়ন কাজের অংশ হিসেবে লুয়ান্ডা বিমানবন্দরের বাড়তি নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত (লুয়ান্ডা বিমানবন্দর ফ্রেব্রুয়ারী চার নামে পরিচিত- কারন ফ্রেব্রুয়ারী চার তারিখে এই জাতি স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম শুরু করে)।

বিমানবন্দরের নতুন সংস্কার এবং অতিরিক্ত নির্মাণের জন্য এ্যাঙ্গোলা সরকার বাজেট বরাদ্দ করেছে চার মিলিয়ন আমেরিকান ডলার। বিল্ডিং নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আশা করা হচ্ছে এ আগামী বছরে এই কাজ শেষ হবে। এই বিমানবন্দরে একটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল থাকবে যা কিনা পর্যায়ক্রমে পরিবর্তিত হবে দুটি আধুনিক এবং ভালোভাবে সজ্জিত বোর্ডিং রুমে এবং ২৮টি চেক ইন কাউন্টার (প্রবেশ পথ) ও অপেক্ষাগার থাকবে। এখানে বছরে প্রায় ৩০ কোটির বেশী যাত্রী ভ্রমণ করবে।

এই বিল্ডিং দুই ধাপে তৈরী হবে। প্রথম অংশটি আগমন বা প্রবেশ এর জন্য তৈরী হবে ও এখানে থাকবে কার পার্ক (১০ টি বাস, ২৪ টি ট্যাক্সি, এবং ৬৫০ টি গাড়ী ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এই হবে কার পার্ক অঞ্চল) ও প্রধান বা মেইন রানওয়ে। দ্বিতীয় অংশটি বোর্ডিং এলাকা ও দ্বিতীয় তলা-র জন্য বরাদ্দ করা হবে ।

Angola

এই পরিকল্পনাটি প্রশংসা পেয়েছে। পর্তুগীজ ভাষার ব্লগ মেনিনোস ইয়া ভোল্টা ডা ফোগুইয়েরা (অগ্নিকুন্ডের চারপাশের বালকেরা) ব্লগের লেখিকা মারিয়া লিবেরডাডে উপরের ছবিটি প্রকাশ করেছেন এবং বলছেন তিনি আসলে কতটা সুখী।

“Boas notícias. Hoje foi-nos apresentado o projecto para o novo aeroporto de Luanda e pudemos saber mais detalhes sobre este projecto colossal que é uma das obras que mais impacto terá na nova imagem da cidade de Luanda, com capacidade para albergar até ao ultimo Airbus A380. O novo aeroporto é a cúspide da modernidade. Esperamos que além das estruturas projectadas, os projectistas tenham em conta espaço para futuras ampliações, pois o país continua a crescer. Espero aterrar no novo aerporto em 2010, como o previsto”.

ভালো সংবাদ। আজ আমরা লুয়ান্ডা বিমান বন্দরের নতুন প্রজেক্ট এর সুচনা করলাম। এই বিশাল উন্নয়ন লূয়ান্ডা শহরকে এক নতুন চেহারা দেবে। এতে এমনকি সাম্প্রতিকতম বিমান এয়ারবাস এ৩৮০-র স্থান সংকুলান হবে। বর্তমানে এয়ারবাস এ৩৮০ বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী বিমান। নতুন বিমানবন্দর আধুনিকতার এক উপমা। আমরা আশা করি এই বিমানবন্দর পরিকল্পিত কাঠামোর মধ্যে এর ডিজাইন ভবিষ্যতের এক চেহারা আমাদের মনে ফুটিয়ে তুলতে পারবে, বিশেষ করে যখন দেশটি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি আশা করছি ২০১০ সালে এই বিমানবন্দের আমি পা রাখতে পারব, যেমনটা আমি পরিকল্পনা করেছি।

এটা জানানো দরকার যে দেশটির আরেকটি একেবারে নতুন বিমান বন্দর বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে, যার অর্থায়নে রয়েছে চায়না। কিন্তু খানিকটা সময় ধরে এর কাজ বন্ধ হয়ে আছে। এখানকার লোকদের সরিয়ে নতুন বসতি তৈরী করা ও সেই ৪ঠা ফেব্রুয়ারী বিমানবন্দরের অতিরিক্ত কাজের জন্য। কিন্তু যে স্থানে বিমানবন্দর নির্মাণ এর কাজ চলছে সেই জায়গা ও এই বিমানবন্দর নির্মাণ বিষয়ে কিছু নেতা বিরোধপূর্ণ এবং বির্তকিত বক্তব্য প্রদান করেছে। ডেজাবাফোস এ্যাঙ্গলোয়ান (এ্যাঙ্গোলবাসীর দায়মুক্তি, পর্তুগীজ ভাষায়) ব্লগের লেখক তার মধ্যে অন্যতম।

“Vai ser construído um novo Aeroporto Internacional, que ninguém sabe em quanto está orçado, sabe-se apenas que vai ser financiado com crédito concedido pela China. O novo aeroporto vai-se situar na província do Bengo no Bom Jesus e não foi aprovado em Conselho de Ministros e segundo o Jornal Angonotícias, a mão de obra é maioritariamente chinesa, quando há milhões de angolanos desempregados. Que vergonha! Descrédito total pela democracia, pela assembleia e pelos angolanos). Gostava de saber se o governo ou as pessoas que autorizaram esta construção, esperam o crescimento do tráfego aéreo e o crescimento de turistas em Angola; se há estudos que provem que Luanda precisa mesmo de mais um aeroporto e quantas vão ser as companhias aéreas que vão operar a rota Luanda?!

Temos as passagens mais caras do mercado! Turismo no nosso país, não existe! Como pensam ligar o Bengo a Luanda? Os turistas aterram no aeroporto (a intenção é construir um grande aeroporto moderno e luxuoso) e assim que saem, só vêem bairros de lata até chegar a Luanda, em estradas esburacas e cheias de trânsito desordeiro, sem transportes públicos ou seja, chegam a uma cidade cheia de caos, suja e sem beleza!

Acredito que se este projecto for adiante e isto é a minha opinião, os angolanos vão pagar uma factura cara sem necessidade. Estou de acordo que o nosso actual aerporto não nos serve e mete dó…mas isso só porque está sub-aproveitado e mal gerido.”

“একটা নতুন আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর তৈরী হবে কিন্তু কেউ জানে না তার জন্য বরাদ্দ কত টাকা। কেবল জানা গেছে এটি চায়নার কাছে থেকে নেওয়া ঋণের টাকা দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে। নতুন এই বিমানবন্দর বেঙ্গ প্রদেশের বম জেসাসা এলাকায় তৈরী হবে। এই বিমানবন্দরের কাজ মন্ত্রীপরিষদ অনুমোদন করেনি এবং সংবাদপত্র আনগোনটোফিকাস এর মতে এই বিমানবন্দরে যে সমস্ত শ্রমিক কাজ করছে তার বেশীরভাগই চায়নিজ। যখন এ্যাঙ্গোলার লক্ষ লক্ষ লোক বেকার তখন এটা একটা লজ্জা। গণতন্ত্র, সংসদ, এবং এ্যাঙ্গোলার জনগণের জন্য এটা কোন কৃতিত্বজনক বিষয় নয়)। আমি বিস্মিত ,সরকার বা জনগণ এই কাজটি করার সম্মতি দিয়েছে এই আশায় যে এতে বিমান চলাচল বেড়ে যাবে এবং অনেক বেশী পর্যটক এ্যাঙ্গোলায় এসে হাজির হবে, যদি গবেষণায় আবিস্কার হয় যে লুয়ান্ডায় আরো বিমান অবতরনের জন্য একটার চেয়ে বেশী বিমানবন্দর প্রয়োজন আছে এবং কতগুলো বিমান কোম্পানী তাদের বিমান এখানে অবতরন করাবে।

বাজারে আমাদের বিমানে ভ্রমণের দাম সবচেয়ে বেশী! আমাদের দেশে কোন পর্যটকের আগমন নেই। কি ভাবে তারা কল্পনা করে বেঙ্গ থেকে লুয়ান্ডায় পর্যটকরা বিমানে যাবে? পর্যটকরা যখনই বিমানবন্দরে অবতরন করবে (এই কারনে একটা বিশাল, আধুনিক, এবং বিলাসবহুল বিমানবন্দর বানানো হয়েছে।) এবং বিমানবন্দর ত্যাগ করবে, তারা আবিস্কার করবে সারা লুয়ান্ডা শহরে বস্তি ছড়িয়ে আছে। যেতে যেতে দেখবে খাদ-এ পরিপূর্ণ রাস্তা, বিশৃংখলাপুর্ন যানবাহন ব্যবস্থা এবং জনগণের যাতায়াতের জন্য আলাদা কোন পরিবহন ব্যবস্থা নেই। অন্যভাবে বলা যায় তারা একটা হট্টগোলপুর্ন , নোংরা এবং আর্কষণহীন শহরে এসে উপস্থিত হয়েছে!

আমি বিশ্বাস করি এই এই প্রজেক্ট যদি চলতে থাকে এবং এটা আমার একান্ত মতামত যে এ্যাঙ্গোলা এক্ষেত্রে একটা দামী এবং প্রয়োজনহীন টাকা প্রদান করবে। আমি একমত যে আমাদের বর্তমান বিমানবন্দর ব্যবহার অনুপযোগী এবং যা দেখে লজ্জা পেতে হয়— কিন্তু এটা কেবল অপরিমানদর্শী ব্যবহার এবং দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারনেই ঘটেছে।”

অন্য স্থানীয় বা আঞ্চলিক বিমানবন্দর যেমন হুয়াম্বো প্রদেশ, বেঙ্গুয়েলা, কাবিন্দা, লুয়েনা, কুইটো, সায়রিমো এবং ডুন্ডওও বিমানবন্দর এর আধুনিকীকরনও করা হবে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .