ব্যাপক বৃষ্টির জন্যে গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার ১৩টি প্রদেশে বন্যা হয়েছে। এই দুর্যোগে ১৪জন মানুষ মারা গেছে এবং আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছে। বন্যাকবলিত প্রদেশ গুলোর মধ্যে রয়েছে পশ্চিম নুসা টেনগারা, সুমাত্রা, জাভা, বালি, বোর্নিও এবং সুলাওয়েসী প্রদেশ। এ পর্যন্ত ৫০,০০০ লোককে উদ্ধার করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা দুই মিটার পানিতে তলিয়ে গেছে। শহরের ৪০% এলাকা এখন পানির নিচে। জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষন বালিও বন্যাকবলিত হয়েছে।
গুগল ম্যাপে ইন্দোনেশিয়া
জাভা জাইভস ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা সম্পর্কে লিখেছে:
“ডিসেম্বর মাসটি সুর্যের আলোক দ্বারা ঝলমলে ও নাতিশীতোষ্ণ ছিল। কিন্তু নতুন বছর শুরু হতেই মুষলধারে বৃষ্টি পড়া শুরু করল এবং কিছুক্ষণ পর পর বিশাল এ গগণবিদীর্ণ বিদ্যুৎ চমকে আকাশ উদ্ভাসিত হতে লাগল এবং বার্ষিক বন্যা শুরু হল।”
“যখন আমি এটি লিখছি, বাইরে দেখতে পাচ্ছি বৃষ্টির পানিতে খালের মত সৃষ্টি হয়েছে যেখান দিয়ে ময়লা পানি বয়ে যাচ্ছে। আকাশে মেঘ জমা হচ্ছে আর শরীরে ক্ষতের মত তা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সপ্তাহের শেষের দিকে পুনরায় ঝড়ের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। আরও একরাত যদি বৃষ্টি হয় তাহলে আমরা আর কেলাপা গেডিং দিয়ে বের হতে পারব না কারন এই রাস্তা খুব নিচু এবং খুব অল্প পানিতেই ডুবে যায়।”
“আমি কি নার্ভাস? মোটেই না।”
“কিন্তু আমি নার্ভাস সেই সমস্ত পরিবারের জন্যে যারা নিরাপদ যায়গায় যেতে পারবে না, সেই সমস্ত ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্যে যারা বিশুদ্ধ পানি বা চিকিৎসা পায় না, যাদের গাড়ী, বাড়ীর বা ব্যবসার কোন বীমা করা নেই, এবং যারা আবার সবকিছু হারাতে বসেছে।”
মাইওয়েবসাইটকেই্য়ু বলছে এই বন্যা আগামী মাস পর্যন্ত চলতে পারে:
“এখন ভর বর্ষা মৌসুম আর এমন পরিস্থিতি আগামী ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত চলতে পারে। এই সময় বিভিন্ন প্রকারের দুর্যোগ, যেমন ভূমি ধ্বস, বন্যা, ঝড়ো হাওয়া এবং জলাবদ্ধতা ঘটতে পারে। জাকার্তার আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখে এমনটিই আঁচ করা যায়। কাজেই জনগণের আবহাওয়ার গতিবিধি সম্পর্কে খেয়াল রাখা দরকার।”
টুইটার থেকে নিন্মলিখিত সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে:
ইরওয়ানলী: আকাশ বিষন্ন, ডেঙ্গু আর বন্যা শহরে আবার ফিরে এসেছে।
লুসি_সানসেটগার্ল: আমার মতে সরকার এবং জনগণ উভয়ই দায়ী বাৎসরিক এই বন্যার জন্যে।
নানাশ্যাম্বলস: বৃষ্টি আর ভাল লাগে না, সবখানে বন্যা। খুবই গোলমেলে অবস্থা।
স্টোরী মাস্টারকিউ: ক্রান্তিকাল চলছে। জাকার্তায় প্রতি পাঁচ বছর পর বিশাল বন্যা হয়। তবে পরবর্তী বিশাল বন্যাটি হওয়ার কথা ছিল ২০১২ সালে। কেয়ামতের আলামত?
বন্যা ইন্দোনেশিয়ায় নতুন কিছু না। রিয়াউ বন্যাকবলিত ইন্দোনেশিয়ার কাম্পারে নিন্মের ছবিগুলো তুলেছে:
ছবি রিআউ ডেইলি ফটোর সৌজন্যে