গাজায় আক্রমণ যখন তৃতীয় সপ্তাহে পড়ল তখনও আরব নেতারা একমত হতে পারেননি যে এই সংকট মোকাবেলার জন্যে আরব লীগের সদস্যদের একটি জরুরী সভা করা দরকার। সিরিয়ার ব্লগাররা রাজনীতির এই উত্থানপতন নিয়ে খুবই রাগান্বিত। একে আরববিশ্বে সাম্প্রতিক কালের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক মতভেদএর বিভক্তিও বলা যায়।
সিরিয়া নিউজ ওয়্যারের সাসা তার সাম্প্রতিক পোস্টে উচ্চকন্ঠে বলছেন “লজ্জা, লজ্জা, লজ্জা আরব বিশ্ব তোমাকে।”:
এই করুনার পাত্র আরবরা গাজায় গণহত্যা নিয়ে একটি জরুরী আরব লীগ সভায় বসতেও আগ্রহী নয়।
তোমরা অকর্মন্য, দায়িত্বজ্ঞানহীন, স্বার্থপর, ধামা ধরা এবং লজ্জাহীন অথর্ব। তোমরা কি আমাদের নিয়ে কথা বলার অভিনয়ও ছেড়ে দিয়েছ?
এই ব্লগার একটি তালিকা দিয়েছেন কোন কোন দেশ সভা করতে বিরোধীতা করছে:
“এই সমস্ত দেশের গাজা নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই: মিশর, সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাক, জর্ডান, তিউনিশিয়া আর বাহরাইন। (গালি)”
সিরিয়ানগাভরোচে তিক্ততার সাথে স্বীকার করছে যে সৌদি আরব ও মিশর জরুরী আরব লীগ কেন সভা করছে না:
أعتقد أنني أتفق مع مصر و السعودية في موقفهما الرافض لانعقاد القمة العربية, و يأتي هذا الاتفاق من حرصي على صحة المواطنين العرب النفسية , يُفضّل أن يكون الذل متفرّقاً في قصور العواصم العربية على أن يجتمع كله في قاعة واحدة “فرد خبطة”, فهذا سيشكّل صدمة قد تكون أكبر من قدرة المواطن العربي على امتصاص الصدمات, رغم أن هذه القدرة متطورة جداً لدينا بحمد الله و فضل أنظمتنا الحكيمة
আমি মনে হয় মিশর এবং সৌদি আরবের সাথে আরব সামিট করতে মানা করার যুক্তিটাকে মানছি। আরব নাগরিকদের মনস্তাত্বিক সুস্থতার জন্যেই আমি এরকমটি ভাবছি। এই লজ্জার ভার মনে হয় প্রাসাদগুলোরই নেয়া ভালো কারন একটি সামিট হলে সবার কাছে লজ্জাগুলো নেমে আসলে ব্যাপারটি আরও গুরুতর হত। তেমন হলে সেই বিভীষিকা আরব নাগরিকরা সহ্য করতে পারত না।
যখন এরকম বিতর্ক চলছিল তখন খবর আসল যে মানবজাতির উপর অপরাধের কারনে বলিভিয়া আর ভেনেজুয়েলা ইজরায়েলী রাষ্ট্রদুতকে বহিস্কার করে। অথচ “মডারেট” আরব দেশগুলোতে ইজরায়েলী রাষ্ট্রদুতরা সসম্মানেই আছেন।
৩আবদাল্লাহ এই দুটি ল্যাটিন আমেরিকান দেশকে আরবদেশের অংশ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি ব্যাখা করেন কেন:
جمهورية بوليفيا العربية
المملكة العربية الشافيزية
نعم بوليفيا عربية، فالعروبة ليست فقط لسانا نتكلم به، العروبة هي مواقف. العربي الأصيل شجاع ولا يرضى بالظلم.
শাভেজিয়ান আরব কিংডম
হ্যা, বলিভিয়া একটি আরবদেশ; আরবদেশের মহিমা শুধু একই ভাষাগত বৈশিষ্ট নয়, আরবদেশ একটি (রাজনৈতিক) অবস্থান। একজন সত্যিকারের আরব সাহসী এবং অন্যায় কখনই সহ্য করে না।
দামাসসীন ব্লগ “মডারেট” আরব দেশসমুহের অবস্থান নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে:
আমি একদা নিজেকে “মডারেট” বলতাম কিন্তু এই সংকটময় মুহূর্তে “মডারেট” আরবদেশগুলো শব্দটির মানে পাল্টিয়ে ভীতুর সমার্থ করে দিয়েছে।
এমনকি গতবারের আরব লীগ সামিটে গাদ্দাফি যেমন বলেছিল: “আমাদের আরবদের কোন কিছুই একত্র করতে পারে না শুধু এই রুমে আবদ্ধ থাকা ছাড়া”- তাও এখানে খাটে না।