- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

আমেরিকা মহাদেশ: প্যালেস্টাইনে শান্তির আহ্বান

বিষয়বস্তু: ল্যাটিন আমেরিকা, এল সালভাডর, কিউবা, চিলি, নিকারাগুয়া, পেরু, প্রচার মাধ্যম ও সাংবাদিকতা, মানবাধিকার, যুদ্ধ এবং সংঘর্ষ, শরণার্থী

শান্তির পায়রা
ছবি তুলেছেন দাকুয়েলা মারেনা [1] এবং ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত

আমেরিকা মহাদেশ জুড়ে সাম্যতার সুর শোনা যাচ্ছে গাজার পরিস্থিতির ব্যাপারে। বেশ কয়েকজন ল্যাটিন আমেরিকান ব্লগার তাদের নৈরাশ্য ব্যক্ত করেছেন, আর একই সাথে বিশ্বের ওই অংশের জন্য তাদের শান্তির আশা উচ্চারণ করেছেন। তবে তারা মনে করেন যে এত বোমা হামলার পরে মধ্য প্রাচ্যে শান্তি আসা আরো দূর হয়ে গেল।

কিউবা থেকে ভোসে [2] ব্লগ বলেছে:

Se va el 2008 con las noticias de costumbre sobre los bombardeos en Gaza. Como si fuera posible perder la capacidad de asombro, de enojo e impotencia, de rabia concentrada ante los muertos, antes los médicos que se desesperan porque no alcanzan para aliviar tanta herida abierta, tanta sangre. Grito a la paz por Palestina, grito a la paz y a la esperanza, luto en medio de las fiestas de este mundo que poco tiene que festejar. Grito a la paz por Palestina… paz… paz… paz… PAZ… PAZ.. PAZ… PAZ… PAAAZ!!!… a ver si alguien escucha…

২০০৮ শেষ আর এর সাথে খবর এসেছে গাজায় বোমা হামলার। যেন অবাক হওয়ার, রাগার, অসহায় বোধ করার আর মৃত্যুর জন্য ক্ষুব্ধ হওয়ার ক্ষমতার অভাব আছে। ডাক্তাররা মরিয়া কারন এত উন্মুক্ত ক্ষতের চিকিৎসা তারা করতে পারছে না, এত রক্ত! প্যালেস্টাইনের শান্তির জন্য আমি চিৎকার করে আহ্বান করছি, আমি শান্তি আর আশার জন্য চিৎকার করছি। যে বিশ্বে উদযাপন করার মতো জিনিষের অভাব তাদের উৎসব দেখে আমি শোক করছি। আমি ফিলিস্তিনিদের শান্তির জন্য চিৎকার করছি….শান্তি…শান্তি…শান্তি…শান্তি.. শান্তি…শান্তি..শান্তি…!!! দেখা যাক কেউ শোনে কি না…

ব্যারিকাডা [3] ব্লগে জর্জিও ট্রুচি লিখেছিলেন নিকারাগুয়ার একটা সমষ্টিগত ব্লগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্বৈত নীতি সম্পর্কে, যেখানে তারা নিকারাগুয়াকে তাড়াতাড়ি অবরোধের মধ্যে ফেলেছে। কিন্তু ফিলিস্তিনের ব্যাপারে মনে হচ্ছে কেউ কাজ করছে না। না ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন না আমেরিকা:

La comunidad internacional parece estar observando con impotencia esos acontecimientos y lo que podría ser uno de los desenlaces más cruentos y feroces contra el pueblo palestino. Hasta el momento no se le mira ese fervor, demostrado en otras ocasiones, en exigir sin titubear el respeto de los tan declamados derechos humanos. Ni se está viendo ese mismo fervor, que por ejemplo en las semanas pasadas la Unión Europea y los Estados Unidos demostraron contra Nicaragua, con el congelamiento de fondos y proyectos y resoluciones parlamentarias, frente a las condiciones espantosas en que vive la población palestina en los territorios de Gaza.

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মনে হচ্ছে এইসব ঘটনা দেখে বিবশ, যেটা ফিলিস্তিনি মানুষের জন্য নিষ্ঠুর আর করুণ পরিণতি হতে পারে। এখন পর্যন্ত অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো মরিয়া আহ্বান শোনা যাচ্ছে না, অপমানজনক সন্দেহাতীতভাবে ‘তথাকথিত’ মানবাধিকার কর্মীদের সম্মান দেখানো। কেউ একই উদ্যোগ দেখতে পায়না যেমন, যা গত কয়েক সপ্তাহ আগে নিকারাগুয়ার জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আর আমেরিকা দেখালো, যখন তারা কংগ্রেস সদস্যদের থেকে টাকা আর প্রকল্পের রেজল্যুশন আটকিয়ে দিল, আর সাথে তুলনা করেন অদ্ভুত পরিস্থিতি যার মধ্যে ফিলিস্তিনি জনগণ গাজাতে বসবাস করছে।

পেরু থেকে সুসানা ভিল্লারান গাজায় চলমান পরিস্থিতির পিছনে তার চিন্তা জানিয়েছেন [4], যার সাথে তিনি যোগ করেছেন যে ফিলিস্তিনের মাটিতে চলতে থাকা অন্যান্য সমস্যা, শুধুমাত্র সশস্ত্র যুদ্ধ না, বরং জনসাধারনের প্রতি অবহেলা আর দন্ডাভাব:

La contraparte de la negligencia con la que actúan las fuerzas israelíes es la impunidad: un mes antes de estos ataques, Yesh Din, una organización israelí defensora de los derechos humanos, publicó un informe sobre la materia. Según este entre el 2001 y el 2007 unos 2000 civiles palestinos murieron a manos del ejército israelí. Sin embargo esas 2000 muertes produjeron únicamente 78 cargos contra soldados israelíes, y solo cinco de ellos fueron condenados. Aún en esos casos, las penas fueron sensiblemente menores a aquellas que permitía la legislación israelí.

সশস্ত্র বাহিনীর অবহেলার বিপরীতেই আছে দন্ডাভাব: এইসব আক্রমণের এক মাস আগে, ইয়েশ দিন, একজন ইজরায়েলী এনজিও আর মানবাধিকার কর্মী দন্ডাভাব নিয়ে একটা রিপোর্ট প্রকাশ করেন। তাদের কথা অনুসারে, ২০০১ আর ২০০৭ এর মধ্যে ইজরায়েলী সশস্ত্র বাহিনীর হাতে প্রায় ২০০০ ফিলিস্তিনি নাগরিক মারা গেছেন। তবে এই ২০০০ মৃত্যুর জন্য মাত্র ৭৮ টা অভিযোগ ইজরায়েলী সৈন্যের বিরুদ্ধে করা হয় আর মাত্র ৫ জন সেনাকে শাস্তি দেয়া হয়। আর এইসব ক্ষেত্রেও, শাস্তি ইজরায়েলী আইনে সাধারনভাবে যা দেয়া হয়ে থাকে তার থেকে আর একটু কম ছিল মাত্রায়।

পেরু থেকে ব্লগার মোরসা ভাবছেন কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে বোমা মারা দরকার [5], আর এটা বর্ণনা করার সময়ে তিনি তার পাঠকদের অনুরোধ করেছেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার জন্য আর এটাও যে তিনি তার ব্লগে ইহুদী বিদ্বেষী কিছু সহ্য করবেন না।

Continúa la barbarie en Gaza. Para que no quede dudas que el ataque no es selectivo (o por lo menos, militarmente selectivo), la Universidad Islámica de Gaza también ha sido bombardeada. El pretexto ha sido que en dicho centro de estudios se encontraban fuerzas extremistas, lo cual, como señala Akram Habeeb (profesor de literatura, becario Fulbright, de dicha universidad), es mentira.

গাজার নৃশংসতা চলছে। সন্দেহাতীতভাবে আক্রমণ বাছাই করে করা হচ্ছে না, বা এটা অন্তত শুধুমাত্র সেনা লক্ষ্য খুঁজছে না। গাজার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বোমা মারা হয়। অজুহাত হলো বিশ্ববিদ্যালয়র ভিতরে চরমপন্থী ছিল, যেটা মিথ্যা যেমন ফুলব্রাইট স্কলারশীপ পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্যের অধ্যাপক আকরাম হাবিব জানিয়েছেন।

এল সাল্ভাদরের আয়ুক্সটেপিক্স থেকে ব্লগার আলতা হোরা দে লা নোচে [6] জটিল পরিস্থিতির ব্যাপারে জানিয়েছেন:

Es un problema complejísimo, que desborda lo que yo pueda decir en unas líneas. Pero si no puedo decir que no me toca la barbarie, que no resiente mi corazon ver que una vez más la solución a los problemas de esa región del mundo en que vivo se vé más lejana.

এটা অনেক বেশী জটিল সমস্যা, যা এই কয়েক লাইনে আমি যা প্রকাশ করবো তার থেকে অনেক বেশী। কিন্তু আমি এটা আস্বীকার করতে পারি না যে এই হিংস্রতা আমাকে কি ভাবে ছুঁয়ে যাচ্ছে, আমার মন কি ভাবে কষ্ট পায় যখন আমি দেখি আবার, বিশ্বের এই অঞ্চলে সমস্যার সমাধান অনেক দূরের কিছু বলে মনে হয়।

আক্রমনের বিরুদ্ধে চিলির অনেক বুদ্ধিজীবি ফিলিস্তিনিদের সাথে একাত্মতায় একটা পাবলিক স্টেটমেন্টে সই করেছেন। এটা বেশ কয়েকটা ব্লগ যেমন “পইশিয়া পারা এলেন্তার কোরাজে [7]‘ (সাহস বাড়াবার জন্য কবিতা)তে পাওয়া যাবে ।